ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩৫ শতাংশ রোগীই ঢাকার বাইরের
- আপডেট সময় : ১২:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 77
থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে ভাপসা গরম শিশুস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। হাসপাতালগুলোতে জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, ব্রংকিওলাইটিস, নিউমোনিয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
গতকাল সোমবার সকালে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের (ঢাকা শিশু হাসপাতাল) জরুরি ও বহির্বিভাগে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যায়। এসব রোগীর বেশির ভাগেই জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি ও পেটের সমস্যা নিয়ে এসেছে।
বহির্বিভাগে কর্মরত একজন চিকিৎসক বলেন, ‘ব্রংকিওলাইটিস ও নিউমোনিয়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। অনেকে পরীক্ষা করছে না, কিন্তু লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে ডেঙ্গু। তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আমরা ভর্তি করাচ্ছি।’
নিচতলার ১ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, ওয়ার্ডে কোনো শয্যা খালি নেই।
২৪ শয্যায় প্রতিটিতে একটি করে শিশু এবং সঙ্গে তার বাবা বা মাকে দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ওয়ার্ডটি ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের জন্য নির্ধারণ করেছে।
ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর শয্যার শিশুটির নাম ছিল মরিয়ম। বয়স তিন বছর। সঙ্গে মা আফরোজা আক্তার। তারা শরীয়তপুর থেকে এসেছে।
আফরোজা আক্তার জানান, ২২ সেপ্টেম্বর মেয়েকে এই হাসপাতালে ভর্তি করান। স্থানীয় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন। পাশের ১৮ নম্বর শয্যার রোগী এসেছে নোয়াখালী থেকে।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১১৪ জন, সিটি করপোরেশনের বাইরে ১৭ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা থেকে ৬৮ জন, যা মোট রোগীর প্রায় ৩৫ শতাংশ।
হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হক চোধুরী জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের জন্য এ ওয়ার্ডে ২৪টি শয্যা বরাদ্দ। গতকাল হাসপাতালে ভর্তি ছিল ২৫ শিশু। একটি শিশুকে অন্য ওয়ার্ডে শিশুদের সঙ্গে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগী এভাবে বাড়তে থাকলে শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।
১ জানুয়ারি থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৯৯টি শিশু। সব শিশুর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মেয়েশিশুর চেয়ে ছেলেশিশু হাসপাতালে বেশি আসছে। চিকিৎসা নেওয়া শিশুদের ৬১ শতাংশ ছেলে এবং ৩৯ শতাংশ মেয়ে। এর মধ্যে মারা গেছে পাঁচটি শিশু।
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ভর্তি হয় ২৬ জন এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ভর্তি হয় ১৫ জন। জুলাইয়ে ৩১ জন, আগস্টে ৪৫ জন এবং চলতি মাসে (২২ সেপ্টেম্বর) ভর্তি হয়েছে ৭২ জন।
শিশুদের মধ্যে এক থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের হার বেশি দেখা যাচ্ছে। ৪৬ শতাংশ শিশুর বয়স এই সীমায়। ৩১ শতাংশ শিশুর বয়স ৬ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। এক বছরের কম ও ২০ বছর বয়সীরা ১১.৫৫ শতাংশ।
নিউজটি শেয়ার করুন