ঢাকা ১০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

বেনজীর ও তার পরিবারের সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুদক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • / 70
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের ৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তদন্তকারীরা বলেছেন, তাদের প্রাথমিক তদন্তে এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ঢাকার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা বিপুল অর্থ। বেনজীরের পরিবারের মালিকানাধীন এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দালিলিক প্রমাণও পেয়েছে দুদক। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

তদন্ত দল প্রাথমিকভাবে বেনজীরের নামে প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ শনাক্ত করেছে; তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা; তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণী চেয়ে ইতোমধ্যে আলাদা নোটিশ জারি করেছে দুদক।

গত ২ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীর নোটিশও দেওয়া হয়।

দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে বেনজীর আহমেদের স্থাবর-অস্থাবর প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ বা ফ্রিজ করা হয়েছে। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল এই সম্পদগুলো যাতে আত্মসাৎ বা চোরাচালান না হয় তা নিশ্চিত করা।’

‘বর্তমানে প্রতিটি সম্পদ পৃথকভাবে যাচাই করা হচ্ছে। অনেকগুলোই তার আয়কর নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত এসব সম্পদ বিবেচনাধীন এবং দুদকের মামলায় দালিলিক প্রমাণ প্রয়োজন হওয়ায় অবৈধ সম্পদের হিসাব-নিকাশ চলছে।’

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল বেনজির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।

দুদক সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত করছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

বেনজীর ও তার পরিবারের সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুদক

আপডেট সময় : ০২:০৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

 

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের ৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তদন্তকারীরা বলেছেন, তাদের প্রাথমিক তদন্তে এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ঢাকার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা বিপুল অর্থ। বেনজীরের পরিবারের মালিকানাধীন এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দালিলিক প্রমাণও পেয়েছে দুদক। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

তদন্ত দল প্রাথমিকভাবে বেনজীরের নামে প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ শনাক্ত করেছে; তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা; তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণী চেয়ে ইতোমধ্যে আলাদা নোটিশ জারি করেছে দুদক।

গত ২ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীর নোটিশও দেওয়া হয়।

দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে বেনজীর আহমেদের স্থাবর-অস্থাবর প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ বা ফ্রিজ করা হয়েছে। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল এই সম্পদগুলো যাতে আত্মসাৎ বা চোরাচালান না হয় তা নিশ্চিত করা।’

‘বর্তমানে প্রতিটি সম্পদ পৃথকভাবে যাচাই করা হচ্ছে। অনেকগুলোই তার আয়কর নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত এসব সম্পদ বিবেচনাধীন এবং দুদকের মামলায় দালিলিক প্রমাণ প্রয়োজন হওয়ায় অবৈধ সম্পদের হিসাব-নিকাশ চলছে।’

প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল বেনজির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।

দুদক সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত করছে।