ঢাকা ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ নেকড়ে আতঙ্ক, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 50
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নেকড়ে আতঙ্কে থমকে গেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের জনজীবন। মানুষখেকো নেকড়ে ধরতে ২৫টি দল গঠন করার পাশাপাশি নিযুক্ত করা হয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার। একইসঙ্গে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শার্পশুটারদের।

গত প্রায় দু মাস ধরে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ ও সিতাপুর জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নরখাদক নেকড়ের দল। তাদের হামলায় ইতোমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে যার ৮ জন শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। এই পরিস্থিতিতে খাঁচা পেতে ৪টি নেকড়েকে ধরা হলেও, ২টি এখনও অধরা। তাদের দৌরাত্ম্যেই অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতেও এক বাড়িতে হামলা চালায় নেকড়ে। ঘরের ভিতর ঢুকে ১২ বছরের এক ঘুমন্ত কিশোরকে ঘাড় কামড়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যেরা জেগে উঠলে শিকার ছেড়ে পালায় নেকড়ে।

এই অবস্থায় নেকড়ের হামলা থেকে বাঁচতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। কৃষকরা মাঠে যেতে ভয় পাচ্ছেন। দোকানপাট সব বন্ধ। বহরাইচের প্রায় ৩৫টি গ্রাম আতঙ্কে ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নেকড়ে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিযুক্ত করা হয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তায় এলাকায় ২০০ পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নেকড়ে ধরতে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে ২৫টি দল গঠন করা হয়েছে।

পাশাপাশি নেকড়ের হামলায় একের পর এক মৃত্যুর জেরে ৩৫টি এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং রাজস্ব বিভাগকে। সাধারণ মানুষকে আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার। সাধারণ মানুষও রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

উত্তরপ্রদেশে ভয়াবহ নেকড়ে আতঙ্ক, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ

আপডেট সময় : ১১:১৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

নেকড়ে আতঙ্কে থমকে গেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের জনজীবন। মানুষখেকো নেকড়ে ধরতে ২৫টি দল গঠন করার পাশাপাশি নিযুক্ত করা হয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার। একইসঙ্গে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শার্পশুটারদের।

গত প্রায় দু মাস ধরে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ ও সিতাপুর জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নরখাদক নেকড়ের দল। তাদের হামলায় ইতোমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে যার ৮ জন শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। এই পরিস্থিতিতে খাঁচা পেতে ৪টি নেকড়েকে ধরা হলেও, ২টি এখনও অধরা। তাদের দৌরাত্ম্যেই অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতেও এক বাড়িতে হামলা চালায় নেকড়ে। ঘরের ভিতর ঢুকে ১২ বছরের এক ঘুমন্ত কিশোরকে ঘাড় কামড়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যেরা জেগে উঠলে শিকার ছেড়ে পালায় নেকড়ে।

এই অবস্থায় নেকড়ের হামলা থেকে বাঁচতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। কৃষকরা মাঠে যেতে ভয় পাচ্ছেন। দোকানপাট সব বন্ধ। বহরাইচের প্রায় ৩৫টি গ্রাম আতঙ্কে ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নেকড়ে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিযুক্ত করা হয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তায় এলাকায় ২০০ পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নেকড়ে ধরতে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে ২৫টি দল গঠন করা হয়েছে।

পাশাপাশি নেকড়ের হামলায় একের পর এক মৃত্যুর জেরে ৩৫টি এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং রাজস্ব বিভাগকে। সাধারণ মানুষকে আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার। সাধারণ মানুষও রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।