ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

মায়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে নিহত অন্তত ২৩৬

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 73
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

টাইফুন ইয়াগি মায়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি করেছে। এরপর থেকে অন্তত ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা গেছে। এ ছাড়া এখনও প্রায় ৭৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মায়ানমার এই তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) ইঙ্গিত দিয়েছে, এই সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। গতকাল সোমবার দেওয়া তাদের একটি নতুন বার্তায় বলা হয়েছে, ‘একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে শত শত লোক মারা গেছে। আরো অনেক নিখোঁজ রয়েছে। আনুমানিক ৬ লাখ ৩১ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

টাইফুন ইয়াগি চলতি বছরে এ অঞ্চলে আঘাত হানা অন্যতম শক্তিশালী ঝড়। গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন, ভিয়েতনাম, লাওস এবং মায়ানমারজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে ইয়াগির প্রভাবে। ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মায়ানমারের রাজধানী নেপিডাও, কেন্দ্রীয় মান্দালয় অঞ্চলের পাশাপাশি কায়া, কায়িন এবং শান রাজ্যসহ অন্তত নয়টি অঞ্চল ও রাজ্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় মায়ানমারের জান্তা বাহিনী। এর পরেই অভ্যুত্থানের বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, মিয়ানমারে অন্তত তিন মিলিয়ন মানুষ সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ভয়াবহ ঝড় ও বন্যায় বিপর্যস্ত মায়ানমার।

এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোচা পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানে। তখন মায়ানমারের জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহান্তে বাইরের সহায়তা চওয়া হয়েছিল।

ওসিএইচএ বলেছে, খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ, জামাকাপড় এবং বাসস্থানের জরুরি প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও সেতুর পাশাপাশি অস্থিতিশীল টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা ত্রাণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। মায়ানমারের জন্য বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ এসএসি-এম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মায়ানমারের সামরিক জান্তা এদেশের বৈধ বা বাস্তবিক সরকার নয় এবং তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা বা ক্ষমতা নেই।’

সেখানে আরো বলা হয়, ‘সেনাবাহিনী মায়ানমারে আগে থেকে বিদ্যমান মানবিক সংকট তৈরি করেছে। জনগণের খরচে তার নিজস্ব সামরিক ও রাজনৈতিক এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক অভিনেতাদের সঙ্গে জড়িত থাকার চেষ্টা করবে।’

সূত্র : আল-জাজিরা

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

মায়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে নিহত অন্তত ২৩৬

আপডেট সময় : ০২:২৯:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

টাইফুন ইয়াগি মায়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টি করেছে। এরপর থেকে অন্তত ২৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করা গেছে। এ ছাড়া এখনও প্রায় ৭৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। আজ মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মায়ানমার এই তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) ইঙ্গিত দিয়েছে, এই সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। গতকাল সোমবার দেওয়া তাদের একটি নতুন বার্তায় বলা হয়েছে, ‘একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে শত শত লোক মারা গেছে। আরো অনেক নিখোঁজ রয়েছে। আনুমানিক ৬ লাখ ৩১ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

টাইফুন ইয়াগি চলতি বছরে এ অঞ্চলে আঘাত হানা অন্যতম শক্তিশালী ঝড়। গত সপ্তাহে দক্ষিণ চীন, ভিয়েতনাম, লাওস এবং মায়ানমারজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে ইয়াগির প্রভাবে। ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মায়ানমারের রাজধানী নেপিডাও, কেন্দ্রীয় মান্দালয় অঞ্চলের পাশাপাশি কায়া, কায়িন এবং শান রাজ্যসহ অন্তত নয়টি অঞ্চল ও রাজ্য বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় মায়ানমারের জান্তা বাহিনী। এর পরেই অভ্যুত্থানের বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। এর ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, মিয়ানমারে অন্তত তিন মিলিয়ন মানুষ সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ভয়াবহ ঝড় ও বন্যায় বিপর্যস্ত মায়ানমার।

এর আগে ২০২৩ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোচা পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে আঘাত হানে। তখন মায়ানমারের জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহান্তে বাইরের সহায়তা চওয়া হয়েছিল।

ওসিএইচএ বলেছে, খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ, জামাকাপড় এবং বাসস্থানের জরুরি প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও সেতুর পাশাপাশি অস্থিতিশীল টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা ত্রাণ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। মায়ানমারের জন্য বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ এসএসি-এম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মায়ানমারের সামরিক জান্তা এদেশের বৈধ বা বাস্তবিক সরকার নয় এবং তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠদের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা বা ক্ষমতা নেই।’

সেখানে আরো বলা হয়, ‘সেনাবাহিনী মায়ানমারে আগে থেকে বিদ্যমান মানবিক সংকট তৈরি করেছে। জনগণের খরচে তার নিজস্ব সামরিক ও রাজনৈতিক এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক অভিনেতাদের সঙ্গে জড়িত থাকার চেষ্টা করবে।’

সূত্র : আল-জাজিরা