ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

ঘুমের সমস্যা দূর করার উপায়

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / 80
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। কেননা ঘুমই সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শারীরিক অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীরের নিশ্চিত ক্ষতিও হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন পর্যাপ্ত ঘুমানোর।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। আর ঘুম না হলে বেশির ভাগ মানুষই মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে লাইক গোনেন। ঘুম কেড়ে নেয় এই মোবাইলের নেশাই। আজকের দিনে কিশোর-কিশোরী থেকে বয়স্ক মানুষ সকলেরই ঘুমের ঘাটতির মূল কারণ সোশ্যাল মিডিয়া। এ ছাড়াও আরও নানা কারণে ঘুমের অসুবিধা হয়।

আমরা সবাই জানি, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। এছাড়া ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, ক্লান্ত লাগে, প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। আর ভালো ঘুম আমাদের শরীরকে ন্যাচারালি হিলিং ও রিপেয়ার করে। তাই চলুন জেনে নিই কীভাবে ঘুমের সমস্যা দূর করা যায়-

ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা
আমাদের শরীরে সার্কেডিয়ান রিদম নামক একটি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা আছে, যাকে দেহঘড়িও বলা হয়। এটি শরীরকে দিনের বেলা সক্রিয় রাখে এবং রাতের বেলা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠা এবং ঘুমাতে যাওয়ার ফলে দেহঘড়িতে একটি রুটিন তৈরি হয়। এই রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঘুমের সমস্যা খানিকটা দূর হবে।

ব্যায়াম করা
ব্যায়াম শুধু যে শরীর ঠিক রাখে তা নয়, নিয়মিত শরীরচর্চা আপনাকে প্রশান্তির ঘুমও দেবে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ইনসমনিয়া সমস্যাগ্রস্ত কিছু মানুষকে নিয়মিত ব্যায়াম করানো হয়। এসময় তাদের অনিদ্রাজনিত সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। এ কারণে প্রতিদিন মিনিমাম ৪০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।

মেডিটেশন
মেডিটেশন শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি অনিদ্রা দূর করা অন্যতম উপায়। এটি আপনার স্ট্রেস কমায়, মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ২০১১ সালে স্টাডি ট্রাসটেড সোর্স এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন ইনসমনিয়া দূর করতে এবং ঘুমের প্যার্টানে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১৫ মিনিট করে মেডিটেশন করার প্র্যাকটিস করুন। কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

ল্যাভেন্ডার অয়েল থেরাপি
অনেক বছর ধরেই অ্যারোমাথেরাপি বেশ জনপ্রিয়। ল্যাভেন্ডার অয়েল মুড ইম্প্রুভ করতে, মাথা ব্যথা কমাতে এবং ভালো ঘুমের সহায়ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বালিশে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করে রাখতে পারেন। সামান্য অ্যাসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ঘাড়ে, পিঠে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।

মেলাটোনিনযুক্ত খাবার
আমাদের স্লিপ সাইকেল বা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এমন একটি হরমোন যার নাম ‘মেলাটোনিন’। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার মাধ্যমে মেলাটোনিন প্রাকৃতিক উপায়ে বৃদ্ধি করা যায়। ডিম, দুধ, মাছ, কলা, বাদাম, মাশরুম, আখরোট এগুলো মেলাটোনিন বৃদ্ধি করতে হেল্প করে। দুশ্চিন্তা না করা, স্ক্রিন টাইম লিমিটেড রাখা- এগুলোও আপনাকে সাহায্য করবে ঘুমের বায়োলজিক্যাল সিস্টেম ঠিক রাখতে।

আমাদের দৈনিক খবার ও জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু উপায়।

পাকা কলা : পাকা কলাতে উপস্হিত ট্রিপটোফ্যান নামক এমিনো এসিড যা সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণকে বাড়িয়ে দেয় এবং ভাল ঘুমের জন্য সহায়ক। কলাতে পটাশিয়াম রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই ২টি মিনারেল আমাদের মাংসপেশীকে ঘুমের পূর্বে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। ফলে রাতভর আপনি একটা গভীর নিদ্রায় যেতে পারেন।

দুধ : কলার মত দুধেও ট্রিপটোফ্যান এমিনো এসিড উপস্হিত যা সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণকে বাড়িয়ে দেয় এবং ভাল ঘুমের জন্য সহায়ক। এছাড়া দুধের ক্যালসিয়াম অনিদ্রা দূর করতে সহায়ক। ঘুমুতে যাওয়ার ১ ঘন্টা পূর্বে ১ গ্লাস গরম দুধের সাথে ১ চা চামচ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন একটা গভীর ঘুমের জন্য।

