ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

খাবার স্ক্যান করে পুষ্টির তালিকা তৈরি করে দেবে এআই

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
  • / 88
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা কত সহজ হতে পারে? কিন্তু সেটা কি বাস্তবে সত্যি ঘটছে? এ ক্ষেত্রে হয়তো সাহায্য করতে পারে এআই। খুব শীঘ্রই খাদ্য স্ক্যান করে তার পুষ্টির তালিকা তৈরি করতে পারবে এআই। যারা আরও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চান, তাদের সেই তথ্য কাজে লাগবে।

এ বিষয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সেবাস্টিয়ান সিমার মেন বলেন, “নিজের খাবার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিয়মিত ভিত্তিতে কী খাওয়া হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষই সে বিষয়ে সচেতন নন। তারা দুই ঘণ্টা আগে প্রাতরাশ সেরে হয়তো খেয়ালই করেন না যে, সেই মাফিন বা প্যানকেকে কত ক্যালোরি ছিল। সারাদিন নিয়মিত আপডেট পেতে থাকলে তারা নিজেদের জীবনযাত্রার অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হবেন বলে আমি নিশ্চিত।”

“হেলদি ডায়েট”-এর উপকরণ সম্পর্কে জানার অনেক উপায় আছে। কিন্তু এআই-এর সঙ্গে কথা বলে কি সত্যি লাভ হবে? যেমন হ্যান্ডস ফ্রি এআই “পিন”, যা চালাতে স্মার্টফোনেরও প্রয়োজন হয় না।

সেবাস্টিয়ান সিমার বলেন, “আজ আমাদের রোগীদের প্রধান বাধা হলো, স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস থাকলেও আমাদের পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে আদানপ্রদান রেকর্ড করার ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত।”

খাবারে মাত্রাতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর উপাদান বা অ্যালার্জি থাকলে এআই ডিভাইস আগেই ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে। ভবিষ্যতে সেটি মানুষের খাদ্যগ্রহণের ওপর নজর রেখে পুষ্টির হিসেব রাখতে পারবে। তবে সেই ডিভাইস সত্যি কতটা কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

বন বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারে প্রতিদিন ক্যালসিফাইড হার্ট ভালভ রোগীদের ভর্তি করা হয়। শুধু বয়স ও জেনেটিক্সের কারণে নয়, যথেষ্ট পুষ্টির অভাব ও কম ব্যায়ামের কারণেও এমনটা ঘটতে পারে। চিকিৎসা না করালে এই রোগ মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

রোগ আগেভাগে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এআই-এর গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। যেমন ইমপ্ল্যান্ট করা ডিফাইব্রিলেটর প্রতিদিন সরাসরি হাসপাতালে তথ্য পাঠাতে পারে। কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে এআই সতর্ক করে দেবে। পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে এআই-সমর্থিত তথ্য অন্যভাবেও সাহায্য করতে পারে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সিমার মনে করেন, “বাড়তি তথ্যের কারণে রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে সংলাপ আরও নিবিড় হয়ে উঠবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে রোগীর প্রতি আমাদের পরামর্শও স্পষ্ট হবে।”

তবে এ ধরনের সব অ্যাপ্লিকেশনের মতো এ ক্ষেত্রেও তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে সংশয় রয়েছে। নির্মাতারা গ্রাহকদের আশ্বাস দিয়ে বলছেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছুই রেকর্ড করা হবে না এবং সেই তথ্য বাইরে কাউকে বিক্রি করা হবে না। কিন্তু ক্লাউডে তথ্য রাখার কারণে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে, কারণ সেই তথ্যের অপব্যবহারের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তাই এমনভাবে এআই ব্যবহার করার সময় সবাইকে তথ্য পাঠানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। মনে সংশয় দেখা দিলে মাঝেমধ্যে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

খাবার স্ক্যান করে পুষ্টির তালিকা তৈরি করে দেবে এআই

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

 

