সংসদে ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশের দাবি একে আজাদের
- আপডেট সময় : ১০:৫৫:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
- / 55
বাংলাদেশে ব্যাংক দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা বললেও মূলত তার পরিমাণ ৫ লাখ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদ। এই ঋণখেলাপিদের নাম সংসদে প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি।
রোববার(২৩ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে আব্দুল কাদের আজাদ এ সব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
একে আজাদ বলেন, এখানে একজন অত্যন্ত দায়িত্বশীল প্রাক্তন মন্ত্রী বসে আছেন তিনি গতকাল বলেছেন এই প্রশাসনের একটা বিরাট অংশ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিচার হওয়া উচিত। আমি প্রস্তাব করছি এই মহান সংসদে প্রধানমন্ত্রী যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন সেখানে এনালক রাষ্ট্র চলতে পারে না। তাই এতোগুলো মন্ত্রণালয়, এতোগুলো অধিদপ্তর আদৌ আমাদের দরকার আছে কিনা এর জন্য একটা প্রশাসনিক অডিট কমিটি গঠন করা হোক।
কয়েক দিন আগে পত্রিকায় দেখতে পেলাম একজন এসি ল্যান্ড, ইউএনও’র জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে বিদেশ থেকে পাজেরো গাড়ি কেনা হচ্ছে। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারত সেখানে মন্ত্রীরা তাদের নিজস্ব তৈরি গাড়িতে চলাফেরা করে, তাতে কি তাদের মান সম্মান কমে যায়?
তিনি বলেন, দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ দিন দিন কঠিন হচ্ছে, ঋণের সুদ হার, বিদ্যুৎ জ্বালানির অপর্যাপ্ততা, পরিবহন ব্যয় নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাই বিনিয়োগ টানতে পাশের দেশ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে নানা মুখি প্রস্তাবনা দিচ্ছে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। প্রণোদনা দিয়ে আমাদের এখানে যারা বিদেশি বিনিয়োগকারী ছিল তাদের আকৃষ্ট করছে। আমাদের জন্য সামনের দিনগুলো কিন্তু ভালো হবে না যদি না আমরা নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনি।
আমাদের দেশে এখন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা এক কোটি ২৯ লাখ যাদের বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছর। এই যুবকদের কর্মসংস্থান করতে হলে আমাদের খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাংক যেটা ঘোষণা করেছে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা মূলত তার পরিমাণ ৫ লাখ হাজার কোটি টাকা। এই ৫ লাখ হাজার কোটি টাকা কারা নিলো তাদের নাম আমরা সবাই জানি। আমি অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি, অর্থমন্ত্রী আপনি স্বচ্ছতার জন্য, জবাবদিহিতার জন্য এই সংসদে তাদের নাম প্রকাশ করুন, কারা বাংলাদেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে।
আজকে যদি তাদের ১৫ শতাংশে (কর দিয়ে) টাকা আনতে দেই এটা হবে যারা ৩০ শতাংশ ট্যাক্স দেবে তাদের প্রতি অন্যায়, অবিচার। যেখানে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স; তাহলে কিভাবে এই সার্বভৌম সংসদ এই ১৫ ভাগ কালো টাকা যে টাকার উৎস প্রশ্ন করা যাবে না সেইভাবে বৈধতা দিতে পারে সেটা আমার কাছে বোধগোম্য নয়। আমার যদি ২৫ ভাগ থেকে ৩০ ভাগ (কর দিতে হয়) করা হয় তাহলে সে ৩০ ভাগ ট্যাক্স কেন দেবে না। কেন তার বৈধতার প্রশ্ন করা যাবে না, অবশ্যই তার বৈধতার প্রশ্ন করতে হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন