ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

জন্মহারে পতন : অবসরের বয়সসীমা বাড়াচ্ছে চীন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 36
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চীন তার নাগরিকদের অবসরের বয়সসীমা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী কয়েক দশকের মধ্যে চীনে বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠীর হার বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় হ্রাস পাবে তরুণদের সংখ্যা। মূলত এমন পরিস্থিতিতে চীন চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর এ কথা ভাবছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরুষ কর্মীদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৬৩ বছর করা হবে। নারীদের ক্ষেত্রে বর্তমানে সেখানে ৫০ ও ৫৫ বছরের দুই ধরনের অবসরের বয়সসীমা রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এটি হবে যথাক্রমে ৫৫ ও ৫৮ বছর। ২০২৫ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্তরে ধাপে ধাপে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

২০২৩ সালে এসে পরপর দুই বছর চীনে জনসংখ্যার অবস্থা নিম্নগামী দেখা গেছে। দেশটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে তা হবে দেশটির জন্য ক্ষতিকারক। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সেখানকার অর্থনীতি, স্বাস্থ্য খাত ও সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থার ওপর।

গত কয়েক দশকে চীনে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের সবচেয়ে কম অবসর বয়সসীমা রয়েছে দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে গড় আয়ু, নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত সক্ষমতা, জনসংখ্যার কাঠামো, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শ্রমশক্তি সরবরাহ মূল্যায়ন করে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বেইজিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের শ্রম অর্থনীতিবিদ লাই চ্যাংগান বলেন, তাঁর ধারণা, এ ধরনের ঘোষণার জন্য অনেক মানুষেরই মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনই মূল কারণ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

জন্মহারে পতন : অবসরের বয়সসীমা বাড়াচ্ছে চীন

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

চীন তার নাগরিকদের অবসরের বয়সসীমা পর্যায়ক্রমে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী কয়েক দশকের মধ্যে চীনে বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠীর হার বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় হ্রাস পাবে তরুণদের সংখ্যা। মূলত এমন পরিস্থিতিতে চীন চাকরিজীবীদের অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর এ কথা ভাবছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরুষ কর্মীদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে পর্যায়ক্রমে বাড়িয়ে ৬৩ বছর করা হবে। নারীদের ক্ষেত্রে বর্তমানে সেখানে ৫০ ও ৫৫ বছরের দুই ধরনের অবসরের বয়সসীমা রয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এটি হবে যথাক্রমে ৫৫ ও ৫৮ বছর। ২০২৫ সাল থেকে পরবর্তী ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন স্তরে ধাপে ধাপে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

২০২৩ সালে এসে পরপর দুই বছর চীনে জনসংখ্যার অবস্থা নিম্নগামী দেখা গেছে। দেশটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, এমন অবস্থা চলতে থাকলে তা হবে দেশটির জন্য ক্ষতিকারক। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সেখানকার অর্থনীতি, স্বাস্থ্য খাত ও সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থার ওপর।

গত কয়েক দশকে চীনে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের সবচেয়ে কম অবসর বয়সসীমা রয়েছে দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে গড় আয়ু, নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত সক্ষমতা, জনসংখ্যার কাঠামো, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও শ্রমশক্তি সরবরাহ মূল্যায়ন করে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বেইজিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের শ্রম অর্থনীতিবিদ লাই চ্যাংগান বলেন, তাঁর ধারণা, এ ধরনের ঘোষণার জন্য অনেক মানুষেরই মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে জনসংখ্যাগত পরিবর্তনই মূল কারণ।