ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুমের শিকার ৩০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি প্রধান কৌঁসুলির Logo বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন লিওনেল মেসি Logo তিন মাসে মানসিক চাপ কমানোর কার্যকর গাইডলাইন: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব Logo পরকীয়ার জেরে স্বামীকে তালাক, প্রেমিকের বাড়িতে অনশন Logo ঈশ্বরগঞ্জে এসএসসি কেন্দ্রে অনিয়ম: কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে অব্যাহতি Logo চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের Logo ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত Logo জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবে ইসি

ঢাবির পরীক্ষার প্রশ্নে ‘এমপি আনার হত্যা’ ও ‘বেনজীরের দুর্নীতি’!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / 153
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীরের দুর্নীতি ও এমপি আনার হত্যাকাণ্ডকে বিষয়বস্তু করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের একটি কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এ বিষয়ে দুটি প্রশ্ন এসেছে।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অধিকাংশ নেটিজেন এটিকে ‘প্রশ্নেপত্রে শিক্ষকের সৃজনশীলতা’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। তারা ওই কোর্সের শিক্ষকের ভূয়সী প্রশংসা করে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (৩ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) প্রথম সেমিস্টারের ৫০২ নম্বর কোর্সের প্রথম ও দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোর্সটির নাম ‘থিওরিস অব সোশ্যাল চেঞ্জ: ফ্রম মর্ডানিটি টু পোস্টমর্ডানিটি’। এ কোর্সটির শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।

কোর্সটির প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, প্রথম প্রশ্নটি করা হয়েছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে। কলকাতা পুলিশের বরাতে এনডিটিভির খবরকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে ‘হানি-ট্রাপে বাংলাদেশি এমপি: ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে হত্যা’ শিরোনামে খবরের কিছু অংশ তুলে দিয়ে তা বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনে যে ধারা তা মার্কস, ফ্রয়েড, মারকুস এবং হার্ভের তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।

দুই নম্বর প্রশ্নে সময় টিভির একটি সংবাদের বরাতে ‘বেনজীরের দুর্নীতি: সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও দুর্নীতি দমন কমিশন সক্রিয় হবে কি?’ শিরোনামে বাংলাদেশের পুঁজিবাদী প্রক্রিয়া নিয়ে মার্কস ও হার্ভের থিওরি অনুযায়ী বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজকের পরীক্ষায় স্যার যে প্রশ্ন করেছেন, সেটা আমাদের কোর্সের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কার্ল মার্কসসহ বিভিন্ন পণ্ডিতদের তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি প্রশ্ন করেছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেই। স্যার যে প্রশ্ন করেছেন, এটি সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে হয়েছে।’

এদিকে, প্রশ্নপত্রের ছবি দিয়ে ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে অনেকে ওই শিক্ষকের প্রশংসা করেছেন। বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ স্যার ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একটি রত্ন।’

অন্য একজন লিখেছেন, ‘প্রশ্নগুলো পড়লাম। সত্যিই অসাধারণ ও ক্রিয়েটিভ প্রশ্ন বলতেই হবে।’ তবে সেখানে অন্য একটি প্রশ্নে ‘অশ্লীলতা’ ও ‘স্পর্শকাতর’ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিয়ম মেনে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে কোনটা নিয়ে কেউ প্রশংসা করলেন, কোনটাকে খারাপ বললেন, তা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। শিক্ষার্থীরা প্রশ্নগুলোর ধরন ও গভীরতা বুঝে উত্তর করবে। তারা প্রশ্ন বুঝতে পারছে কি না, সেটাই আমার কাজের মূল্যায়ন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঢাবির পরীক্ষার প্রশ্নে ‘এমপি আনার হত্যা’ ও ‘বেনজীরের দুর্নীতি’!

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীরের দুর্নীতি ও এমপি আনার হত্যাকাণ্ডকে বিষয়বস্তু করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের একটি কোর্সের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এ বিষয়ে দুটি প্রশ্ন এসেছে।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অধিকাংশ নেটিজেন এটিকে ‘প্রশ্নেপত্রে শিক্ষকের সৃজনশীলতা’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। তারা ওই কোর্সের শিক্ষকের ভূয়সী প্রশংসা করে বিভিন্ন পোস্ট দিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (৩ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) প্রথম সেমিস্টারের ৫০২ নম্বর কোর্সের প্রথম ও দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোর্সটির নাম ‘থিওরিস অব সোশ্যাল চেঞ্জ: ফ্রম মর্ডানিটি টু পোস্টমর্ডানিটি’। এ কোর্সটির শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।

কোর্সটির প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, প্রথম প্রশ্নটি করা হয়েছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে। কলকাতা পুলিশের বরাতে এনডিটিভির খবরকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে ‘হানি-ট্রাপে বাংলাদেশি এমপি: ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে হত্যা’ শিরোনামে খবরের কিছু অংশ তুলে দিয়ে তা বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনে যে ধারা তা মার্কস, ফ্রয়েড, মারকুস এবং হার্ভের তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।

দুই নম্বর প্রশ্নে সময় টিভির একটি সংবাদের বরাতে ‘বেনজীরের দুর্নীতি: সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও দুর্নীতি দমন কমিশন সক্রিয় হবে কি?’ শিরোনামে বাংলাদেশের পুঁজিবাদী প্রক্রিয়া নিয়ে মার্কস ও হার্ভের থিওরি অনুযায়ী বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজকের পরীক্ষায় স্যার যে প্রশ্ন করেছেন, সেটা আমাদের কোর্সের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কার্ল মার্কসসহ বিভিন্ন পণ্ডিতদের তত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিনি প্রশ্ন করেছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো মিশ্র প্রতিক্রিয়া নেই। স্যার যে প্রশ্ন করেছেন, এটি সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে হয়েছে।’

এদিকে, প্রশ্নপত্রের ছবি দিয়ে ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে অনেকে ওই শিক্ষকের প্রশংসা করেছেন। বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ স্যার ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একটি রত্ন।’

অন্য একজন লিখেছেন, ‘প্রশ্নগুলো পড়লাম। সত্যিই অসাধারণ ও ক্রিয়েটিভ প্রশ্ন বলতেই হবে।’ তবে সেখানে অন্য একটি প্রশ্নে ‘অশ্লীলতা’ ও ‘স্পর্শকাতর’ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিয়ম মেনে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্ন প্রস্তুত করা হয়েছে। এখানে কোনটা নিয়ে কেউ প্রশংসা করলেন, কোনটাকে খারাপ বললেন, তা আমার কাছে বড় বিষয় নয়। শিক্ষার্থীরা প্রশ্নগুলোর ধরন ও গভীরতা বুঝে উত্তর করবে। তারা প্রশ্ন বুঝতে পারছে কি না, সেটাই আমার কাজের মূল্যায়ন।’