ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

ফুটপাতের পানীয়তে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / 112
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নগরীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। উত্তপ্ত হচ্ছে চারপাশ, ক্লান্ত হচ্ছে জনজীবন। ব্যস্ত নগরীতে রোদে পুড়ে একটু শীতলতা খুঁজে বেরাচ্ছে নগরবাসী। তীব্র গরমে কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠা শ্রমজীবীরা প্রাণ জুড়াতে হাতে তুলে নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের পানীয়।

স্বচ্ছল মানুষেরা বিভিন্ন জুসবার বা ডাবের পানিতে তৃষ্ণা মেটালেও স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা রাস্তার পাশের রকমারি শরবতের দোকানগুলো। এসব দোকান থেকে নানা রকম ঠান্ডা পানীয় পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন তারা।

কোথাও স্যালাইন মিশ্রিত নানা শরবত আবার কোথাও লেবুর শরবত। কোমল পানীয় না খেয়ে এসব শরবত খেলে যে আপনার শরীরের ভালো হবে এমন নয়। বরং ফুটপাতের শরবত নিয়ে রয়েছে অসংখ্য শঙ্কা।

তৃষ্ণা মেটালেও প্রশ্ন থেকে যায়, পথের ধারের এসব পানীয় কতটা নিরাপদ? কী ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন নগরীর স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলো যারা জেনে বা না জেনে কিংবা সাধ্য অনুযায়ী রাস্তার পাশের এসব পানীয়গুলো পান করছেন?

কৃত্রিম রঙ নিয়ে শঙ্কা
গরমের দিনে আমরা দেখি রাস্তাঘাটে নানা ধরনের শরবতসহ মুখরোচক খাবার বিক্রি করছে। কখনো কখনো এসব খাবারকে আকর্ষণীয় করার জন্য নানা ধরনের কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো খুবই বিপজ্জনক। সচরাচর ট্যাং বলতে যে ফ্লেভার মিশ্রিত পানীয় আমরা পান করি তা স্বাস্থ্যকর নয়। ট্যাং-এর অতীতে যে ব্র্যান্ড ছিল তার অনুকরণে দেশীয় অনেক ব্র্যান্ড এসেছে যা কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করে। এসব কৃত্রিম রঙ আপনার কিডনি আর লিভারের জন্য ভালো নয়। অনেক সময় তা কোমল পানীয়র মতোই ডিহাইড্রেশনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা
ফুটপাতের শরবতে কোন পানি ব্যবহার করা হচ্ছে তা কি একবারও ভেবে দেখেছেন? পানিবাহিত নানা জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ার এক ধরনের শঙ্কা ঠিকই থাকে। এসব শরবত থেকে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। রাস্তাঘাটের শরবতে যে পানি ব্যবহার করা হয় তা অবশ্যই নানাভাবে ক্ষতিকর। পেটের পীড়া বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেওয়া বাদেও নানা ধরনের ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা থাকে। যে পানি শরবতে দেওয়া হচ্ছে তা যে ফিল্টার করা তাও প্রতীয়মান হয় না।

স্বাস্থ্যঝুঁকি
দিনে অন্তত প্রায় ৬০০ মানুষের কাছে একজন বিক্রেতার শরবত বিক্রি হলেও তারা গ্লাস ব্যবহার করেন পাঁচ থেকে ছয়টি। একজনের খাওয়া শেষ হলে সাধারণ পানি দিয়ে ধোয়ার পর সেই গ্লাসে আবারও শরবত পরিবেশন করা হচ্ছে আরেকজনকে। আবার লেবুর রস যে যন্ত্র দিয়ে চিপে বের করা হচ্ছে, তাতেও ময়লা জমে থাকতে দেখা গেছে। এসব কারণে ফুটপাতে শরবতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখছেন চিকিত্সকরা। এসব শরবতে লবণ, চিনি বা অন্য ফলও থাকে। কিন্তু যেভাবে প্রস্তুত করা হয় তা কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। এসব দিক নিয়েও ভাবা জরুরি। এক্ষেত্রে সঙ্গে পানি রাখবেন, যখন সুযোগ পাবেন। পানির সঙ্গে ওরস্যালাইন মিশিয়ে পান করুন। বাইরের শরবত যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলুন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ফুটপাতের পানীয়তে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

