ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

পুঁজিবাজারে ১৫ বছরের দুর্নীতি তদন্ত হবে : বিএসইসি চেয়ারম্যান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪
  • / 43
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, শেয়ারবাজারে আর দুর্নীতি-অনিয়ম চলবে না।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং বৈষম্য দূর করা হবে। বিগত ১৫ বছরের দুর্নীতির তদন্ত করা হবে।

বিএসইসির পরিকল্পনা তুলে ধরতে গতকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

এই সময় বিএসইসির কমিশনার ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান ও মোহসীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি একটি মিশন নিয়ে এখানে (বিএসইসি) এসেছি। বিগত ১৫ বছরে শেয়ারবাজারে যেসব অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো নিয়ে ইমিডিয়েটলি ইনডেক্স রিভিউ করতে হবে। লুফলসগুলো বন্ধ করতে হবে। লুফলসগুলো বন্ধ করতে না পারলে আবার ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।’

খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে মার্কেটের গভর্ন্যান্স ফেরানো। গভর্ন্যান্স এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা, যেটা থেকে আমরা অনেক বছর ধরে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ধীরে ধীরে অনেক দূরে চলে গেছি।

তিনি বলেন, ১৪ বছর ধরে আমাদের যে অনিয়ম সেটা কি আমরা খুব সহজে সরাতে পারব? এটা ১৪ মাসেও করা যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে।

তবে ফোকাসসহ এবং রেজল্যুশনসহ যদি লেগে থাকি তাহলে হয়তো আমরা শিগগিরই একটা কমফোর্টেবল জায়গায় পৌঁছাতে পারব। হয়তো আমরা যে জায়গায় যেতে চাচ্ছি, সেটা খুব সহসা হবে না, কিন্তু আমরা আগের জায়গার কাছাকাছি আসতে পারব।

বিএসইসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দুটি স্ট্রিমে কাজ করব। একটা কোর এবং অন্যটি নন-কোর এরিয়া। কোর এরিয়াতে আমরা তিনটি প্রধান উপাদান নিয়ে কাজ করব।

সেই তিনটি উপাদানের প্রথমটি হচ্ছে স্বচ্ছতা আনতে হবে। বাজারে ম্যানিপুলেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়গুলো এর আওতায় পড়ে।

আমরা যে স্বচ্ছতা আনব সেখানে মেইন ফোকাস হবে আমরা কী কী জিনিস মনিটর করি, সেই মনিটরিংয়ের পদ্ধতিটা কী, আমরা কী সিস্টেম ইউজ করি, সেই সিস্টেমগুলোর এক্সসেস কার কাছে আছে, সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, তার অপব্যবহার হচ্ছে কি না সেগুলো দেখব।

সাবেক এই ব্যাংকার বলেন, আমাদের দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা করা। এটা হলো বাজারের প্রাণ। গভর্ন্যান্স ছাড়া কোনো কিছুই টেকসই হবে না। আমাদের তৃতীয় কাজ হচ্ছে মার্কেট ডেক্স নিয়ে কাজ করা। এটি দীর্ঘমেয়াদি কাজ। প্রথম দুটি কাজ আমরা ইমিডিয়েট করব।

তিনি বলেন, আমাদের বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রতি ফোকাস করতে হবে। তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য কৃত্রিমভাবে না। মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমেই আনতে হবে।

তালিকাভুক্ত কম্পানির গভর্ন্যান্সের ব্যাপারে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, কম্পানির গভর্ন্যান্সের বিষয়ে আমরা শক্তভাবে কাজ করব।

স্বাধীন পরিচালক নিয়ে কাজ করব, যাঁরা আছেন তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখব, কিছু কিছু কম্পানিতে অনেক ভালো লোক আছেন এবং কিছু কিছু কম্পানিতে গ্যাপও আছে, স্বাধীন পরিচালক বিনিয়োগকারীদের ওয়াচ ডগ হিসেবে কাজ করবেন। এ জন্য এখানে মনিটরিংটা ভালোভাবে করতে হবে।

দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার রাখা হয়েছে ১০ শতাংশ, বিপরীতে দাম কমার ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএসইসির কর্মকর্তারা বলেন, শেয়ারবাজারের সব জায়গা থেকে বৈষম্য দূর করব। কোথাও বৈষম্য থাকবে না।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

