ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

রাজধানীর ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • / 76
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

রাজধানীর ফিটিনেসবিহীন গাড়িগুলোকে স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্তে একমত প্রকাশ করেছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্তের প্রস্তাব করা হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রস্তাব করে বলেন, একটা আলোচনা আছে যে আমাদের পর্যাপ্ত ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাতুয়াইল ভাগাড়ে ৮১ একর জমি রয়েছে, যেখানে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করে থাকি। এর পাশেই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গায় ডাম্পিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা করবো বিনামূল্যে। ঢাকা শহরের যত অবৈধ ফিটনেসবিহীন বাস-ট্রাক জব্দ করা হবে, সেগুলোকে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করে দেবো।

শর্ত দিয়ে তাপস আরও বলেন, তবে ফিটনেসবিহীন যে গাড়িটি জব্দ করা হবে, সেটা সম্পূর্ণ বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেটা মালিকের কাছে ফেরত দেওয়ার কোনও সুযোগ থাকবে না। জব্দ গাড়িগুলোকে আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ধ্বংস করবো। পরে সেই সম্পত্তির মালিক হয়ে যাবে সিটি করপোরেশন। এভাবে যদি করা হয়, তাহলে আমরা মাতুয়াইল ভাগার দিয়ে দেবো।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপের বিষয়েও সম্মতি জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ করার যে প্রস্তাব এসেছে, তা আমরা সমর্থন করছি। ঢাকা শহরে বর্তমানে যেসব পরিবহন আছে, তা দৃষ্টিনন্দন করাই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। মূল উদ্দেশ্য ফিটনেস থাকতে হবে আগে, তারপর দৃষ্টিনন্দনের বিষয়টি আসবে।

গাড়ির ফিটনেস ঠিক করার জন্য ঢাকার বাস-মালিকদের সময় বাড়িয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩১ মে পর্যন্ত। এত অল্প সময়ের মধ্যে হয় না, তাই আমরা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা করছি। ‘বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’ থেকে তো লাভ নেই, তাই আগে ফিটনেসের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমি চাই ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ করা হোক। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি নেই, স্টাফ গাড়িগুলো আছে। যদি থেকেও থাকে, সেগুলো স্ক্র্যাপ করতে মালিক সমিতি সহায়তা করবে।

সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

রাজধানীর ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্ত

আপডেট সময় : ০৫:০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

 

রাজধানীর ফিটিনেসবিহীন গাড়িগুলোকে স্ক্র্যাপ করার সিদ্ধান্তে একমত প্রকাশ করেছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৫ মে) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্তের প্রস্তাব করা হয়।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রস্তাব করে বলেন, একটা আলোচনা আছে যে আমাদের পর্যাপ্ত ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাতুয়াইল ভাগাড়ে ৮১ একর জমি রয়েছে, যেখানে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করে থাকি। এর পাশেই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গায় ডাম্পিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা করবো বিনামূল্যে। ঢাকা শহরের যত অবৈধ ফিটনেসবিহীন বাস-ট্রাক জব্দ করা হবে, সেগুলোকে সেখানে রাখার ব্যবস্থা করে দেবো।

শর্ত দিয়ে তাপস আরও বলেন, তবে ফিটনেসবিহীন যে গাড়িটি জব্দ করা হবে, সেটা সম্পূর্ণ বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেটা মালিকের কাছে ফেরত দেওয়ার কোনও সুযোগ থাকবে না। জব্দ গাড়িগুলোকে আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ধ্বংস করবো। পরে সেই সম্পত্তির মালিক হয়ে যাবে সিটি করপোরেশন। এভাবে যদি করা হয়, তাহলে আমরা মাতুয়াইল ভাগার দিয়ে দেবো।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপের বিষয়েও সম্মতি জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপ করার যে প্রস্তাব এসেছে, তা আমরা সমর্থন করছি। ঢাকা শহরে বর্তমানে যেসব পরিবহন আছে, তা দৃষ্টিনন্দন করাই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। মূল উদ্দেশ্য ফিটনেস থাকতে হবে আগে, তারপর দৃষ্টিনন্দনের বিষয়টি আসবে।

গাড়ির ফিটনেস ঠিক করার জন্য ঢাকার বাস-মালিকদের সময় বাড়িয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩১ মে পর্যন্ত। এত অল্প সময়ের মধ্যে হয় না, তাই আমরা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা করছি। ‘বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট’ থেকে তো লাভ নেই, তাই আগে ফিটনেসের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমি চাই ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ করা হোক। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি নেই, স্টাফ গাড়িগুলো আছে। যদি থেকেও থাকে, সেগুলো স্ক্র্যাপ করতে মালিক সমিতি সহায়তা করবে।

সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।