ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

আজ পটুয়াখালী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৪:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • / 73

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে কলাপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস বুধবার (২৯ মে) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে কলাপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। এরপর খেপুপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। পরে সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে দুই হাজার দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন। এরপর শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর পটুয়াখালী সফরকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

দেশের ১১৯টি উপজেলার ৯৩৪টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬টি ঘরবাড়ি। দেশের ১৯ জেলায় তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া রিমালে ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ জন মানুষ সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের তথ্যানুসারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ক্ষয়ক্ষতির এ তালিকা তৈরি করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতেও বড় বিপর্যয় ঘটিয়েছে রিমাল। এ দুটি খাতে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ জানিয়ে আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ মানুষ সরাসরি আক্রান্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার ক্ষতি বুধবার পর্যন্ত ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ

সরকারি হিসাব বলছে, রিমালে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, খুলনার ১০ উপজেলার ৭২টি ইউনিয়নে দুর্গত মানুষের সংখ্যা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ জন। এ জেলায় মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৯০৪টি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ১৪২টি এবং পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ২০ হাজার ৭৬২টি। নিহত হয়েছে একজন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

আজ পটুয়াখালী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৩৪:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

 

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে কলাপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন বলে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস বুধবার (২৯ মে) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে কলাপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন। এরপর খেপুপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। পরে সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে দুই হাজার দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করবেন। এরপর শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করবেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর পটুয়াখালী সফরকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

দেশের ১১৯টি উপজেলার ৯৩৪টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬টি ঘরবাড়ি। দেশের ১৯ জেলায় তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া রিমালে ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ জন মানুষ সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের তথ্যানুসারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ক্ষয়ক্ষতির এ তালিকা তৈরি করেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতেও বড় বিপর্যয় ঘটিয়েছে রিমাল। এ দুটি খাতে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত পরিমাণ জানিয়ে আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলন করবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৬৪ মানুষ সরাসরি আক্রান্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার ক্ষতি বুধবার পর্যন্ত ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ

সরকারি হিসাব বলছে, রিমালে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, খুলনার ১০ উপজেলার ৭২টি ইউনিয়নে দুর্গত মানুষের সংখ্যা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার ২০০ জন। এ জেলায় মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৯০৪টি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৫৬ হাজার ১৪২টি এবং পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে ২০ হাজার ৭৬২টি। নিহত হয়েছে একজন।