পুঁজিবাজারে ১৫ বছরের দুর্নীতি তদন্ত হবে : বিএসইসি চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৪

 

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, শেয়ারবাজারে আর দুর্নীতি-অনিয়ম চলবে না।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং বৈষম্য দূর করা হবে। বিগত ১৫ বছরের দুর্নীতির তদন্ত করা হবে।

বিএসইসির পরিকল্পনা তুলে ধরতে গতকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

এই সময় বিএসইসির কমিশনার ড. এ টি এম তারিকুজ্জামান ও মোহসীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি একটি মিশন নিয়ে এখানে (বিএসইসি) এসেছি। বিগত ১৫ বছরে শেয়ারবাজারে যেসব অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো নিয়ে ইমিডিয়েটলি ইনডেক্স রিভিউ করতে হবে। লুফলসগুলো বন্ধ করতে হবে। লুফলসগুলো বন্ধ করতে না পারলে আবার ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।’

খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে মার্কেটের গভর্ন্যান্স ফেরানো। গভর্ন্যান্স এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা, যেটা থেকে আমরা অনেক বছর ধরে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ধীরে ধীরে অনেক দূরে চলে গেছি।

তিনি বলেন, ১৪ বছর ধরে আমাদের যে অনিয়ম সেটা কি আমরা খুব সহজে সরাতে পারব? এটা ১৪ মাসেও করা যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে।

তবে ফোকাসসহ এবং রেজল্যুশনসহ যদি লেগে থাকি তাহলে হয়তো আমরা শিগগিরই একটা কমফোর্টেবল জায়গায় পৌঁছাতে পারব। হয়তো আমরা যে জায়গায় যেতে চাচ্ছি, সেটা খুব সহসা হবে না, কিন্তু আমরা আগের জায়গার কাছাকাছি আসতে পারব।

বিএসইসির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দুটি স্ট্রিমে কাজ করব। একটা কোর এবং অন্যটি নন-কোর এরিয়া। কোর এরিয়াতে আমরা তিনটি প্রধান উপাদান নিয়ে কাজ করব।

সেই তিনটি উপাদানের প্রথমটি হচ্ছে স্বচ্ছতা আনতে হবে। বাজারে ম্যানিপুলেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়গুলো এর আওতায় পড়ে।

আমরা যে স্বচ্ছতা আনব সেখানে মেইন ফোকাস হবে আমরা কী কী জিনিস মনিটর করি, সেই মনিটরিংয়ের পদ্ধতিটা কী, আমরা কী সিস্টেম ইউজ করি, সেই সিস্টেমগুলোর এক্সসেস কার কাছে আছে, সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, তার অপব্যবহার হচ্ছে কি না সেগুলো দেখব।

সাবেক এই ব্যাংকার বলেন, আমাদের দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা করা। এটা হলো বাজারের প্রাণ। গভর্ন্যান্স ছাড়া কোনো কিছুই টেকসই হবে না। আমাদের তৃতীয় কাজ হচ্ছে মার্কেট ডেক্স নিয়ে কাজ করা। এটি দীর্ঘমেয়াদি কাজ। প্রথম দুটি কাজ আমরা ইমিডিয়েট করব।

তিনি বলেন, আমাদের বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার প্রতি ফোকাস করতে হবে। তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য কৃত্রিমভাবে না। মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমেই আনতে হবে।

তালিকাভুক্ত কম্পানির গভর্ন্যান্সের ব্যাপারে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, কম্পানির গভর্ন্যান্সের বিষয়ে আমরা শক্তভাবে কাজ করব।

স্বাধীন পরিচালক নিয়ে কাজ করব, যাঁরা আছেন তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখব, কিছু কিছু কম্পানিতে অনেক ভালো লোক আছেন এবং কিছু কিছু কম্পানিতে গ্যাপও আছে, স্বাধীন পরিচালক বিনিয়োগকারীদের ওয়াচ ডগ হিসেবে কাজ করবেন। এ জন্য এখানে মনিটরিংটা ভালোভাবে করতে হবে।

দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার রাখা হয়েছে ১০ শতাংশ, বিপরীতে দাম কমার ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে আপনাদের পরিকল্পনা কি?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএসইসির কর্মকর্তারা বলেন, শেয়ারবাজারের সব জায়গা থেকে বৈষম্য দূর করব। কোথাও বৈষম্য থাকবে না।