 

নগরীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। উত্তপ্ত হচ্ছে চারপাশ, ক্লান্ত হচ্ছে জনজীবন। ব্যস্ত নগরীতে রোদে পুড়ে একটু শীতলতা খুঁজে বেরাচ্ছে নগরবাসী। তীব্র গরমে কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠা শ্রমজীবীরা প্রাণ জুড়াতে হাতে তুলে নিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের পানীয়।

স্বচ্ছল মানুষেরা বিভিন্ন জুসবার বা ডাবের পানিতে তৃষ্ণা মেটালেও স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা রাস্তার পাশের রকমারি শরবতের দোকানগুলো। এসব দোকান থেকে নানা রকম ঠান্ডা পানীয় পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন তারা।

কোথাও স্যালাইন মিশ্রিত নানা শরবত আবার কোথাও লেবুর শরবত। কোমল পানীয় না খেয়ে এসব শরবত খেলে যে আপনার শরীরের ভালো হবে এমন নয়। বরং ফুটপাতের শরবত নিয়ে রয়েছে অসংখ্য শঙ্কা।

তৃষ্ণা মেটালেও প্রশ্ন থেকে যায়, পথের ধারের এসব পানীয় কতটা নিরাপদ? কী ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন নগরীর স্বল্প আয়ের এই মানুষগুলো যারা জেনে বা না জেনে কিংবা সাধ্য অনুযায়ী রাস্তার পাশের এসব পানীয়গুলো পান করছেন?

কৃত্রিম রঙ নিয়ে শঙ্কা
গরমের দিনে আমরা দেখি রাস্তাঘাটে নানা ধরনের শরবতসহ মুখরোচক খাবার বিক্রি করছে। কখনো কখনো এসব খাবারকে আকর্ষণীয় করার জন্য নানা ধরনের কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে। এগুলো খুবই বিপজ্জনক। সচরাচর ট্যাং বলতে যে ফ্লেভার মিশ্রিত পানীয় আমরা পান করি তা স্বাস্থ্যকর নয়। ট্যাং-এর অতীতে যে ব্র্যান্ড ছিল তার অনুকরণে দেশীয় অনেক ব্র্যান্ড এসেছে যা কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করে। এসব কৃত্রিম রঙ আপনার কিডনি আর লিভারের জন্য ভালো নয়। অনেক সময় তা কোমল পানীয়র মতোই ডিহাইড্রেশনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা
ফুটপাতের শরবতে কোন পানি ব্যবহার করা হচ্ছে তা কি একবারও ভেবে দেখেছেন? পানিবাহিত নানা জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ার এক ধরনের শঙ্কা ঠিকই থাকে। এসব শরবত থেকে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। রাস্তাঘাটের শরবতে যে পানি ব্যবহার করা হয় তা অবশ্যই নানাভাবে ক্ষতিকর। পেটের পীড়া বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেওয়া বাদেও নানা ধরনের ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা থাকে। যে পানি শরবতে দেওয়া হচ্ছে তা যে ফিল্টার করা তাও প্রতীয়মান হয় না।

স্বাস্থ্যঝুঁকি
দিনে অন্তত প্রায় ৬০০ মানুষের কাছে একজন বিক্রেতার শরবত বিক্রি হলেও তারা গ্লাস ব্যবহার করেন পাঁচ থেকে ছয়টি। একজনের খাওয়া শেষ হলে সাধারণ পানি দিয়ে ধোয়ার পর সেই গ্লাসে আবারও শরবত পরিবেশন করা হচ্ছে আরেকজনকে। আবার লেবুর রস যে যন্ত্র দিয়ে চিপে বের করা হচ্ছে, তাতেও ময়লা জমে থাকতে দেখা গেছে। এসব কারণে ফুটপাতে শরবতে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখছেন চিকিত্সকরা। এসব শরবতে লবণ, চিনি বা অন্য ফলও থাকে। কিন্তু যেভাবে প্রস্তুত করা হয় তা কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। এসব দিক নিয়েও ভাবা জরুরি। এক্ষেত্রে সঙ্গে পানি রাখবেন, যখন সুযোগ পাবেন। পানির সঙ্গে ওরস্যালাইন মিশিয়ে পান করুন। বাইরের শরবত যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলুন।