ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘর পরিষ্কার রাখার জাদুকরী কিছু টিপস

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কে না ভালবাসে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি নিজের আশেপাশেও রাখা উচিৎ পরিচ্ছন্ন। দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজের ফাঁকে নিজের ঘরের জন্য আমরা সবাই সময় বের করে নেই। এখন সবারই কম বেশি হেল্পিং হ্যান্ড রয়েছে। কিন্তু সবসময় ঘরের ঝাড়ামোছা ঠিক ভাবে হয়না কারণ গতানুগতিক উপায়ে ঘরের বিভিন্ন জায়গার দাগ পরিষ্কার হতে একদমই চায় না। তার জন্য চাই বিশেষ কিছু টিপস।

অনেকেই নিজের হাতে ঘর পরিষ্কার করতে পছন্দ করেন। এমন নিশ্চয়ই ভেবেছেন, ইশ! যদি কোন দ্রুত উপায় থাকত! কষ্টও কম হতো এবং কম সময়ে ঝটপট কাজ গুলো সেরেও ফেলা যেতো! তাহলে এই টিপসগুলো আপনার জন্যই। এখানে রয়েছে ঘর পরিষ্কারের ছোট খাটো কিছু জাদুকরী টিপস। চলুন তবে জেনে নেই!

আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ ছুটির দিন ঘর গোছাবে বলে কাজ ফেলে রাখে। ফলে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটিতে কাজ শেষতো করা হয়ই না বরং কাজ আরও অগোছালো থেকে যায়।

এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ৭ উপায় মাথায় রেখে কাজ করলে ঘর গোছালো থাকবে:
১) বাড়িতেই এমন একটি হোম ক্লিনার তৈরি করে নিন, যা দিয়ে ঘরের টুকিটাকি অনেক কিছুই পরিষ্কার করে ফেলা যায়। ভিনিগার, কমলালেবু বা পাতিলেবুর খোসা, বেকিং সোডা দিয়ে সেই ক্লিনার তৈরি করে ফেলুন।

২) ঘুম থেকে উঠেই বিছানা পরিষ্কার করে নিন। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে বিছানা পরিষ্কার করার আশা না রাখাই ভাল।

৩) রান্না করার পরই সব পরিষ্কার করে নিন। খুব বেশি কিছু সম্ভব না হলে গ্যাসঅভেন, গ্যাসটপ, উল্টো দিকের টাইল্‌সের দেওয়াল- ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা যেতেই পারে। নোংরা রাখলে চলবে না। দেরি হলে কিন্তু নোংরা তুলতে হাত ব্যথা হয়ে যাবে।

৪) কাজ থেকে ফিরে শরীর চলে না। তাই খাওয়াদাওয়ার পর বাসনপত্র জমিয়ে রাখেন। সেখান থেকে গোটা ঘরে দুর্গন্ধ ছড়াতেই পারে। তাই এটো বাসন ফেলে না রাখাই ভাল।

৫) গোটা সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করা পোশাক জমিয়ে রাখেন। সপ্তাহান্তে একটি ছুটি। ওই দিন সব কাচবেন বলে রেখে দেন। হঠাৎ যদি বাড়িতে অতিথি আসেন, তখন কিন্তু বিপদে পড়তে হবে।

৬) পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতো পরার শখ। কিন্তু তা গুছিয়ে রাখার অভ্যাস নেই। বাড়ির সদর দরজার সামনে যদি কয়েক জোড়া জুতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে, তা হলে ঘরের কিন্তু সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তার চেয়ে বাড়ি ফিরে জুতো রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় তা গুছিয়ে তুলে রাখুন।

৭) হাতে সময় কম, তাই সারা ক্ষণই অনলাইনে কেনাকাটা করেন। জিনিসপত্র বার করে নেওয়ার পর পিচবোর্ডের কার্টনগুলো জমিয়ে রেখে দেন অনেকেই। ফাঁকা বাক্স জমিয়ে রাখলেই কিন্তু ঘর অপরিষ্কার হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঘর পরিষ্কার রাখার জাদুকরী কিছু টিপস

