ঘরে বসেই মিলছে সরকারি হাসপাতালের ল্যাব টেস্টের ফলি
- আপডেট সময় : ০৩:২৪:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
- / 83
সরকারি হাসপাতাল মানেই যেন সেবাপ্রার্থীদের দীর্ঘ লাইন। থাকে ভোগান্তিও। তবে এখন ঘরে বসেই মিলছে ল্যাব টেস্টের ফল। তাও মাত্র তিন ঘণ্টায়। প্রথম কোনো সরকারি হাসপাতাল হিসেবে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে এই সুবিধা পাচ্ছেন রোগীরা। এতে ল্যাব টেস্টে ভোগান্তি কমেছে রোগীদের।
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে এখন অনেকটা বদলেছে চিত্র। বিশেষ করে রোগ নির্ণয়ের জন্য নেই রোগীর লম্বা সারি। টাকা জমা দেওয়ার পর নির্বিঘ্নে দেওয়া যায় নমুনা। প্রতিটি নমুনার গায়ে বসানো হয় কিউআর কোড।
সেই নমুনা প্যাথলজি ল্যাবে যাওয়ার পর কোড স্ক্যান করে জমা হয় সার্ভারে। এরপর শুরু হয় রোগ নির্ণয়ের পালা। অল্প সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রস্তুত হলে তা যাচাই করেন চিকিৎসক। তারপর তা আপলোড হয় সার্ভারে। কিউআর কোড স্ক্যান করে এই রিপোর্ট বাসায় বসেই পাচ্ছেন রোগীরা, নেওয়া যায় সরাসরিও।
হাসপাতালে আসা এক সেবাপ্রার্থী বলেন, ‘এখন আর রিপোর্ট পেতে কোনো ঝামেলা নেই। অনেক কম সময়ের মধ্যেই হাসপাতালে এসে অনেক কাজ করা যায়। আমরা হাসপাতালের এই সেবায় অনেক খুশি।’
এ ছাড়া জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের ল্যাবে বসানো হয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি। বদলে গেছে ব্যবস্থাপনাও। সরকারি হাসপাতালের রোগ নির্ণয়ের এমন আয়োজন চোখে পড়ে কম।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান ডা. মোরশেদ আলম বলেন, ‘একজন রোগী সকালে হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করে, রিপোর্ট নিয়ে যেন একদিনেই চিকিৎসকের কাছে দেখিয়ে বাড়িতে ফিরতে পারেন আমরা সেই চেষ্টাই করেছি।’
এই হাসপাতালে প্রতিদিন দুই হাজারের মতো নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। প্যাথলজি পরীক্ষায় ভোগান্তি কমলেও সিটি স্ক্যান ও এমআরআই পরীক্ষায় এখনও আছে দীর্ঘসূত্রতা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজের পরিচালক অধ্যাপক বাবরুল আলম বলেন, ‘আমরা ফুল অটোমেশন চালু করতে যাচ্ছি। যারা আউটডোরে আসেন, তারা চাইলে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে হাসপাতালে আসতে পারবেন। অটোমেশন চালু হলে কোন রোগী কোন রোগী কোন চিকিৎসকের কাছে যাবেন, সেটাও বাড়িতে বসেই জানতে পারবেন।’
বয়স্ক রোগীদের ভোগান্তি কমাতে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে চালু হয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।
নিউজটি শেয়ার করুন