নিরাপত্তার অভাবে অনেক এটিএম বুথ বন্ধ, সংকটে গ্রাহকরা
- আপডেট সময় : ০৭:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
- / 72
নিরাপত্তার অভাবে বেশির ভাগ ব্যাংকের এটিএম বুথ বন্ধ রয়েছে। অনেক এটিএম বুথ খোলা থাকলেও সাটার অর্ধেক নামিয়ে রেখেছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। আবার ব্যাংকের অনেক শাখাও খোলেনি। এতে নগদ টাকার সংকটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে দেশজুড়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া এটিএমে অর্থ সরবরাহের কাজটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, এ সেবাটিও বন্ধ। এতে নিরাপত্তা জটিলতা তৈরি হয়েছে, তবে চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিক হবার আশা তাদের।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক এটিএম বুথে গিয়ে বন্ধ দেখা গেছে। কয়েকটি স্থানে এটিএম বুথ খোলা থাকলেও সেগুলোর সাটার অর্ধেক নামানো ছিল। আর টাকা শেষ হয়ে যাওয়া বুথের সাটার সম্পন্ন নামানো দেখা যায়। মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় ফাস্ট সিকিউরিটিসহ কয়েকটি ব্যাংকের শাখা বন্ধ দেখা যায়।
হাদিম আহসান নামে এক ব্যক্তি মগবাজার এলাকায় কয়েকটি স্থান ঘুরেও টাকা তুলতে পারেননি। প্রায় সবগুলো বুথ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, নগদ টাকা সংকটের কারণে জরুরি কাজ শেষ করতে পারছেন না। ব্যাংকের কিছু শাখাও বন্ধ রয়েছে, এভাবে চললে আরও সমস্যা হবে।
এটিএম বুথের সেবার বেশিরভাগই বন্ধের বিষয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানান, আমাদের বেশির ভাগ ব্যাংকের এটিএম বুথে অর্থ সরবরাহের কাজ তৃতীয় পক্ষ করে থাকে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তৃতীয় পক্ষের এ সেবা কয়েকদিন বন্ধ রয়েছে। এতে অনেক ব্যাংকের এটিএম বুথে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ সম্ভব হয়নি। আমরা আশা করছি চলতি সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, পরিবেশের উন্নতি হলে পুনরায় চালু হবে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যমতে, দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের মোট এটিএম বুথের সংখ্যা ১৩ হাজার ৪২৮টি। যার মধ্যে শহরাঞ্চলে রয়েছে ৯ হাজার ৪০৯টি আর গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৪ হাজার ১৯টি। এটিএম ছাড়া সিআরএমের (ক্যাশ রিস্লাইকিং মেশিন) সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৫০টি। এসব সিআরএমের সিংহভাগই (৩ হাজার ৯৮৫টি) শহরাঞ্চলে। সিআরএমে উত্তোলনের পাশাপাশি নগদ জমার সুযোগ রয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন