ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

জলবায়ু সংকটে ঋণের বোঝা বেড়েছে ৫০ দেশের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
  • / 76
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী এমন ৫০ দেশের ঋণের বোঝা বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে এসব দেশের, যা এখন গত তিন দশকের মধ্যে বেড়ে সর্বোচ্চ।

ঋণ জাস্টিস চ্যারিটি নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অবস্থা বেশি অবনতি হয়েছে। তারা বিদেশি ঋণদাতাদের সরকারি রাজস্বের ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করছে, যা করোনা মহারির আগের প্রায় ৮ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১০ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য বিশ্লেষণ করে চ্যারিটি সংস্থাটি জানায়, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দেশগুলো যাতে বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্য তাদের ওপর থেকে ঋণের বোঝা জরুরিভিত্তিতে কমানো দরকার।

ঋণ জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হেইডি চাউ বলেন, রেকর্ড পরিমাণ ঋণের বোঝা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ভুক্তভোগী দেশগুলোর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ঋণ সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে আমাদের দ্রুত ও কার্যকর প্রকল্প দরকার।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী ৫০ দেশের বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে দেশগুলোর মোট বিদেশি সুদের ৩৮ শতাংশই পরিশোধ করতে হয় বেসরকারি ঋণদাতাদের কাছে, ৩৫ শতাংশ বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। এক্ষেত্রে চীনকে পরিশোধ করতে হয় ১৪ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ পরিশোধ করতে হয় অন্য সরকারের কাছে।

১৯৯০ ও ২০০০ সালের মাঝামাঝি দুবার ঋণ সহজের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে দরিদ্র দেশগুলোর ঋণের বোঝা কমে ছিল। ২০১০ সালের দিকে ঋণ পুনঃপরিশোধ ধীরে ধীরে বাড়ে। তবে ২০২০ সালের পর বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

ঋণ জাস্টিস নতুন ঋণ সংকটের জন্য বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। একটি হলো মহামারির শুরুতে ঋণদাতাদের নেওয়া সাসপেনশন স্কিম শেষ হয়ে গেছে এবং এসব ঋণ এখন পরিশোধ করতে হবে।

ঋণ নেওয়া দেশগুলো বেকায়দায় পড়ার আরও একটি কারণ হলো সুদের হার বেড়ে যাওয়া। তাছাড়া মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

জলবায়ু সংকটে ঋণের বোঝা বেড়েছে ৫০ দেশের

আপডেট সময় : ১০:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

 

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী এমন ৫০ দেশের ঋণের বোঝা বেড়েছে। করোনাভাইরাস মহামারির পর ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে এসব দেশের, যা এখন গত তিন দশকের মধ্যে বেড়ে সর্বোচ্চ।

ঋণ জাস্টিস চ্যারিটি নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, তাপপ্রবাহের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অবস্থা বেশি অবনতি হয়েছে। তারা বিদেশি ঋণদাতাদের সরকারি রাজস্বের ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করছে, যা করোনা মহারির আগের প্রায় ৮ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১০ সালে এই হার ছিল ৪ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য বিশ্লেষণ করে চ্যারিটি সংস্থাটি জানায়, জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দেশগুলো যাতে বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্য তাদের ওপর থেকে ঋণের বোঝা জরুরিভিত্তিতে কমানো দরকার।

ঋণ জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক হেইডি চাউ বলেন, রেকর্ড পরিমাণ ঋণের বোঝা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ভুক্তভোগী দেশগুলোর সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ঋণ সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে আমাদের দ্রুত ও কার্যকর প্রকল্প দরকার।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী ৫০ দেশের বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে দেশগুলোর মোট বিদেশি সুদের ৩৮ শতাংশই পরিশোধ করতে হয় বেসরকারি ঋণদাতাদের কাছে, ৩৫ শতাংশ বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। এক্ষেত্রে চীনকে পরিশোধ করতে হয় ১৪ শতাংশ ও ১৩ শতাংশ পরিশোধ করতে হয় অন্য সরকারের কাছে।

১৯৯০ ও ২০০০ সালের মাঝামাঝি দুবার ঋণ সহজের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে দরিদ্র দেশগুলোর ঋণের বোঝা কমে ছিল। ২০১০ সালের দিকে ঋণ পুনঃপরিশোধ ধীরে ধীরে বাড়ে। তবে ২০২০ সালের পর বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

ঋণ জাস্টিস নতুন ঋণ সংকটের জন্য বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছে। একটি হলো মহামারির শুরুতে ঋণদাতাদের নেওয়া সাসপেনশন স্কিম শেষ হয়ে গেছে এবং এসব ঋণ এখন পরিশোধ করতে হবে।

ঋণ নেওয়া দেশগুলো বেকায়দায় পড়ার আরও একটি কারণ হলো সুদের হার বেড়ে যাওয়া। তাছাড়া মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে ঋণ পরিশোধের পরিমাণও বেড়েছে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান