ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

পাঁচ লাখ টাকার টুকরা জোড়া লাগালেন ব্যাংকের কর্মীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪
  • / 70

প্রতীকী ছবি

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

একটি–দুটি নয়, পুরো ৩২ হাজার ইউয়ান কেটে টুকরা টুকরা করেছিলেন চীনের এক নারী। বাংলাদেশের হিসাবে এই অর্থ নেহাত কম নয়, ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো।

তবে বলিহারি ধৈর্যের জন্য বাহবা দিতেই হবে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। পুরো ২২ দিন সময় নিয়ে নোটগুলো জোড়া লাগিয়েছেন তাঁরা।

ঘটনাটি ঘটেছে চীনের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ ইউনানে। গত জুনে ওই নোটের টুকরাগুলো প্রদেশের কুনমিং এলাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নায় (আইসিবিসি) নিয়ে হাজির হন এক নারী। তাঁর নাম ঝ্যাং।

তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে নোটগুলো টুকরা টুকরা করেন তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন, সম্প্রতি মারা গেছেন।

ঝ্যাংয়ের ওই ভাইয়ের চার সন্তান রয়েছে। তাঁরা এখন বাস করেন সিচুয়ান প্রদেশে পর্বতঘেরা এক গ্রামে। তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়।

নোটগুলো অক্ষত থাকলে বড় সুবিধা হতো তাঁদের। তাই এগুলো পরিবর্তন করতে স্থানীয় বেশ কয়েকটি ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝ্যাংয়ের ভাই। তবে কেউই তা বদলে দিতে রাজি হননি।

কুনমিংয়ের আইসিবিসি ব্যাংকে গিয়ে আশার আলো দেখতে পান ঝ্যাং। ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ কাটা নোটগুলো জোড়া লাগাতে রাজি হয়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় চার কর্মকর্তাকে।

তাঁদের একজন বলেন, ‘এর আগে নোটের এত টুকরা আমরা কখনো দেখিনি। এক লাখের বেশি টুকরা ছিল। কিছু টুকরা আবার খুবই ছোট। আমরা ২২ দিন কাজ করেছি।’

অবশেষে ৩২ হাজার ইউয়ান মূল্যের নোটগুলো জোড়া লাগানো হয়। ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের এ পরিশ্রমের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি ঝ্যাং। ব্যাংকটিতে একটি ব্যানার পাঠিয়েছেন।

চীনা ভাষায় তাতে লেখা, ‘আপনারা মানুষের সমস্যা বিবেচনায় নিয়েছেন, তার সমাধান করেছেন এবং হৃদয় জিতে নিয়েছেন।’

তথ্যসূত্র:সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

পাঁচ লাখ টাকার টুকরা জোড়া লাগালেন ব্যাংকের কর্মীরা

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

 

একটি–দুটি নয়, পুরো ৩২ হাজার ইউয়ান কেটে টুকরা টুকরা করেছিলেন চীনের এক নারী। বাংলাদেশের হিসাবে এই অর্থ নেহাত কম নয়, ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার মতো।

তবে বলিহারি ধৈর্যের জন্য বাহবা দিতেই হবে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের। পুরো ২২ দিন সময় নিয়ে নোটগুলো জোড়া লাগিয়েছেন তাঁরা।

ঘটনাটি ঘটেছে চীনের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ ইউনানে। গত জুনে ওই নোটের টুকরাগুলো প্রদেশের কুনমিং এলাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নায় (আইসিবিসি) নিয়ে হাজির হন এক নারী। তাঁর নাম ঝ্যাং।

তিনি জানান, পাঁচ বছর আগে নোটগুলো টুকরা টুকরা করেন তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন, সম্প্রতি মারা গেছেন।

ঝ্যাংয়ের ওই ভাইয়ের চার সন্তান রয়েছে। তাঁরা এখন বাস করেন সিচুয়ান প্রদেশে পর্বতঘেরা এক গ্রামে। তাঁদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়।

নোটগুলো অক্ষত থাকলে বড় সুবিধা হতো তাঁদের। তাই এগুলো পরিবর্তন করতে স্থানীয় বেশ কয়েকটি ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝ্যাংয়ের ভাই। তবে কেউই তা বদলে দিতে রাজি হননি।

কুনমিংয়ের আইসিবিসি ব্যাংকে গিয়ে আশার আলো দেখতে পান ঝ্যাং। ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ কাটা নোটগুলো জোড়া লাগাতে রাজি হয়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় চার কর্মকর্তাকে।

তাঁদের একজন বলেন, ‘এর আগে নোটের এত টুকরা আমরা কখনো দেখিনি। এক লাখের বেশি টুকরা ছিল। কিছু টুকরা আবার খুবই ছোট। আমরা ২২ দিন কাজ করেছি।’

অবশেষে ৩২ হাজার ইউয়ান মূল্যের নোটগুলো জোড়া লাগানো হয়। ব্যাংকটির কর্মকর্তাদের এ পরিশ্রমের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি ঝ্যাং। ব্যাংকটিতে একটি ব্যানার পাঠিয়েছেন।

চীনা ভাষায় তাতে লেখা, ‘আপনারা মানুষের সমস্যা বিবেচনায় নিয়েছেন, তার সমাধান করেছেন এবং হৃদয় জিতে নিয়েছেন।’

তথ্যসূত্র:সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট