ঢাকা ১২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

ঢাবিতে বৈধ সিটের দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজেই শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 68
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শতভাগ আবাসিকীকরণ ও ১ম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের দাবিতে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে মৌন মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে এ মানববন্ধন পালন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার উপাচার্য স্যারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার শুধু আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দমানোর চেষ্টা করছেন। খুব দ্রুতই আমাদের ক্লাস শুরু হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না।

তারা বলেন, আমরা এখানে এই কয়েকজন মানুষ শুধু দাঁড়িয়েছি তাই না। আমাদের সঙ্গে আরও শিক্ষার্থী আছে যারা শুধু থাকার জায়গা না থাকার কারণে ঢাকায় আসতে পারছেন না। আমরা বারবার স্মারকলিপি দিয়েছি তবে আমাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগই করা হয়নি। আমরা জানি সিটের অনেক সংকট।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবাই পড়াশুনা করে। নিম্ন পরিবারের একজন শিক্ষার্থী কিভাবে বাইরে থাকার খরচ বহন করবে? আবার যারা বাইরে থাকে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কতটুকু চিন্তা করে প্রশাসন?

রাজনৈতিক দখলদারিত্বমুক্ত হওয়ার পরও সিট সংকট দূর না হওয়াই প্রমাণ করে প্রশাসনিক ব্যর্থতা। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু বরাদ্দ থেকে হল কতৃপক্ষ আমাকে কী কী সুবিধা দিতে পারছে? এবং তার জবাবদিহিতা কোথায়?

তারা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী এবং পুরুষ উভয়ই মেধার ভিত্তিতে চান্স পায়। কিন্তু নারীদের জন্য হলের সংখ্যা ৫ টি আর পুরুষদের জন্য হলের সংখ্যা ১২ টি। এর মাধ্যমে বুঝতে পারি নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন নিয়ে প্রশাসন কতটা উদাসীন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চাইলেই এই মুহূর্তে আবাসন সংকট সমাধান করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা শর্ট-টার্ম এবং লং-টার্ম পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে। শর্ট-টার্মে আপাতত ভবন ভাড়া এবং লং-টার্মে নতুন হল নির্মাণ করতে পারেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

ঢাবিতে বৈধ সিটের দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজেই শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০১:০০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শতভাগ আবাসিকীকরণ ও ১ম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের দাবিতে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে মৌন মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে এ মানববন্ধন পালন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার উপাচার্য স্যারের সঙ্গে দেখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বারবার শুধু আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে দমানোর চেষ্টা করছেন। খুব দ্রুতই আমাদের ক্লাস শুরু হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না।

তারা বলেন, আমরা এখানে এই কয়েকজন মানুষ শুধু দাঁড়িয়েছি তাই না। আমাদের সঙ্গে আরও শিক্ষার্থী আছে যারা শুধু থাকার জায়গা না থাকার কারণে ঢাকায় আসতে পারছেন না। আমরা বারবার স্মারকলিপি দিয়েছি তবে আমাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগই করা হয়নি। আমরা জানি সিটের অনেক সংকট।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবাই পড়াশুনা করে। নিম্ন পরিবারের একজন শিক্ষার্থী কিভাবে বাইরে থাকার খরচ বহন করবে? আবার যারা বাইরে থাকে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কতটুকু চিন্তা করে প্রশাসন?

রাজনৈতিক দখলদারিত্বমুক্ত হওয়ার পরও সিট সংকট দূর না হওয়াই প্রমাণ করে প্রশাসনিক ব্যর্থতা। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু বরাদ্দ থেকে হল কতৃপক্ষ আমাকে কী কী সুবিধা দিতে পারছে? এবং তার জবাবদিহিতা কোথায়?

তারা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী এবং পুরুষ উভয়ই মেধার ভিত্তিতে চান্স পায়। কিন্তু নারীদের জন্য হলের সংখ্যা ৫ টি আর পুরুষদের জন্য হলের সংখ্যা ১২ টি। এর মাধ্যমে বুঝতে পারি নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন নিয়ে প্রশাসন কতটা উদাসীন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চাইলেই এই মুহূর্তে আবাসন সংকট সমাধান করতে পারে। এক্ষেত্রে তারা শর্ট-টার্ম এবং লং-টার্ম পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে। শর্ট-টার্মে আপাতত ভবন ভাড়া এবং লং-টার্মে নতুন হল নির্মাণ করতে পারেন।