ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

পুলিশ পিটিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • / 62
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

গাজীপুরের কাপাসিয়াতে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ সদস্যকে পেটানোয় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়া মামলায় দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। টোক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জলিলসহ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চেয়ারম্যান এমএ জলিল (৬৫) উপজেলার উজলী দিঘিরপাড় গ্রামের মোহর আলী ব্যাপারীর ছেলে ও একই গ্রামের আব্দুস ছোবহানের ছেলে ফাইজ উদ্দিন (৫৫)। এমএ জলিল কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

পুলিশ জানায়, বুধবার (১২ জুন) বিকেলে কাপাসিয়ার উজলী দিঘিরপাড় বাজারে ইজারা না নিয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে গরুর হাট বসিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম লুৎফর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে ওই হাটের ইজারাদারকে হাট সরিয়ে নিতে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল জব্বারের ছেলে বাজার ইজারাদার আমান উল্লাহকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এমএ জলিলের নেতৃত্বে স্থানীয়রা পুলিশের কাছ থেকে আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশকে মারধর করে।

বুধবার রাতে ইউএনও ও পুলিশ কনস্টেবলকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় টোক তদন্ত কেন্দ্রের এ এসআই লুৎফুল রহমান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের নামে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে দায়ের হওয়া সেই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান এমএ জলিলসহ ফাইজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ওই ঘটনায় জলিল চেয়ারম্যানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কাপাসিয়া থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বুধবার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম লুৎফর রহমান কাপাসিয়ার উজলী দিঘিরপাড় বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক আসামিকে সাজা দেয় ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের বিচারক। সেই সাজাপ্রাপ্তদের নিয়ে আসার প্রাক্কালে এই আসামিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাদের মারপিট করে, সরকারি কাজে বাধা দেয়। পরে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

পুলিশ পিটিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১২:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

 

গাজীপুরের কাপাসিয়াতে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ সদস্যকে পেটানোয় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিনিয়ে নেওয়া মামলায় দুই আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। টোক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জলিলসহ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চেয়ারম্যান এমএ জলিল (৬৫) উপজেলার উজলী দিঘিরপাড় গ্রামের মোহর আলী ব্যাপারীর ছেলে ও একই গ্রামের আব্দুস ছোবহানের ছেলে ফাইজ উদ্দিন (৫৫)। এমএ জলিল কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

পুলিশ জানায়, বুধবার (১২ জুন) বিকেলে কাপাসিয়ার উজলী দিঘিরপাড় বাজারে ইজারা না নিয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে গরুর হাট বসিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম লুৎফর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। পরে ওই হাটের ইজারাদারকে হাট সরিয়ে নিতে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল জব্বারের ছেলে বাজার ইজারাদার আমান উল্লাহকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের কারাদণ্ড দেন। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান এমএ জলিলের নেতৃত্বে স্থানীয়রা পুলিশের কাছ থেকে আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেয় এবং পুলিশকে মারধর করে।

বুধবার রাতে ইউএনও ও পুলিশ কনস্টেবলকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় টোক তদন্ত কেন্দ্রের এ এসআই লুৎফুল রহমান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের নামে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে দায়ের হওয়া সেই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান এমএ জলিলসহ ফাইজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ওই ঘটনায় জলিল চেয়ারম্যানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কাপাসিয়া থানা পুলিশ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বুধবার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম লুৎফর রহমান কাপাসিয়ার উজলী দিঘিরপাড় বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক আসামিকে সাজা দেয় ভ্র্যাম্যমাণ আদালতের বিচারক। সেই সাজাপ্রাপ্তদের নিয়ে আসার প্রাক্কালে এই আসামিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাদের মারপিট করে, সরকারি কাজে বাধা দেয়। পরে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।