ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

এভারেস্টের পর বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় বাবর আলীর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • / 75
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের দুই দিন পর বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে (৮৫১৬ মিটার) জয় করেছেন। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাবর আলীর এভারেস্ট-লোৎসে অভিযানের নেপালি এজেন্ট বুদ্ধরাজ ভান্ডারি।

মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে লোৎসের চূড়ায় পৌঁছান তিনি।

বাবর আলীর এভারেস্ট-লোৎসে অভিযানের নেপালী এজেন্ট বুদ্ধরাজ ভান্ডারি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাউন্ট এভারেস্ট লাগোয়া এ লোৎসেতে এর আগে কোনো বাংলাদেশি পৌঁছেননি। কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দু’টি আট হাজারি শৃঙ্গেও চড়েননি। এই লক্ষ্য পূরণ করে বাবার আলী নতুন রেকর্ড গড়লেন।

নেপালের স্নোয়ি হরাইজন নামের ট্রেকিং ও পর্বতাভিযান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে এভারেস্ট ও লোৎসে অভিযানে যান বাবর। তার সঙ্গে আছেন শেরপা বীর বাহাদুর তামাং। নেপাল সময় সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিট) বাবর আলী লোৎসে পর্বতচূড়ায় ওঠেন। এখন অভিযান শেষে নেমে আসার পালা।

বাবরের সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স নিজেদের ফেসবুক পেজে লোৎসে পর্বতজয়ের তথ্য জানিয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে আজ লিখিত হলো অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়। আর লেখক আমাদের স্বপ্ন সারথি-বাবর আলী।…এটিই এই বাংলাদেশের কোনো সন্তানের প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুইটি ৮ হাজারি শৃঙ্গ সামিট। …বাবর এখন নেমে আসা শুরু করেছে। বেসক্যাম্পে পৌঁছালেই হবে মূল উৎসব’।

গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে নেপালের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন বাবর আলী। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে ৪ এপ্রিল কাঠমান্ডু থেকে উড়ে যান লুকলা বিমানবন্দরে। এরপর পথচলা শুরু করেন এভারেস্ট বেজক্যাম্পের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছান ১০ এপ্রিল। উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বেজক্যাম্প থেকে একাধিকবার উচ্চতায় ওঠানামা করেছেন বাবর। ২৬ এপ্রিল এভারেস্টের ক্যাম্প-২ পর্যন্ত ঘুরে এসে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর্ব সমাপ্ত করেন। এরপর অনুকূল আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।

১৪ মে মাঝরাতে বেজক্যাম্প থেকে শীর্ষ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন বাবর। ১৫ মে সকালে পৌঁছে যান ক্যাম্প ২-এ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেখানে দুই রাত কাটিয়ে বাবর উঠে যান ক্যাম্প ৩-এ। সেখান থেকে ১৮ মে পৌঁছান ক্যাম্প ৪-এ। ২৬ হাজার ফুট উচ্চতার এই ক্যাম্পের ওপরের অংশকে বলা হয় ‘ডেথ জোন’।

১৮ মে মাঝরাতে আবারও শুরু হয় বাবরের যাত্রা। ১৯ মে ভোরের প্রথম কিরণে ২৯ হাজার ৩১ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে ওড়ান বাংলাদেশের পতাকা। এরপর তারা নেমে আসেন ক্যাম্প ৪-এ। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে ২০ মে মধ্যরাতে লোৎসেচূড়ার উদ্দেশ্যে পথ ধরেন। আজ সকালে সফলভাবে সেখানে পৌঁছান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

এভারেস্টের পর বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় বাবর আলীর

আপডেট সময় : ১০:৩২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

 

বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণের দুই দিন পর বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে (৮৫১৬ মিটার) জয় করেছেন। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাবর আলীর এভারেস্ট-লোৎসে অভিযানের নেপালি এজেন্ট বুদ্ধরাজ ভান্ডারি।

মঙ্গলবার (২১ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে লোৎসের চূড়ায় পৌঁছান তিনি।

বাবর আলীর এভারেস্ট-লোৎসে অভিযানের নেপালী এজেন্ট বুদ্ধরাজ ভান্ডারি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাউন্ট এভারেস্ট লাগোয়া এ লোৎসেতে এর আগে কোনো বাংলাদেশি পৌঁছেননি। কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দু’টি আট হাজারি শৃঙ্গেও চড়েননি। এই লক্ষ্য পূরণ করে বাবার আলী নতুন রেকর্ড গড়লেন।

নেপালের স্নোয়ি হরাইজন নামের ট্রেকিং ও পর্বতাভিযান পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে এভারেস্ট ও লোৎসে অভিযানে যান বাবর। তার সঙ্গে আছেন শেরপা বীর বাহাদুর তামাং। নেপাল সময় সকাল ৫টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৬টা ৫ মিনিট) বাবর আলী লোৎসে পর্বতচূড়ায় ওঠেন। এখন অভিযান শেষে নেমে আসার পালা।

বাবরের সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স নিজেদের ফেসবুক পেজে লোৎসে পর্বতজয়ের তথ্য জানিয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে আজ লিখিত হলো অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর এক অধ্যায়। আর লেখক আমাদের স্বপ্ন সারথি-বাবর আলী।…এটিই এই বাংলাদেশের কোনো সন্তানের প্রথম লোৎসে সামিট এবং প্রথম একই অভিযানে দুইটি ৮ হাজারি শৃঙ্গ সামিট। …বাবর এখন নেমে আসা শুরু করেছে। বেসক্যাম্পে পৌঁছালেই হবে মূল উৎসব’।

গত ১ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে নেপালের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন বাবর আলী। প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে ৪ এপ্রিল কাঠমান্ডু থেকে উড়ে যান লুকলা বিমানবন্দরে। এরপর পথচলা শুরু করেন এভারেস্ট বেজক্যাম্পের উদ্দেশে। সেখানে পৌঁছান ১০ এপ্রিল। উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বেজক্যাম্প থেকে একাধিকবার উচ্চতায় ওঠানামা করেছেন বাবর। ২৬ এপ্রিল এভারেস্টের ক্যাম্প-২ পর্যন্ত ঘুরে এসে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পর্ব সমাপ্ত করেন। এরপর অনুকূল আবহাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।

১৪ মে মাঝরাতে বেজক্যাম্প থেকে শীর্ষ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন বাবর। ১৫ মে সকালে পৌঁছে যান ক্যাম্প ২-এ। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেখানে দুই রাত কাটিয়ে বাবর উঠে যান ক্যাম্প ৩-এ। সেখান থেকে ১৮ মে পৌঁছান ক্যাম্প ৪-এ। ২৬ হাজার ফুট উচ্চতার এই ক্যাম্পের ওপরের অংশকে বলা হয় ‘ডেথ জোন’।

১৮ মে মাঝরাতে আবারও শুরু হয় বাবরের যাত্রা। ১৯ মে ভোরের প্রথম কিরণে ২৯ হাজার ৩১ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে ওড়ান বাংলাদেশের পতাকা। এরপর তারা নেমে আসেন ক্যাম্প ৪-এ। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে ২০ মে মধ্যরাতে লোৎসেচূড়ার উদ্দেশ্যে পথ ধরেন। আজ সকালে সফলভাবে সেখানে পৌঁছান।