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখা কত সহজ হতে পারে? কিন্তু সেটা কি বাস্তবে সত্যি ঘটছে? এ ক্ষেত্রে হয়তো সাহায্য করতে পারে এআই। খুব শীঘ্রই খাদ্য স্ক্যান করে তার পুষ্টির তালিকা তৈরি করতে পারবে এআই। যারা আরও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চান, তাদের সেই তথ্য কাজে লাগবে।

এ বিষয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সেবাস্টিয়ান সিমার মেন বলেন, “নিজের খাবার সম্পর্কে তথ্য পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিয়মিত ভিত্তিতে কী খাওয়া হচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষই সে বিষয়ে সচেতন নন। তারা দুই ঘণ্টা আগে প্রাতরাশ সেরে হয়তো খেয়ালই করেন না যে, সেই মাফিন বা প্যানকেকে কত ক্যালোরি ছিল। সারাদিন নিয়মিত আপডেট পেতে থাকলে তারা নিজেদের জীবনযাত্রার অনেক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হবেন বলে আমি নিশ্চিত।”

“হেলদি ডায়েট”-এর উপকরণ সম্পর্কে জানার অনেক উপায় আছে। কিন্তু এআই-এর সঙ্গে কথা বলে কি সত্যি লাভ হবে? যেমন হ্যান্ডস ফ্রি এআই “পিন”, যা চালাতে স্মার্টফোনেরও প্রয়োজন হয় না।

সেবাস্টিয়ান সিমার বলেন, “আজ আমাদের রোগীদের প্রধান বাধা হলো, স্মার্টফোনের মতো ডিভাইস থাকলেও আমাদের পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে আদানপ্রদান রেকর্ড করার ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত।”

খাবারে মাত্রাতিরিক্ত অস্বাস্থ্যকর উপাদান বা অ্যালার্জি থাকলে এআই ডিভাইস আগেই ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে। ভবিষ্যতে সেটি মানুষের খাদ্যগ্রহণের ওপর নজর রেখে পুষ্টির হিসেব রাখতে পারবে। তবে সেই ডিভাইস সত্যি কতটা কার্যকর হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

বন বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কার্ডিয়াক সেন্টারে প্রতিদিন ক্যালসিফাইড হার্ট ভালভ রোগীদের ভর্তি করা হয়। শুধু বয়স ও জেনেটিক্সের কারণে নয়, যথেষ্ট পুষ্টির অভাব ও কম ব্যায়ামের কারণেও এমনটা ঘটতে পারে। চিকিৎসা না করালে এই রোগ মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

রোগ আগেভাগে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এআই-এর গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। যেমন ইমপ্ল্যান্ট করা ডিফাইব্রিলেটর প্রতিদিন সরাসরি হাসপাতালে তথ্য পাঠাতে পারে। কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে এআই সতর্ক করে দেবে। পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে এআই-সমর্থিত তথ্য অন্যভাবেও সাহায্য করতে পারে।

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সিমার মনে করেন, “বাড়তি তথ্যের কারণে রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে সংলাপ আরও নিবিড় হয়ে উঠবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে রোগীর প্রতি আমাদের পরামর্শও স্পষ্ট হবে।”

তবে এ ধরনের সব অ্যাপ্লিকেশনের মতো এ ক্ষেত্রেও তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে সংশয় রয়েছে। নির্মাতারা গ্রাহকদের আশ্বাস দিয়ে বলছেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছুই রেকর্ড করা হবে না এবং সেই তথ্য বাইরে কাউকে বিক্রি করা হবে না। কিন্তু ক্লাউডে তথ্য রাখার কারণে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে, কারণ সেই তথ্যের অপব্যবহারের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তাই এমনভাবে এআই ব্যবহার করার সময় সবাইকে তথ্য পাঠানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। মনে সংশয় দেখা দিলে মাঝেমধ্যে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।