ঢাকা ০৮:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার আইন যেন তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়: টিআইবি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / 62
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য যে আইন তৈরি হচ্ছে তা যেন ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন যৌথভাবে আয়োজিত ‘খসড়া ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানান।

এসময় ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইনের জন্য স্পষ্টভাবে ব্যক্তি এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া এটি নির্মাণে ডেটাসেন্টার নির্মাণ ও স্থানীয়করণের জন্য আমরা প্রস্তুত নই এবং আমাদের অবকাঠামোগত দুর্বলতাও আছে। আর সেটি যদি করাই হয়, তবে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে তা নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। আর এটাকে আমরা একটি কমিশন হিসেবে দেখতে চাই এবং তা অবশ্যই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে। সরকারের কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক্সেস থাকতে পারে তবে তা জুডিশিয়ারি মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য যে আইনটি তৈরি করা হচ্ছে, আমরা চাই তা যেন ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গায় পরিণত না হয়।

আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, আমরা অধিকারভিত্তিক দিক নির্দেশনা দেখতে চাই এই আইনে। মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বা মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করতে এই আইন প্রয়োজন। আর অপব্যবহারের জন্যই যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার; সেভাবেই যেন এই আইনটাও আইনটা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনে ব্যক্তিগত উপাত্তের সুস্পষ্ট সঙ্গা থাকা উচিত। এটার জন্য যে ডেটা সেন্টার, তা নির্মাণে সবসময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা শীতল স্থান প্রয়োজন। সেই সুবিধা বাংলাদেশে কতটুকু? যেখানে এখনো বাংলাদেশ নিজেদের বিদ্যুৎ ঘাটতিই মেটাতে পারেনি। এছাড়া তথ্য সুরক্ষায় এটার জন্য ডেটা সেন্টার দেশে তৈরির বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। সেটি বাইরে হওয়াটাই উত্তম, তাতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। আর এটা করার মাধ্যমে আমরা সরকারকেই সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক যে এখানে অনেক ভালো দিক আছে, তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেমন ভালো দিকের তুলনায় খারাপটা আমরা বেশি দেখেছি, এটা এভাবে হলে এখানেও ঠিক তাই হবে। আর ডেটা প্রটেকশন অফিসার, ট্রেনিংপ্রাপ্ত ব্যক্তি এদেশে নেই। সেখান থেকে টেকনিক্যাল পরিবর্তনও প্রয়োজন।

টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন এর যৌথ উদ্যোগে সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার আইন যেন তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়: টিআইবি

আপডেট সময় : ০২:০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

 

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য যে আইন তৈরি হচ্ছে তা যেন ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গা না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (২৮ এপ্রিল) টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন যৌথভাবে আয়োজিত ‘খসড়া ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানান।

এসময় ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আইনের জন্য স্পষ্টভাবে ব্যক্তি এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া এটি নির্মাণে ডেটাসেন্টার নির্মাণ ও স্থানীয়করণের জন্য আমরা প্রস্তুত নই এবং আমাদের অবকাঠামোগত দুর্বলতাও আছে। আর সেটি যদি করাই হয়, তবে অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে তা নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। আর এটাকে আমরা একটি কমিশন হিসেবে দেখতে চাই এবং তা অবশ্যই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে। সরকারের কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক্সেস থাকতে পারে তবে তা জুডিশিয়ারি মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য যে আইনটি তৈরি করা হচ্ছে, আমরা চাই তা যেন ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ন্ত্রণের জায়গায় পরিণত না হয়।

আর্টিকেল নাইনটিনের আঞ্চলিক পরিচালক (বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া) শেখ মনজুর-ই-আলম বলেন, আমরা অধিকারভিত্তিক দিক নির্দেশনা দেখতে চাই এই আইনে। মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বা মৌলিক অধিকার সুরক্ষা করতে এই আইন প্রয়োজন। আর অপব্যবহারের জন্যই যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার; সেভাবেই যেন এই আইনটাও আইনটা তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আইনে ব্যক্তিগত উপাত্তের সুস্পষ্ট সঙ্গা থাকা উচিত। এটার জন্য যে ডেটা সেন্টার, তা নির্মাণে সবসময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বা শীতল স্থান প্রয়োজন। সেই সুবিধা বাংলাদেশে কতটুকু? যেখানে এখনো বাংলাদেশ নিজেদের বিদ্যুৎ ঘাটতিই মেটাতে পারেনি। এছাড়া তথ্য সুরক্ষায় এটার জন্য ডেটা সেন্টার দেশে তৈরির বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়। সেটি বাইরে হওয়াটাই উত্তম, তাতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। আর এটা করার মাধ্যমে আমরা সরকারকেই সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এটা ঠিক যে এখানে অনেক ভালো দিক আছে, তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেমন ভালো দিকের তুলনায় খারাপটা আমরা বেশি দেখেছি, এটা এভাবে হলে এখানেও ঠিক তাই হবে। আর ডেটা প্রটেকশন অফিসার, ট্রেনিংপ্রাপ্ত ব্যক্তি এদেশে নেই। সেখান থেকে টেকনিক্যাল পরিবর্তনও প্রয়োজন।

টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন এর যৌথ উদ্যোগে সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।