ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহারের কথা জানাল ডিএমপি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / 84
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

তীব্র দাবদাহে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। তাদের কথা বিবেচনা করে আগামীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এসএম মেহেদি হাসান।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি হেড কোয়ার্টারের মিডিয়া সেন্টারে ‘অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানের বিষয়ে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মেহেদি হাসান বলেন, ইতোমধ্যে গুলশানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিং কন্ট্রোল করা হচ্ছে। যা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আমরা পরিচালনা করছি। এভাবে গুলশানের মতো ঢাকা শহরের অন্যান্য জায়গায় এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কীভাবে কাজ শুরু করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।

তিনি বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামনে হয়তো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে মেহেদি হাসান বলেন, এটি আমাদের দাফতরিক কাজেরই অংশ। তারপরও ইদানীং আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত ৩ হাজারের অধিক ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমরা মেয়াদ নেই এমন ২ হাজারের অধিক যানবাহন ডাম্পিং করেছি।

ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ডিএমপির পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদি হাসান বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা আমরা ডাম্পিং করেছি। বিশেষভাবে আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।

যত্রতত্র পার্কিং ও স্টপেজে গাড়ি না থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার বিষয়ে ডিএমপির অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদি বলেন,
আমাদের ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি যত্রতত্র পার্কিং না করতে এবং নির্দিষ্ট স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে। কেউ অনিয়ম করলে আমরা জরিমানা ও মামলা দিয়ে থাকি।

অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার বিষয়ে মেহেদি হাসান বলেন, ঢাকার রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি অফিস, পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহন দেখা যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের আত্মীয়-স্বজনরাই পুলিশের স্টিকার ব্যবহার করছেন। এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার, পুলিশের স্টিকার, সাংবাদিকদের স্টিকার ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্যই জননিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মেহেদি হাসান বলেন, ঢাকা শহরের ৮টি ট্রাফিক বিভাগ একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করছে। যারা এসব অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিএমপি থেকে জনসাধারণকে এ বিষয়ে অবহিত করার পাশাপাশি তাদের অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

তিনি বলেন, এসব স্টিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায় সরকারি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন, পুলিশের আত্মীয়-স্বজন, আমাদের নিজেদের মানুষজনই অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করছেন। আবার অনেক সময় এসবের বাহিরেও সাধারণ মানুষ এসব স্টিকার ব্যবহার করছেন। তাদের আমি অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা এসব স্টিকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন।

এ পর্যন্ত ৩৬০টি অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার বন্ধ করুন। না হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আইনগত কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মেহেদি হাসান বলেন, আমরা এমন অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার পেলে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করছি, মামলা দিচ্ছি। পাশাপাশি যিনি এ ধরনের অপরাধ করছেন তিনি কোন প্রতিষ্ঠানের, ও কার আত্মীয় সেসব বের করে সেই আত্মীয় ও প্রতিষ্ঠানকে এসব অবৈধ স্টিকার ব্যবহার করার তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করছি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই ব্যবহারের কথা জানাল ডিএমপি

আপডেট সময় : ০১:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

 

তীব্র দাবদাহে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। তাদের কথা বিবেচনা করে আগামীতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এসএম মেহেদি হাসান।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি হেড কোয়ার্টারের মিডিয়া সেন্টারে ‘অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অভিযানের বিষয়ে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মেহেদি হাসান বলেন, ইতোমধ্যে গুলশানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিং কন্ট্রোল করা হচ্ছে। যা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আমরা পরিচালনা করছি। এভাবে গুলশানের মতো ঢাকা শহরের অন্যান্য জায়গায় এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কীভাবে কাজ শুরু করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।

তিনি বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামনে হয়তো এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই ঢাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে মেহেদি হাসান বলেন, এটি আমাদের দাফতরিক কাজেরই অংশ। তারপরও ইদানীং আমরা এ বিষয়ে জোর দিয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত ৩ হাজারের অধিক ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমরা মেয়াদ নেই এমন ২ হাজারের অধিক যানবাহন ডাম্পিং করেছি।

ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে ডিএমপির পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদি হাসান বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত রিকশা আমরা ডাম্পিং করেছি। বিশেষভাবে আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।

যত্রতত্র পার্কিং ও স্টপেজে গাড়ি না থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার বিষয়ে ডিএমপির অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদি বলেন,
আমাদের ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্টদের বলেছি যত্রতত্র পার্কিং না করতে এবং নির্দিষ্ট স্টপেজে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে। কেউ অনিয়ম করলে আমরা জরিমানা ও মামলা দিয়ে থাকি।

অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার বিষয়ে মেহেদি হাসান বলেন, ঢাকার রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরকারি অফিস, পুলিশ ও সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠানের নামে এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহন দেখা যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের আত্মীয়-স্বজনরাই পুলিশের স্টিকার ব্যবহার করছেন। এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের স্টিকার, পুলিশের স্টিকার, সাংবাদিকদের স্টিকার ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। অন্যায় করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আর এ জন্যই জননিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা এসব অননুমোদিত ও অবৈধ স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মেহেদি হাসান বলেন, ঢাকা শহরের ৮টি ট্রাফিক বিভাগ একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করছে। যারা এসব অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডিএমপি থেকে জনসাধারণকে এ বিষয়ে অবহিত করার পাশাপাশি তাদের অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

তিনি বলেন, এসব স্টিকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেখা যায় সরকারি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আত্মীয়-স্বজন, পুলিশের আত্মীয়-স্বজন, আমাদের নিজেদের মানুষজনই অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার করছেন। আবার অনেক সময় এসবের বাহিরেও সাধারণ মানুষ এসব স্টিকার ব্যবহার করছেন। তাদের আমি অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা এসব স্টিকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন।

এ পর্যন্ত ৩৬০টি অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকারযুক্ত যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার ব্যবহার বন্ধ করুন। না হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আইনগত কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মেহেদি হাসান বলেন, আমরা এমন অবৈধ ও অননুমোদিত স্টিকার পেলে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করছি, মামলা দিচ্ছি। পাশাপাশি যিনি এ ধরনের অপরাধ করছেন তিনি কোন প্রতিষ্ঠানের, ও কার আত্মীয় সেসব বের করে সেই আত্মীয় ও প্রতিষ্ঠানকে এসব অবৈধ স্টিকার ব্যবহার করার তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করছি।