ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

শ্রম আইনে ৫৪ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 65
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চলমান শ্রমিক আন্দোলন, সহিংসতা বন্ধ ও শ্রমিকদের আলোচনার মাধ্যমে কাজে ফেরাতে সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলের ৫৪টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রম আইনের ১৩(এক) ধারা অনুযায়ী মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর বাইরে আরও ৬০টি তৈরি পোশাক কারখানা আজ বন্ধ। ফলে এ অঞ্চলে মোট বন্ধ ১১৪টি তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজিএমইএর এ নেতার অভিযোগ, আমরা চিন্তা করেছিলাম দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা কাজে ফিরবে। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড হয়ে তারা সহিংসতা ও ভাঙচুর করেছে।

শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে ১৩(এক) এর ধারায় অনেক মালিক ফ্যাক্টরি বন্ধ করেছেন। আমরা আশা করি শ্রমিকরা কাজে ফিরবে শনিবারের মধ্যে। এর আগে এ অঞ্চলে এ ধারায় কিছু ফ্যাক্টরি বন্ধ করা হয়েছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। সেখানে ফ্যাক্টরি ভালোভাবে চলছে বলেও জানান রাকিব।

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩(এক) ধারায় কোনো কারখানার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করলে বন্ধকালীন শ্রমিকরা কোনো ধরনের বেতন পাবেন না। অর্থাৎ এসব কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করলে মজুরি পাবেন না। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারাও একমত হয়েছেন।’

‘এর আগে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস ও টিফিনের বিষয়ে তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। যেহেতু অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা হচ্ছে তাই এ অঞ্চলের জন্য আপাতত এটা করা হয়েছে।’

অন্য অঞ্চলে এটা প্রযোজ্য হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে রাকিব বলেন, ‘সেখানকার মালিকদের সক্ষমতা ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে এটা ভেবে দেখা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সব ধরনের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মিটিং করবো এবং আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

শ্রম আইনে ৫৪ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

চলমান শ্রমিক আন্দোলন, সহিংসতা বন্ধ ও শ্রমিকদের আলোচনার মাধ্যমে কাজে ফেরাতে সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলের ৫৪টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রম আইনের ১৩(এক) ধারা অনুযায়ী মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর বাইরে আরও ৬০টি তৈরি পোশাক কারখানা আজ বন্ধ। ফলে এ অঞ্চলে মোট বন্ধ ১১৪টি তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজিএমইএর এ নেতার অভিযোগ, আমরা চিন্তা করেছিলাম দাবি মেনে নিলে শ্রমিকরা কাজে ফিরবে। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিকভাবে মোটিভেটেড হয়ে তারা সহিংসতা ও ভাঙচুর করেছে।

শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে ১৩(এক) এর ধারায় অনেক মালিক ফ্যাক্টরি বন্ধ করেছেন। আমরা আশা করি শ্রমিকরা কাজে ফিরবে শনিবারের মধ্যে। এর আগে এ অঞ্চলে এ ধারায় কিছু ফ্যাক্টরি বন্ধ করা হয়েছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। সেখানে ফ্যাক্টরি ভালোভাবে চলছে বলেও জানান রাকিব।

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩(এক) ধারায় কোনো কারখানার উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করলে বন্ধকালীন শ্রমিকরা কোনো ধরনের বেতন পাবেন না। অর্থাৎ এসব কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করলে মজুরি পাবেন না। আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারাও একমত হয়েছেন।’

‘এর আগে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস ও টিফিনের বিষয়ে তাদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। যেহেতু অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা হচ্ছে তাই এ অঞ্চলের জন্য আপাতত এটা করা হয়েছে।’

অন্য অঞ্চলে এটা প্রযোজ্য হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে রাকিব বলেন, ‘সেখানকার মালিকদের সক্ষমতা ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে এটা ভেবে দেখা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সব ধরনের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মিটিং করবো এবং আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।’