ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

নষ্ট হচ্ছে সাড়ে ৬শ কোটি টাকার ডেমু ট্রেন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / 62
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রেলের টাকা যেন গৌরী সেনের। সাড়ে ৬শ কোটি টাকায় কেনা ২০টি ডেমু ট্রেনই বিকল হয়ে পড়ে আছে ওয়ার্কশপে। রেলের মেরামত সক্ষমতা না থাকায় ট্রেনগুলো স্থায়ীভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে। কেনার সিদ্ধান্তকে ভুল আখ্যা দিয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলছেন, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না করেই কেনা হয় ট্রেনগুলো।

মেরামত সক্ষমতা না থাকায় ডেমু ট্রেনগুলো স্থায়ীভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে

ডেমুগুলো ২০১৪ সালে কেনা হয় ৬৫০ কোটি টাকা দিয়ে। চার দশক সেবা দেয়ার কথা থাকলেও কেনার পর থেকেই বিকল হতে শুরু করে এগুলো। সরেজমিনে দেখা যায়, পরিত্যক্ত ট্রেনের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে রেলের ওয়ার্কশপ। মেয়াদোত্তীর্ণ নষ্ট ট্রেনগুলো পড়ে আছে ওয়ার্কশপজুড়ে।

দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ঘন জঙ্গলে ঢেকে গেছে ট্রেন; জং ধরে ক্ষয়ে পড়ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। অবহেলা-অযত্নে ট্রেনগুলো এখন স্থায়ীভাবে নষ্টের পথে। কোচ ও ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলোও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেই রেলের।

মেকানিকরা বলছেন, দেশে ডেমু মেরামতে নেই কোনো ওয়ার্কশপ; কোনো ট্রেনিংও দেয়া হয়নি তাদের। ফলে প্রযুক্তিগত কোনো ধারণা না থাকায় ট্রেনগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ডেমুর যন্ত্রাংশও নেই দেশের বাজারে।

রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না করেই ডেমু কেনা হয় জানিয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীর সহজ স্বীকারোক্তি, ভুল ছিল সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে কী প্রয়োজন হবে, সেই বিষয়টি তাদেরকে ওই সময় বিবেচনা করা দরকার ছিল। তবে ব্যর্থতার দায়ভার কেউ নিতে না চাইলেও দেশীয় প্রযুক্তিতে ডেমু মেরামতের কথা ভাবছে রেল। এ বিষয়ে তিনি বলেন,

এই মুহূর্তে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এ বিষয়ে একটা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আরেকটি পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। যদি সম্ভব হয়, তবে চালু করা হবে। না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

২০২১-২২ অর্থ বছরে ২১ কোটি টাকা খরচ করে একটি ট্রেনও সচল করা সম্ভব হয়নি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

নষ্ট হচ্ছে সাড়ে ৬শ কোটি টাকার ডেমু ট্রেন

আপডেট সময় : ০২:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

 

রেলের টাকা যেন গৌরী সেনের। সাড়ে ৬শ কোটি টাকায় কেনা ২০টি ডেমু ট্রেনই বিকল হয়ে পড়ে আছে ওয়ার্কশপে। রেলের মেরামত সক্ষমতা না থাকায় ট্রেনগুলো স্থায়ীভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে। কেনার সিদ্ধান্তকে ভুল আখ্যা দিয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলছেন, রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না করেই কেনা হয় ট্রেনগুলো।

মেরামত সক্ষমতা না থাকায় ডেমু ট্রেনগুলো স্থায়ীভাবে নষ্ট হতে যাচ্ছে

ডেমুগুলো ২০১৪ সালে কেনা হয় ৬৫০ কোটি টাকা দিয়ে। চার দশক সেবা দেয়ার কথা থাকলেও কেনার পর থেকেই বিকল হতে শুরু করে এগুলো। সরেজমিনে দেখা যায়, পরিত্যক্ত ট্রেনের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে রেলের ওয়ার্কশপ। মেয়াদোত্তীর্ণ নষ্ট ট্রেনগুলো পড়ে আছে ওয়ার্কশপজুড়ে।

দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় ঘন জঙ্গলে ঢেকে গেছে ট্রেন; জং ধরে ক্ষয়ে পড়ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। অবহেলা-অযত্নে ট্রেনগুলো এখন স্থায়ীভাবে নষ্টের পথে। কোচ ও ইঞ্জিনসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলোও রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেই রেলের।

মেকানিকরা বলছেন, দেশে ডেমু মেরামতে নেই কোনো ওয়ার্কশপ; কোনো ট্রেনিংও দেয়া হয়নি তাদের। ফলে প্রযুক্তিগত কোনো ধারণা না থাকায় ট্রেনগুলো মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি ডেমুর যন্ত্রাংশও নেই দেশের বাজারে।

রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না করেই ডেমু কেনা হয় জানিয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীর সহজ স্বীকারোক্তি, ভুল ছিল সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে কী প্রয়োজন হবে, সেই বিষয়টি তাদেরকে ওই সময় বিবেচনা করা দরকার ছিল। তবে ব্যর্থতার দায়ভার কেউ নিতে না চাইলেও দেশীয় প্রযুক্তিতে ডেমু মেরামতের কথা ভাবছে রেল। এ বিষয়ে তিনি বলেন,

এই মুহূর্তে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এ বিষয়ে একটা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আরেকটি পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। যদি সম্ভব হয়, তবে চালু করা হবে। না হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

২০২১-২২ অর্থ বছরে ২১ কোটি টাকা খরচ করে একটি ট্রেনও সচল করা সম্ভব হয়নি।