পিএসসির প্রশ্নফাঁস: আবেদ আলীসহ ৬ জনের স্বীকারোক্তি
- আপডেট সময় : ০৮:১৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
- / 64
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ বিগত ১২ বছরে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আবেদ আলীসহ ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় পৃথকভাবে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আজ সন্ধ্যায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বীকারোক্তি দেওয়া অন্য আসামিরা হলেন, মো. খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম (৪১), মো. সাখাওয়াত হোসেন (৩৪), সায়েম হোসেন এবং লিটন সরকার।
তবে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলেমান মো. সোহেল (৩৫) প্রথমে জবানবন্দি দিতে রাজি হলেও পরে আদালতে গিয়ে আর স্বীকারোক্তি দেননি। তাই তাকে জবানবন্দি গ্রহণ ছাড়াই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
১৭ আসামির মধ্যে সাতজনের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করা হয়েছিল। এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা।
দুপুর আড়াইটার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের খাস কামরায় তোলা হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিকেলে অপর ১০ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তালিকায় রয়েছেন পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান ও আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিপিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই প্রশ্নফাঁস করে অর্থ লোপাটে মেতে উঠত সংঘবদ্ধ চক্রটি। প্রশ্নফাঁসকারী চক্রটি সবশেষ গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলীর নিয়োগ পরীক্ষাকে বেছে নেয়। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। এরপর সিআইডির অভিযানে এ ১৭ জন গ্রেপ্তার হন।
নিউজটি শেয়ার করুন