ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া: উপকারিতা ও ঝুঁকি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
  • / 79

পাকা কলা ঘরে দীর্ঘদিন ভালো রাখার উপায়

ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কলা এমন একটি ফল যে কেনার একদিন বা দুইদিন পরই খোসাতে কালচে-খয়েরি ছোপ পড়তে শুরু করে। এই ধরনের কলা সাধারণত কেউ খেতে চান না। আবার অনেক সময় পেকে গেছে বলে ফেলেও দেওয়া যায় না। কেউ কেউ অতিরিক্ত পাকা বা মজা কলার সঙ্গে আটা বা ময়দা মিশিয়ে প্যানকেক তৈরি করেন। কেউ কেউ অন্য পদ তৈরি করেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের কলা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

কলা পচনশীল খাবার। অতিরিক্ত পেকে গেলে কলার মধ্যে সহজেই ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে। যা খোলা চোখে সহজে দেখা যায় না। ফলে খাবারের সঙ্গে তা পেটের মধ্যে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই ধরনের মজা কলা খেলে ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।

উপকারিতা:
পুষ্টি: অতিরিক্ত পাকা কলায় পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে।
মিষ্টি: অতিরিক্ত পাকা কলায় চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা এটিকে মিষ্টি করে তোলে। এটি ডেজার্ট হিসেবে খাওয়ার জন্য আদর্শ করে তোলে।
সহজ হজম: অতিরিক্ত পাকা কলা নরম এবং হজমে সহজ।
প্যাকেজিং: অতিরিক্ত পাকা কলা স্মুদি তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, ওটমিল-এ মেশানো যেতে পারে, আইসক্রিমে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে, ব্রেড তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, বাচ্চাদের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, ইত্যাদি।

ঝুঁকি:
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি: অতিরিক্ত পাকা কলায় চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। যারা ডায়াবেটিস-এ ভুগছেন তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হতে পারে।
হজমের সমস্যা: অতিরিক্ত পাকা কলায় ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে, যা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ছত্রাক: অতিরিক্ত পাকা কলা পচনশীল খাবার। অতিরিক্ত পাকা হলে, কলায় ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে, যা খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
সুতরাং, অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে, তবে সীমিত পরিমাণে। যারা ডায়াবেটিস-এ ভুগছেন, হজমের সমস্যা আছে, অথবা ছত্রাকের সংবেদনশীলতা আছে তাদের অতিরিক্ত পাকা কলা এড়িয়ে চলা উচিত।

কিছু টিপস:
পাকা কলা কিনুন: অতিরিক্ত পাকা কলা কেনার পরিবর্তে পাকা কলা কিনুন। পাকা কলায় চিনির পরিমাণ কম থাকে এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে।
দ্রুত খান: অতিরিক্ত পাকা কলা দ্রুত খেয়ে ফেলুন। কলা যত বেশি সময় রাখা হবে, তত বেশি ছত্রাক বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
ফ্রিজে রাখুন: গরমের সময়, অতিরিক্ত পাকা কলা ফ্রিজে রাখুন। এটি ছত্রাক বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করবে।

অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া কিছুটা ঠিক, তবে সীমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া: উপকারিতা ও ঝুঁকি

আপডেট সময় : ১০:২৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

 

কলা এমন একটি ফল যে কেনার একদিন বা দুইদিন পরই খোসাতে কালচে-খয়েরি ছোপ পড়তে শুরু করে। এই ধরনের কলা সাধারণত কেউ খেতে চান না। আবার অনেক সময় পেকে গেছে বলে ফেলেও দেওয়া যায় না। কেউ কেউ অতিরিক্ত পাকা বা মজা কলার সঙ্গে আটা বা ময়দা মিশিয়ে প্যানকেক তৈরি করেন। কেউ কেউ অন্য পদ তৈরি করেন। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের কলা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

কলা পচনশীল খাবার। অতিরিক্ত পেকে গেলে কলার মধ্যে সহজেই ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে। যা খোলা চোখে সহজে দেখা যায় না। ফলে খাবারের সঙ্গে তা পেটের মধ্যে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই ধরনের মজা কলা খেলে ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।

উপকারিতা:
পুষ্টি: অতিরিক্ত পাকা কলায় পটাশিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে।
মিষ্টি: অতিরিক্ত পাকা কলায় চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা এটিকে মিষ্টি করে তোলে। এটি ডেজার্ট হিসেবে খাওয়ার জন্য আদর্শ করে তোলে।
সহজ হজম: অতিরিক্ত পাকা কলা নরম এবং হজমে সহজ।
প্যাকেজিং: অতিরিক্ত পাকা কলা স্মুদি তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, ওটমিল-এ মেশানো যেতে পারে, আইসক্রিমে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে, ব্রেড তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, বাচ্চাদের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে, ইত্যাদি।

ঝুঁকি:
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি: অতিরিক্ত পাকা কলায় চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। যারা ডায়াবেটিস-এ ভুগছেন তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক হতে পারে।
হজমের সমস্যা: অতিরিক্ত পাকা কলায় ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে, যা হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ছত্রাক: অতিরিক্ত পাকা কলা পচনশীল খাবার। অতিরিক্ত পাকা হলে, কলায় ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে, যা খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
সুতরাং, অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে, তবে সীমিত পরিমাণে। যারা ডায়াবেটিস-এ ভুগছেন, হজমের সমস্যা আছে, অথবা ছত্রাকের সংবেদনশীলতা আছে তাদের অতিরিক্ত পাকা কলা এড়িয়ে চলা উচিত।

কিছু টিপস:
পাকা কলা কিনুন: অতিরিক্ত পাকা কলা কেনার পরিবর্তে পাকা কলা কিনুন। পাকা কলায় চিনির পরিমাণ কম থাকে এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে।
দ্রুত খান: অতিরিক্ত পাকা কলা দ্রুত খেয়ে ফেলুন। কলা যত বেশি সময় রাখা হবে, তত বেশি ছত্রাক বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
ফ্রিজে রাখুন: গরমের সময়, অতিরিক্ত পাকা কলা ফ্রিজে রাখুন। এটি ছত্রাক বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করবে।

অতিরিক্ত পাকা কলা খাওয়া কিছুটা ঠিক, তবে সীমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।