ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

‘রাষ্ট্রের সব স্তরে সংস্কার করতে হবে’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 65
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র গঠন হতে পারে না মন্তব্য করে সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, সব স্থানে জনগণের মতামত নিতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা আনসার বিদ্রোহ দেখলাম। এখন জনপ্রশাসনে বিদ্রোহ চলছে। এসব নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তাই রাষ্ট্রের সব স্তরে সংস্কার করতে হবে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ : বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

সেমিনারে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, আগামী দিনে দুইটা নির্বাচন লাগবে। একটা হলো গণপরিষদ নির্বাচন। যেখানে আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে পারি। আরেকটা হলো সরকার নির্বাচন। রাষ্ট্র গঠনের নির্বাচন আগে। তারপরে আসবে সরকার নির্বাচন। এই রোডম্যাপ জনগণের পক্ষ থেকে আপনাদের দেওয়া হলো। এই রোডম্যাপ যদি না মানা হয় তাহলে ভয়ানক বিপদে পড়ব। তবে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, যখনই আমরা রাষ্ট্র গঠনের কথা চিন্তা করি তখন আমরা রাজনৈতিক দলের কথাও চিন্তা করি। রাজনৈতিক দল আমাদের দরকার। রাজনৈতিক দল ছাড়া আমাদের চলবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো চায়, সে ক্ষমতায় যাবে ১৫ বছর ধরে লুটপাট করবে। এটা তো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। আগামী দিনে আমরা বাংলাদেশকে সুন্দর করে গঠন করব; এমন একটি গঠনমূলক প্রস্তাবনা রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া দরকার। কিন্তু তারা কোনো প্রস্তাবনা দিচ্ছে না।

ফরহাদ মজহার বলেন, আজ এত বড় একটি অভ্যুত্থান হয়ে গেছে। আমরা এত রক্ত দিলাম। কিন্তু আমরা দিন শেষে শেখ হাসিনারই সংবিধান পেলাম। এমনটা কি আমরা চেয়েছি। কি করে এই সংবিধান এখনও থাকে? যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা মূলত প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা। আর এই প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনা নিয়োগ করে গেছে। তাকে একজন ফ্যাসিস্ট নিয়োগ করেছে। উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণের সময় বলেছে আমরা সংবিধান সংরক্ষণ করব। কিন্তু এই সংবিধান তো শেখ হাসিনার সংবিধান।

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস সামাজিক ব্যবসা করেন বলে বিশ্বের সব রাষ্ট্র তাকে চিনে, সম্মান করে ও ভালোবাসে। যুক্তরাষ্ট্রও তাকে সেজন্য সম্মান করে। তিনি যদি এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করেন তাহলে তাকে সমর্থন করবে ও পাশে থাকবে। কিন্তু ড. ইউনূস দেশের স্বার্থ বিকিয়ে সেই কাজ করবেন না। আর এজন্যই যুক্তরাষ্ট্র তার পাশে থাকবে না।

অধ্যাপক ড. শেখ আকরাম আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজচিন্তক ফরহাদ মজহার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌস।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

‘রাষ্ট্রের সব স্তরে সংস্কার করতে হবে’

আপডেট সময় : ১০:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র গঠন হতে পারে না মন্তব্য করে সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, সব স্থানে জনগণের মতামত নিতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা আনসার বিদ্রোহ দেখলাম। এখন জনপ্রশাসনে বিদ্রোহ চলছে। এসব নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তাই রাষ্ট্রের সব স্তরে সংস্কার করতে হবে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ : বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

সেমিনারে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, আগামী দিনে দুইটা নির্বাচন লাগবে। একটা হলো গণপরিষদ নির্বাচন। যেখানে আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে পারি। আরেকটা হলো সরকার নির্বাচন। রাষ্ট্র গঠনের নির্বাচন আগে। তারপরে আসবে সরকার নির্বাচন। এই রোডম্যাপ জনগণের পক্ষ থেকে আপনাদের দেওয়া হলো। এই রোডম্যাপ যদি না মানা হয় তাহলে ভয়ানক বিপদে পড়ব। তবে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, যখনই আমরা রাষ্ট্র গঠনের কথা চিন্তা করি তখন আমরা রাজনৈতিক দলের কথাও চিন্তা করি। রাজনৈতিক দল আমাদের দরকার। রাজনৈতিক দল ছাড়া আমাদের চলবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো চায়, সে ক্ষমতায় যাবে ১৫ বছর ধরে লুটপাট করবে। এটা তো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। আগামী দিনে আমরা বাংলাদেশকে সুন্দর করে গঠন করব; এমন একটি গঠনমূলক প্রস্তাবনা রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া দরকার। কিন্তু তারা কোনো প্রস্তাবনা দিচ্ছে না।

ফরহাদ মজহার বলেন, আজ এত বড় একটি অভ্যুত্থান হয়ে গেছে। আমরা এত রক্ত দিলাম। কিন্তু আমরা দিন শেষে শেখ হাসিনারই সংবিধান পেলাম। এমনটা কি আমরা চেয়েছি। কি করে এই সংবিধান এখনও থাকে? যাদের উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা মূলত প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা। আর এই প্রেসিডেন্টকে শেখ হাসিনা নিয়োগ করে গেছে। তাকে একজন ফ্যাসিস্ট নিয়োগ করেছে। উপদেষ্টারা শপথ গ্রহণের সময় বলেছে আমরা সংবিধান সংরক্ষণ করব। কিন্তু এই সংবিধান তো শেখ হাসিনার সংবিধান।

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস সামাজিক ব্যবসা করেন বলে বিশ্বের সব রাষ্ট্র তাকে চিনে, সম্মান করে ও ভালোবাসে। যুক্তরাষ্ট্রও তাকে সেজন্য সম্মান করে। তিনি যদি এককভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করেন তাহলে তাকে সমর্থন করবে ও পাশে থাকবে। কিন্তু ড. ইউনূস দেশের স্বার্থ বিকিয়ে সেই কাজ করবেন না। আর এজন্যই যুক্তরাষ্ট্র তার পাশে থাকবে না।

অধ্যাপক ড. শেখ আকরাম আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজচিন্তক ফরহাদ মজহার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌস।