ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের Logo ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত Logo জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবে ইসি Logo ইতিহাস গড়ল কেটি পেরি ও পাঁচ নারী, সফল ‘অল-ফিমেল’ মহাকাশযাত্রা Logo গরমে স্বস্তি দেবে যেসব খাবার Logo ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমনে হাভার্ডের ২২০ কোটি ডলারের তহবিল স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন Logo সরকারি বরাদ্দে ১৯-২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনের সময়রেখা ঘোষণা Logo আশা, সহনশীলতা আর পুনর্জাগরণের বার্তায় বর্ষবরণ, গাজায় নিহতদের স্মরণ Logo গসিপ বা পরচর্চা কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?

‘রেলের ভাড়া বৃদ্ধি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • / 166
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রেলে ৪ মে থেকে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে ১৫টি রুটে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী ও মানুষের ওপর নতুন অত্যাচার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এ সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) এক বিবৃতিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অসহনীয় ও লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দেশের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে, সে সময় রেলের ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জীবনে নতুন দুর্ভোগ নিয়ে আসবে। এটা হবে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো। কিছুদিন আগে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সমস্ত জিনিসের দাম আরেক দফা বেড়েছে। এখন বাড়ানো হচ্ছে অন্যান্য সেবার মূল্য।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত রেলযাত্রায় ১০০ কিলোমিটারের অধিক ভ্রমণে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) দেওয়া হতো। এ রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করায় প্রধান ১৫টি রুটে সুলভ, শোভন, শোভন চেয়ারে রেল ভাড়া ২০ শতাংশ ও প্রথম শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ বাড়বে। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে রাজস্ব আয় ৩০০ কোটি টাকা বাড়বে।

সাইফুল হক বলেন, রেলের মেগা প্রকল্পগুলোতে যেখানে শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হচ্ছে, সেখানে মাত্র ৩০০ কোটি টাকার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি ভাড়া চাপানোর কোনো যুক্তি নেই। একই রকম যুক্তিতে এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ানোর পরেও রেলে লোকসান কমেনি।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণের ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তাতে লোকসান কমেনি। রেলে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার কারণেই রেলকে পঙ্গু করে লোকসানি খাত হিসাবে দেখানো হয়। এসব অপতৎপরতার দায় মানুষ কেন নেবে?

গোটা রেল ব্যবস্থাপনায় কালো বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে, অভিযোগ করে সাইফুল হক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ রেলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ছাড়া দেশের প্রধান এই গণপরিবহনকে লাভজনক করা যাবে না।

সরকারকে এই ‘গণবিরোধী’ পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

‘রেলের ভাড়া বৃদ্ধি কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’

আপডেট সময় : ১০:২৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

রেলে ৪ মে থেকে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে ১৫টি রুটে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী ও মানুষের ওপর নতুন অত্যাচার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এ সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) এক বিবৃতিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অসহনীয় ও লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে যখন দেশের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে, সে সময় রেলের ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের জীবনে নতুন দুর্ভোগ নিয়ে আসবে। এটা হবে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো। কিছুদিন আগে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সমস্ত জিনিসের দাম আরেক দফা বেড়েছে। এখন বাড়ানো হচ্ছে অন্যান্য সেবার মূল্য।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত রেলযাত্রায় ১০০ কিলোমিটারের অধিক ভ্রমণে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) দেওয়া হতো। এ রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করায় প্রধান ১৫টি রুটে সুলভ, শোভন, শোভন চেয়ারে রেল ভাড়া ২০ শতাংশ ও প্রথম শ্রেণিতে ৩০ শতাংশ বাড়বে। যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, এর ফলে রাজস্ব আয় ৩০০ কোটি টাকা বাড়বে।

সাইফুল হক বলেন, রেলের মেগা প্রকল্পগুলোতে যেখানে শত শত, হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হচ্ছে, সেখানে মাত্র ৩০০ কোটি টাকার জন্য দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বাড়তি ভাড়া চাপানোর কোনো যুক্তি নেই। একই রকম যুক্তিতে এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়ানোর পরেও রেলে লোকসান কমেনি।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত রেলের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণের ৭২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও তাতে লোকসান কমেনি। রেলে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার কারণেই রেলকে পঙ্গু করে লোকসানি খাত হিসাবে দেখানো হয়। এসব অপতৎপরতার দায় মানুষ কেন নেবে?

গোটা রেল ব্যবস্থাপনায় কালো বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে, অভিযোগ করে সাইফুল হক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ রেলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ছাড়া দেশের প্রধান এই গণপরিবহনকে লাভজনক করা যাবে না।

সরকারকে এই ‘গণবিরোধী’ পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।