আপডেট সময় : ১২:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কে না ভালবাসে। নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি নিজের আশেপাশেও রাখা উচিৎ পরিচ্ছন্ন। দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজের ফাঁকে নিজের ঘরের জন্য আমরা সবাই সময় বের করে নেই। এখন সবারই কম বেশি হেল্পিং হ্যান্ড রয়েছে। কিন্তু সবসময় ঘরের ঝাড়ামোছা ঠিক ভাবে হয়না কারণ গতানুগতিক উপায়ে ঘরের বিভিন্ন জায়গার দাগ পরিষ্কার হতে একদমই চায় না। তার জন্য চাই বিশেষ কিছু টিপস।

অনেকেই নিজের হাতে ঘর পরিষ্কার করতে পছন্দ করেন। এমন নিশ্চয়ই ভেবেছেন, ইশ! যদি কোন দ্রুত উপায় থাকত! কষ্টও কম হতো এবং কম সময়ে ঝটপট কাজ গুলো সেরেও ফেলা যেতো! তাহলে এই টিপসগুলো আপনার জন্যই। এখানে রয়েছে ঘর পরিষ্কারের ছোট খাটো কিছু জাদুকরী টিপস। চলুন তবে জেনে নেই!

আমাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ ছুটির দিন ঘর গোছাবে বলে কাজ ফেলে রাখে। ফলে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটিতে কাজ শেষতো করা হয়ই না বরং কাজ আরও অগোছালো থেকে যায়।

এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ৭ উপায় মাথায় রেখে কাজ করলে ঘর গোছালো থাকবে:
১) বাড়িতেই এমন একটি হোম ক্লিনার তৈরি করে নিন, যা দিয়ে ঘরের টুকিটাকি অনেক কিছুই পরিষ্কার করে ফেলা যায়। ভিনিগার, কমলালেবু বা পাতিলেবুর খোসা, বেকিং সোডা দিয়ে সেই ক্লিনার তৈরি করে ফেলুন।

২) ঘুম থেকে উঠেই বিছানা পরিষ্কার করে নিন। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে বিছানা পরিষ্কার করার আশা না রাখাই ভাল।

৩) রান্না করার পরই সব পরিষ্কার করে নিন। খুব বেশি কিছু সম্ভব না হলে গ্যাসঅভেন, গ্যাসটপ, উল্টো দিকের টাইল্‌সের দেওয়াল- ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা যেতেই পারে। নোংরা রাখলে চলবে না। দেরি হলে কিন্তু নোংরা তুলতে হাত ব্যথা হয়ে যাবে।

৪) কাজ থেকে ফিরে শরীর চলে না। তাই খাওয়াদাওয়ার পর বাসনপত্র জমিয়ে রাখেন। সেখান থেকে গোটা ঘরে দুর্গন্ধ ছড়াতেই পারে। তাই এটো বাসন ফেলে না রাখাই ভাল।

৫) গোটা সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করা পোশাক জমিয়ে রাখেন। সপ্তাহান্তে একটি ছুটি। ওই দিন সব কাচবেন বলে রেখে দেন। হঠাৎ যদি বাড়িতে অতিথি আসেন, তখন কিন্তু বিপদে পড়তে হবে।

৬) পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতো পরার শখ। কিন্তু তা গুছিয়ে রাখার অভ্যাস নেই। বাড়ির সদর দরজার সামনে যদি কয়েক জোড়া জুতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে, তা হলে ঘরের কিন্তু সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তার চেয়ে বাড়ি ফিরে জুতো রাখার নির্দিষ্ট জায়গায় তা গুছিয়ে তুলে রাখুন।

৭) হাতে সময় কম, তাই সারা ক্ষণই অনলাইনে কেনাকাটা করেন। জিনিসপত্র বার করে নেওয়ার পর পিচবোর্ডের কার্টনগুলো জমিয়ে রেখে দেন অনেকেই। ফাঁকা বাক্স জমিয়ে রাখলেই কিন্তু ঘর অপরিষ্কার হয়।