ঢাকা ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

ব্যাংক থেকে ৪৫৫৫৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
  • / 60
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার চেয়ে পরিশোধ হচ্ছিল বেশি। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ঋণ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার নিট ৪৫ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম সাত মাসে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার চেয়ে পরিশোধ বেশি ছিল ১২০ কোটি টাকা। আশানুরূপ রাজস্ব আদায় না হওয়া, সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমে যাওয়া, বিদেশি ঋণ পরিশোধে খরচ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। অবশ্য ঋণের সবই নেওয়া হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে। মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ না বেড়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা কমছে। এর মধ্যে আবার ডলারের উচ্চ দরের কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধে সরকারের খরচ অনেক বেড়েছে। আবার আশানুরূপ বিদেশি ঋণও আসছে না। যে কারণে প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে সরকারকে কিছু ঋণ নিতে হচ্ছে। অবশ্য সরকারের এ ঋণ চলতি অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় খুব কম। চলতি অর্থবছর ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বাণিজিক ব্যাংক থেকে সরকার নিয়েছে ৬৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করেছে ১৯ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা। এতে নিট ঋণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেখানে ঋণ বেড়েছিল ১০ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ স্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৫ হাজার কোটি টাকা। আর বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।

সঞ্চয়পত্রের চেয়ে এখন ট্রেজারি বিল ও বন্ডে সুদহার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আবার বিল বন্ডের সুদ আয়ের বিপরীতে কোনো কর দিতে হয় না। এখানে কেনারও নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। যে কারণে এখন বিনিয়োগকারীদের অনেকে সঞ্চয়পত্র থেকে টাকা তুলে বিল ও বন্ডে রাখছেন। ফলে অন্য সব ব্যবস্থার চেয়ে এখানে সুদহার বাড়ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ব্যাংক থেকে ৪৫৫৫৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

 

সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার চেয়ে পরিশোধ হচ্ছিল বেশি। গত ফেব্রুয়ারি থেকে ঋণ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার নিট ৪৫ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম সাত মাসে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার চেয়ে পরিশোধ বেশি ছিল ১২০ কোটি টাকা। আশানুরূপ রাজস্ব আদায় না হওয়া, সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ কমে যাওয়া, বিদেশি ঋণ পরিশোধে খরচ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে এখন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। অবশ্য ঋণের সবই নেওয়া হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে। মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ না বেড়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা কমছে। এর মধ্যে আবার ডলারের উচ্চ দরের কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধে সরকারের খরচ অনেক বেড়েছে। আবার আশানুরূপ বিদেশি ঋণও আসছে না। যে কারণে প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে সরকারকে কিছু ঋণ নিতে হচ্ছে। অবশ্য সরকারের এ ঋণ চলতি অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় খুব কম। চলতি অর্থবছর ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বাণিজিক ব্যাংক থেকে সরকার নিয়েছে ৬৫ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা। একই সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিশোধ করেছে ১৯ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা। এতে নিট ঋণ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেখানে ঋণ বেড়েছিল ১০ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ স্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৬৫ হাজার কোটি টাকা। আর বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।

সঞ্চয়পত্রের চেয়ে এখন ট্রেজারি বিল ও বন্ডে সুদহার বেশি পাওয়া যাচ্ছে। আবার বিল বন্ডের সুদ আয়ের বিপরীতে কোনো কর দিতে হয় না। এখানে কেনারও নির্দিষ্ট কোনো সীমা নেই। যে কারণে এখন বিনিয়োগকারীদের অনেকে সঞ্চয়পত্র থেকে টাকা তুলে বিল ও বন্ডে রাখছেন। ফলে অন্য সব ব্যবস্থার চেয়ে এখানে সুদহার বাড়ছে।