জিরার গুড়া : ১চা চামচ জিরার গুড়া ১টা পাকা কলার সাথে চটকিয়ে খেতে পারেন ঘুমানোর ১ ঘন্টা পূর্বে। বিশেষ করে অজীর্ণ থেকে সৃষ্ট অনিদ্রা দূরীকরণে বেশ কার্যকর।

জাফরান গুড়া : জাফরানের সেডেটিভ প্রপারটিস ঘুমের জন্য ভাল কাজ করে। ঘুমুতে যাওয়ার আগে ১কাপ গরম পানির সাথে ১ চা চামচ জাফরান গুড়া মিশিয়ে পান করতে পারেন ভাল ঘুমের জন্য।

মেথি পাতার রস : মেথি গাছের পাতার ২ চামচ রসের সাথে ১চামচ মধু মিশিয়ে প্রতহ খেতে পারেন ভাল নিদ্রার জন্য। মধু মানসিক অস্থিরতা দূর করে মনে আনে প্রশান্তি, যা একটা ভাল ঘুমের জন্য খুবই দরকারি।

অপেল সিডার ভিনেগার : ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে ২চা চামচ পরিমাণ আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।এই দ্রবণ সেরোটোনিন এবং ইনসুলিন হরমনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয় যা ভাল ঘুমের জন্য দারুন কাজ করে থাকে।

গোসল : ঘুমুতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে লেমন অয়েল বা ক্যামোমাইল অয়েল বা রোজমেরী অয়েল বা লেভেনডার অয়েল এর ভিতর থেকে যে কোন ১টি অয়েল কয়েক ফোটা মিশিয়ে লম্বা ১টা গোসল দিতে পারেন। এর ফলে আপনার শরীরের প্রন্তীয় স্নায়ুসুমহ স্নিগ্ধ ও শীতল হয় ও ভাল ঘুমের আনায়ণ করে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ঘুমের সমস্যা দূর করার উপায়

আপডেট সময় : ১১:২৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

 

ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। কেননা ঘুমই সুস্থ শরীরের চাবিকাঠি। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শারীরিক অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি শরীরের নিশ্চিত ক্ষতিও হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন পর্যাপ্ত ঘুমানোর।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। আর ঘুম না হলে বেশির ভাগ মানুষই মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে লাইক গোনেন। ঘুম কেড়ে নেয় এই মোবাইলের নেশাই। আজকের দিনে কিশোর-কিশোরী থেকে বয়স্ক মানুষ সকলেরই ঘুমের ঘাটতির মূল কারণ সোশ্যাল মিডিয়া। এ ছাড়াও আরও নানা কারণে ঘুমের অসুবিধা হয়।

আমরা সবাই জানি, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। এছাড়া ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে, ক্লান্ত লাগে, প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। আর ভালো ঘুম আমাদের শরীরকে ন্যাচারালি হিলিং ও রিপেয়ার করে। তাই চলুন জেনে নিই কীভাবে ঘুমের সমস্যা দূর করা যায়-

ঘুমের নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করা
আমাদের শরীরে সার্কেডিয়ান রিদম নামক একটি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা আছে, যাকে দেহঘড়িও বলা হয়। এটি শরীরকে দিনের বেলা সক্রিয় রাখে এবং রাতের বেলা ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আসে। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠা এবং ঘুমাতে যাওয়ার ফলে দেহঘড়িতে একটি রুটিন তৈরি হয়। এই রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে ঘুমের সমস্যা খানিকটা দূর হবে।

ব্যায়াম করা
ব্যায়াম শুধু যে শরীর ঠিক রাখে তা নয়, নিয়মিত শরীরচর্চা আপনাকে প্রশান্তির ঘুমও দেবে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, ইনসমনিয়া সমস্যাগ্রস্ত কিছু মানুষকে নিয়মিত ব্যায়াম করানো হয়। এসময় তাদের অনিদ্রাজনিত সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। এ কারণে প্রতিদিন মিনিমাম ৪০ মিনিট ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন।

মেডিটেশন
মেডিটেশন শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি অনিদ্রা দূর করা অন্যতম উপায়। এটি আপনার স্ট্রেস কমায়, মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ২০১১ সালে স্টাডি ট্রাসটেড সোর্স এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন ইনসমনিয়া দূর করতে এবং ঘুমের প্যার্টানে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১৫ মিনিট করে মেডিটেশন করার প্র্যাকটিস করুন। কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

