ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

নিউজিল্যান্ডে ভোটে জিতে বর্ষসেরা পাখি ‘হোইহো’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 52
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রীতিমতো ভোটে জিতে এ বছর নিউজিল্যান্ডের সেরা পাখি নির্বাচিত হয়েছে হলুদ চোখের ভীষণ লাজুক পেঙ্গুইন ‘হোইহো’; যেটি সারাক্ষণ ডাকাডাকি করে কান ঝালাপালা করে দেয়। বিশ্বে পেঙ্গুইনের মধ্যে এটি হলো বিপন্ন প্রজাতির। গত সোমবার হওয়া এই নির্বাচনে ৫০ হাজার লোক অংশ নেন।

নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী সম্প্রদায় মাওরি। হোইহো নামটি এসেছে মাওরি ভাষা থেকে, যার অর্থ কোলাহলকারী।

বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা এ পাখি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা নির্বাচনে হোইহো জেতায় দারুণ খুশি। তাঁরা আশা করছেন, এতে হয়তো পেঙ্গুইনের বিপন্ন এ প্রজাতিটি রক্ষায় আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। হোইহোকে বিশ্বের সবচেয়ে বিরল প্রজাতির পেঙ্গুইন বলে ভাবা হয়। একমাত্র নিউজিল্যান্ডেই এই পেঙ্গুইন দেখা যায়।

নিউজিল্যান্ড এমন একটি দেশ, যেখানে প্রকৃতি সব সময়ই মানুষের জীবনের অংশ হয়ে থাকে। দেশটিতে শৈশব থেকেই নাগরিকদের মধ্যে দেশীয় পাখি ভালোবাসতে শেখানো হয়।

এমনই একজন এমা রসন। তিনি বলেন, ‘পাখি আমাদের হৃদয় ও আত্মা।’ রসন অবশ্য হোইহোকে নয়, বরং ‘রুরু’ নামে একটি ছোট্ট বাদামি রঙের প্যাঁচার পক্ষে ভোটের প্রচার চালিয়েছিলেন। রুরু ভোটে চতুর্থ স্থান পায়।

নিউজিল্যান্ডের একমাত্র স্থানীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী হলো বাদুড়। দেশটিতে আছে সামুদ্রিক নানা প্রজাতির প্রাণীও। কিন্তু সেখানে নিজস্ব বা দেশীয় পাখি খুব একটা নেই। যে কারণে দেশটিতে পাখি মানুষের কাছে দারুণ প্রিয়।

হোইহো পেঙ্গুইন শুধু নিউজিল্যান্ডের সাউথ ও চাথাম দ্বীপে দেখা যায়। গত ১৫ বছরে এই পেঙ্গুইনের সংখ্যা ৭৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড নামে একটি সংগঠন নিউজিল্যান্ডে পাখি নিয়ে প্রতিবছর এ ভোটের আয়োজন করে।

সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী নিকোলা টকি বলেন, ‘এটিকে পাদপ্রদীপের আলোয় আনার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারত না। ঐতিহ্যবাহী এই পেঙ্গুইন আমাদের চোখের সামনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।’

স্থলভাগে নিবিড় সংরক্ষণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হোইহো পেঙ্গুইন জালে আটকে ও সমুদ্রের পানিতে ডুবে মারা যায় বলেও জানান নিকোলা টকি। আবার, পর্যাপ্ত খাবারও খেতে পায় না পেঙ্গুইনগুলো।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

নিউজিল্যান্ডে ভোটে জিতে বর্ষসেরা পাখি ‘হোইহো’

আপডেট সময় : ০১:০৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

রীতিমতো ভোটে জিতে এ বছর নিউজিল্যান্ডের সেরা পাখি নির্বাচিত হয়েছে হলুদ চোখের ভীষণ লাজুক পেঙ্গুইন ‘হোইহো’; যেটি সারাক্ষণ ডাকাডাকি করে কান ঝালাপালা করে দেয়। বিশ্বে পেঙ্গুইনের মধ্যে এটি হলো বিপন্ন প্রজাতির। গত সোমবার হওয়া এই নির্বাচনে ৫০ হাজার লোক অংশ নেন।

নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী সম্প্রদায় মাওরি। হোইহো নামটি এসেছে মাওরি ভাষা থেকে, যার অর্থ কোলাহলকারী।

বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা এ পাখি নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা নির্বাচনে হোইহো জেতায় দারুণ খুশি। তাঁরা আশা করছেন, এতে হয়তো পেঙ্গুইনের বিপন্ন এ প্রজাতিটি রক্ষায় আরও বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। হোইহোকে বিশ্বের সবচেয়ে বিরল প্রজাতির পেঙ্গুইন বলে ভাবা হয়। একমাত্র নিউজিল্যান্ডেই এই পেঙ্গুইন দেখা যায়।

নিউজিল্যান্ড এমন একটি দেশ, যেখানে প্রকৃতি সব সময়ই মানুষের জীবনের অংশ হয়ে থাকে। দেশটিতে শৈশব থেকেই নাগরিকদের মধ্যে দেশীয় পাখি ভালোবাসতে শেখানো হয়।

এমনই একজন এমা রসন। তিনি বলেন, ‘পাখি আমাদের হৃদয় ও আত্মা।’ রসন অবশ্য হোইহোকে নয়, বরং ‘রুরু’ নামে একটি ছোট্ট বাদামি রঙের প্যাঁচার পক্ষে ভোটের প্রচার চালিয়েছিলেন। রুরু ভোটে চতুর্থ স্থান পায়।

নিউজিল্যান্ডের একমাত্র স্থানীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী হলো বাদুড়। দেশটিতে আছে সামুদ্রিক নানা প্রজাতির প্রাণীও। কিন্তু সেখানে নিজস্ব বা দেশীয় পাখি খুব একটা নেই। যে কারণে দেশটিতে পাখি মানুষের কাছে দারুণ প্রিয়।

হোইহো পেঙ্গুইন শুধু নিউজিল্যান্ডের সাউথ ও চাথাম দ্বীপে দেখা যায়। গত ১৫ বছরে এই পেঙ্গুইনের সংখ্যা ৭৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফরেস্ট অ্যান্ড বার্ড নামে একটি সংগঠন নিউজিল্যান্ডে পাখি নিয়ে প্রতিবছর এ ভোটের আয়োজন করে।

সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী নিকোলা টকি বলেন, ‘এটিকে পাদপ্রদীপের আলোয় আনার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারত না। ঐতিহ্যবাহী এই পেঙ্গুইন আমাদের চোখের সামনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।’

স্থলভাগে নিবিড় সংরক্ষণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হোইহো পেঙ্গুইন জালে আটকে ও সমুদ্রের পানিতে ডুবে মারা যায় বলেও জানান নিকোলা টকি। আবার, পর্যাপ্ত খাবারও খেতে পায় না পেঙ্গুইনগুলো।