ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের Logo ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত Logo জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবে ইসি Logo ইতিহাস গড়ল কেটি পেরি ও পাঁচ নারী, সফল ‘অল-ফিমেল’ মহাকাশযাত্রা Logo গরমে স্বস্তি দেবে যেসব খাবার Logo ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমনে হাভার্ডের ২২০ কোটি ডলারের তহবিল স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন Logo সরকারি বরাদ্দে ১৯-২০ কোটি টাকা লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনের সময়রেখা ঘোষণা Logo আশা, সহনশীলতা আর পুনর্জাগরণের বার্তায় বর্ষবরণ, গাজায় নিহতদের স্মরণ Logo গসিপ বা পরচর্চা কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?

কোটা আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের বিচার চায় বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪
  • / 171
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে দলটি। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শত শত নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হলো, যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। যারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি করছি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীকে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করল। অথচ সরকারের ইশারায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধু ছয়জনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে, যা সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার নামান্তর। তাই জনগণ পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে। নইলে ব্যর্থতার সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে জনগণ মনে করে।’

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে সানিয়াত এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপির মহাসচিব।

সেই বিবৃতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের অব্যাহত গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় না পেয়ে তাঁদের সন্তান কিংবা বাসার সদস্যদের গ্রেপ্তার ও অশালীন আচরণসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হচ্ছে।’

গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য দোষারোপ করছেন। যদি তাই হয়, তাহলে তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কোটা আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের বিচার চায় বিএনপি

আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে দলটি। আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানিয়েছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শত শত নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হলো, যা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। যারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি করছি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শত শত নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীকে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করল। অথচ সরকারের ইশারায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধু ছয়জনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে, যা সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার নামান্তর। তাই জনগণ পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে। নইলে ব্যর্থতার সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে জনগণ মনে করে।’

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে সানিয়াত এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে এই বিবৃতি দেন বিএনপির মহাসচিব।

সেই বিবৃতিতে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের অব্যাহত গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের বাসায় না পেয়ে তাঁদের সন্তান কিংবা বাসার সদস্যদের গ্রেপ্তার ও অশালীন আচরণসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হচ্ছে।’

গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য দোষারোপ করছেন। যদি তাই হয়, তাহলে তাঁদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়।’