ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় সাতজন আহত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য কেন্টাকির একটি আন্তঃরাজ্য মহাসড়কে এক বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া সেই সন্দেহভাজনকে খুঁজছে পুলিশ।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী একটি বনের কাছে বিস্তৃত রুক্ষ ভূখণ্ডে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার খোঁজে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লরেল কাউন্টির লন্ডন শহরের প্রায় নয় মাইল দূরে সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে ঘটনার সূত্রপাত। তখন গ্রামীণ এলাকায় আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক ৭৫ দিয়ে যাওয়া গাড়িগুলো লক্ষ্য করে গুলি করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, জঙ্গলে ঘেরা এলাকার দিক থেকে অথবা একটি ওভারপাস সড়ক থেকে গুলিগুলো আসছিল। লন্ডনের মেয়র র‌্যান্ডাল ওয়েডল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন, ওই সময় রাস্তাটি দিয়ে যারা গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা গুলির মুখে পড়েন। এতে সাতজন আহত হন, তাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। তবে কেউ মারা গেছেন বলে জানা যায়নি।

রয়টার্স জানিয়েছে, এ ঘটনায় কতোজন আহত হয়েছেন বা তাদের আঘাত কতোটা গুরুতর, সে বিষয়ে পুলিশ বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।

স্থানীয় নিউজ স্টেশন ডব্লিউওয়াইএমটি জানিয়েছে, একাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন, তবে কেউ নিহত হয়নি।গোলাগুলির কারণে আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক ৭৫ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হলেও পরে আবার খুলে দেওয়া হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ওই মহাসড়কের কাছে দুর্গম এলাকায় ৩২ বছর বয়সী জোসেফ কাউচকে খুঁজছে।এক ফেইসবুক পোস্টে শেরিফ দপ্তর কাউচ সম্পর্কে বলেছে, “তাকে সশস্ত্র ও বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষক নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর এ ঘটনা ঘটল।ওই হামলার ঘটনায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, সঙ্গে তার বাবাও এখন পুলিশি হেফাজতে।

যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যেখানে মানুষের চেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বেশি। ফলে বন্দুক সহিংসতা দেশটির নিত্যদিনের সমস্যায় রূপ নিয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় সাতজন আহত

আপডেট সময় : ১০:৩০:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য কেন্টাকির একটি আন্তঃরাজ্য মহাসড়কে এক বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া সেই সন্দেহভাজনকে খুঁজছে পুলিশ।শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন বন্দুকধারী একটি বনের কাছে বিস্তৃত রুক্ষ ভূখণ্ডে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার খোঁজে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে।

লরেল কাউন্টির লন্ডন শহরের প্রায় নয় মাইল দূরে সন্ধ্যা ৬টার একটু আগে ঘটনার সূত্রপাত। তখন গ্রামীণ এলাকায় আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক ৭৫ দিয়ে যাওয়া গাড়িগুলো লক্ষ্য করে গুলি করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, জঙ্গলে ঘেরা এলাকার দিক থেকে অথবা একটি ওভারপাস সড়ক থেকে গুলিগুলো আসছিল। লন্ডনের মেয়র র‌্যান্ডাল ওয়েডল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানিয়েছেন, ওই সময় রাস্তাটি দিয়ে যারা গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা গুলির মুখে পড়েন। এতে সাতজন আহত হন, তাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ। তবে কেউ মারা গেছেন বলে জানা যায়নি।

রয়টার্স জানিয়েছে, এ ঘটনায় কতোজন আহত হয়েছেন বা তাদের আঘাত কতোটা গুরুতর, সে বিষয়ে পুলিশ বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।

স্থানীয় নিউজ স্টেশন ডব্লিউওয়াইএমটি জানিয়েছে, একাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন, তবে কেউ নিহত হয়নি।গোলাগুলির কারণে আন্তঃরাজ্য মহাসড়ক ৭৫ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হলেও পরে আবার খুলে দেওয়া হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ওই মহাসড়কের কাছে দুর্গম এলাকায় ৩২ বছর বয়সী জোসেফ কাউচকে খুঁজছে।এক ফেইসবুক পোস্টে শেরিফ দপ্তর কাউচ সম্পর্কে বলেছে, “তাকে সশস্ত্র ও বিপজ্জনক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষক নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর এ ঘটনা ঘটল।ওই হামলার ঘটনায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, সঙ্গে তার বাবাও এখন পুলিশি হেফাজতে।

যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যেখানে মানুষের চেয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বেশি। ফলে বন্দুক সহিংসতা দেশটির নিত্যদিনের সমস্যায় রূপ নিয়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান