ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

আবারও অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 12
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন। দেশে সামরিক শাসন জারির ব্যর্থ চেষ্টা ঘিরে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এখনও ঝুঁকির মধ্যেই রয়ে গেল। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় অভিশংসন ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে বিরোধী দলগুলো। এর আগে বড় আকারের বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়েছে।

এর আগে ৩ ডিসেম্বর সামরিক শাসন ঘোষণা করলে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট ইউন। ইউনের আদেশের বিরোধিতা করে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীদলীয় সদস্যরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছিল।

তাদের ভোট আর জনগণের বিক্ষোভের কারণে সামরিক শাসন উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট। এরপর থেকেই ইউনের পদত্যাগের জন্য দেশব্যাপী দাবি উঠেছে।

এক সপ্তাহ আগে আয়োজিত প্রথম অভিশংসন ভোট বর্জন করে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল, পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি)। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও এবারও অভিশংসনের মুখোমুখি হচ্ছেন ইউন। দেশটির পিপিপি নেতা হান ডং-হুন অভিশংসন ভোটে সমর্থনের জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৭ জন পিপিপি সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

অভিশংসন প্রস্তাব পাস করাতে পিপিপির অন্তত আটটি ভোট প্রয়োজন বিরোধী দলগুলোর। পার্লামেন্টে ৩০০টি আসনের মধ্যে বিরোধী দলের দখলে রয়েছে ১৯২টি আসন। অভিশংসনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন।

শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে পিপিপির আইনপ্রণেতা আহন চেওল-সু ইউনের অভিশংসন সমর্থন করে বলেছেন, জীবনযাত্রা, অর্থনীতি ও কূটনীতির দ্রুত স্থিতিশীলতার জন্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেব।

এদিকে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টি জানিয়েছে, ইউনের উন্মাদনা আর সহ্য করা সম্ভব নয়। শনিবার সকালে এক দলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইউনের বিষয়ে তাদের অবস্থান একই থাকবে না পরিবর্তিত হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করবেন আইনপ্রণেতারা।

ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটি বলেছে, অভিশংসন প্রত্যাখ্যান করা জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

আবারও অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

আপডেট সময় : ১১:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

 

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন। দেশে সামরিক শাসন জারির ব্যর্থ চেষ্টা ঘিরে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এখনও ঝুঁকির মধ্যেই রয়ে গেল। খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।

রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় অভিশংসন ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে বিরোধী দলগুলো। এর আগে বড় আকারের বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়েছে।

এর আগে ৩ ডিসেম্বর সামরিক শাসন ঘোষণা করলে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট ইউন। ইউনের আদেশের বিরোধিতা করে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীদলীয় সদস্যরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছিল।

তাদের ভোট আর জনগণের বিক্ষোভের কারণে সামরিক শাসন উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট। এরপর থেকেই ইউনের পদত্যাগের জন্য দেশব্যাপী দাবি উঠেছে।

এক সপ্তাহ আগে আয়োজিত প্রথম অভিশংসন ভোট বর্জন করে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল, পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি)। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও এবারও অভিশংসনের মুখোমুখি হচ্ছেন ইউন। দেশটির পিপিপি নেতা হান ডং-হুন অভিশংসন ভোটে সমর্থনের জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৭ জন পিপিপি সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

অভিশংসন প্রস্তাব পাস করাতে পিপিপির অন্তত আটটি ভোট প্রয়োজন বিরোধী দলগুলোর। পার্লামেন্টে ৩০০টি আসনের মধ্যে বিরোধী দলের দখলে রয়েছে ১৯২টি আসন। অভিশংসনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন।

শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে পিপিপির আইনপ্রণেতা আহন চেওল-সু ইউনের অভিশংসন সমর্থন করে বলেছেন, জীবনযাত্রা, অর্থনীতি ও কূটনীতির দ্রুত স্থিতিশীলতার জন্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেব।

এদিকে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টি জানিয়েছে, ইউনের উন্মাদনা আর সহ্য করা সম্ভব নয়। শনিবার সকালে এক দলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইউনের বিষয়ে তাদের অবস্থান একই থাকবে না পরিবর্তিত হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করবেন আইনপ্রণেতারা।

ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটি বলেছে, অভিশংসন প্রত্যাখ্যান করা জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।