ল্যাভেন্ডার অয়েল থেরাপি
অনেক বছর ধরেই অ্যারোমাথেরাপি বেশ জনপ্রিয়। ল্যাভেন্ডার অয়েল মুড ইম্প্রুভ করতে, মাথা ব্যথা কমাতে এবং ভালো ঘুমের সহায়ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বালিশে ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করে রাখতে পারেন। সামান্য অ্যাসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ঘাড়ে, পিঠে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন।

মেলাটোনিনযুক্ত খাবার
আমাদের স্লিপ সাইকেল বা ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে এমন একটি হরমোন যার নাম ‘মেলাটোনিন’। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার মাধ্যমে মেলাটোনিন প্রাকৃতিক উপায়ে বৃদ্ধি করা যায়। ডিম, দুধ, মাছ, কলা, বাদাম, মাশরুম, আখরোট এগুলো মেলাটোনিন বৃদ্ধি করতে হেল্প করে। দুশ্চিন্তা না করা, স্ক্রিন টাইম লিমিটেড রাখা- এগুলোও আপনাকে সাহায্য করবে ঘুমের বায়োলজিক্যাল সিস্টেম ঠিক রাখতে।

আমাদের দৈনিক খবার ও জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে খুব সহজেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু উপায়।

পাকা কলা : পাকা কলাতে উপস্হিত ট্রিপটোফ্যান নামক এমিনো এসিড যা সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণকে বাড়িয়ে দেয় এবং ভাল ঘুমের জন্য সহায়ক। কলাতে পটাশিয়াম রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। এই ২টি মিনারেল আমাদের মাংসপেশীকে ঘুমের পূর্বে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। ফলে রাতভর আপনি একটা গভীর নিদ্রায় যেতে পারেন।

দুধ : কলার মত দুধেও ট্রিপটোফ্যান এমিনো এসিড উপস্হিত যা সেরোটোনিন হরমোনের নিঃসরণকে বাড়িয়ে দেয় এবং ভাল ঘুমের জন্য সহায়ক। এছাড়া দুধের ক্যালসিয়াম অনিদ্রা দূর করতে সহায়ক। ঘুমুতে যাওয়ার ১ ঘন্টা পূর্বে ১ গ্লাস গরম দুধের সাথে ১ চা চামচ দারুচিনির গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন একটা গভীর ঘুমের জন্য।

জিরার গুড়া : ১চা চামচ জিরার গুড়া ১টা পাকা কলার সাথে চটকিয়ে খেতে পারেন ঘুমানোর ১ ঘন্টা পূর্বে। বিশেষ করে অজীর্ণ থেকে সৃষ্ট অনিদ্রা দূরীকরণে বেশ কার্যকর।

জাফরান গুড়া : জাফরানের সেডেটিভ প্রপারটিস ঘুমের জন্য ভাল কাজ করে। ঘুমুতে যাওয়ার আগে ১কাপ গরম পানির সাথে ১ চা চামচ জাফরান গুড়া মিশিয়ে পান করতে পারেন ভাল ঘুমের জন্য।

মেথি পাতার রস : মেথি গাছের পাতার ২ চামচ রসের সাথে ১চামচ মধু মিশিয়ে প্রতহ খেতে পারেন ভাল নিদ্রার জন্য। মধু মানসিক অস্থিরতা দূর করে মনে আনে প্রশান্তি, যা একটা ভাল ঘুমের জন্য খুবই দরকারি।

অপেল সিডার ভিনেগার : ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে ২চা চামচ পরিমাণ আপেল সিডার ভিনেগার ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।এই দ্রবণ সেরোটোনিন এবং ইনসুলিন হরমনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয় যা ভাল ঘুমের জন্য দারুন কাজ করে থাকে।

গোসল : ঘুমুতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে লেমন অয়েল বা ক্যামোমাইল অয়েল বা রোজমেরী অয়েল বা লেভেনডার অয়েল এর ভিতর থেকে যে কোন ১টি অয়েল কয়েক ফোটা মিশিয়ে লম্বা ১টা গোসল দিতে পারেন। এর ফলে আপনার শরীরের প্রন্তীয় স্নায়ুসুমহ স্নিগ্ধ ও শীতল হয় ও ভাল ঘুমের আনায়ণ করে।