ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরমে বারবার গোসল করা ভালো না ক্ষতিকর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ৫৬ বার পড়া হয়েছে
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এখন গ্রীষ্মকাল। গরমের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত। কোনো কিছুতেই যেন স্বস্তি মিলছে না। বাইরে বের হলে কিছুক্ষণ পরপর যেমন পানি তৃষ্ণা পায়, একই সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। এ অবস্থায় তাপমাত্রার থেকেও অধিক পরিমাণ গরম অনুভূত হয়।

কাজের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হচ্ছে। গরম থেকে স্বস্তি ও ঘাম থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বারবার গোসল করেন। কিন্তু গরমে বারবার গোসল করা কী ভালো না ক্ষতি―এ নিয়ে প্রশ্ন অনেকের।

ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকমে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন নিউ ইয়র্কের বোর্ড প্রত্যয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. মারিসা গার্শিক। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত বারবার গোসলের কারণে ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করে দিয়ে থাকে।

এ চিকিৎসকের ভাষ্যমতে, শুধু শীতকালেই নয়, গরমেও শরীরের আর্দ্রতা রক্ষার জন্য সঠিক উপায়ে গোসল করা এবং আর্দ্রতা রক্ষার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এবার তাহলে বারবার গোসল করা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

গোসলের সময় দীর্ঘ না করা: গরমের সময় অনেকেই গোসলে গিয়ে ঝরনার নিচে দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকেন। এতে গোসল কিছুটা আরামদায়ক হয় ঠিকই। তবে ত্বকের ক্ষতি হয়। গ্রীষ্মকালে গোসলের সময় দীর্ঘ করা উচিত নয়। পাঁচ থেকে দশ মিনিটের বেশি সময় নিয়ে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে বলে মত ডা. মারিসা গার্শিকের।

গরম পানি নয়: গরমের সময় গোসলের পানি কখনো গরম রাখা যাবে না। এতে ত্বক শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ঠান্ডা পানি দিয়েই গোসল করা স্বাস্থ্যকর। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বোর্ড প্রত্যয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ মাইকেল গ্রিন বলেছেন, ঠান্ডা পানি শরীরের সংস্পর্শে আসার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেয়ে শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গগুলোর প্রকৃত তাপমাত্রা সুরক্ষিত থাকে।

এছাড়া ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসলের ফলে ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ কমে এবং লোমকূপ টানটান থাকে। ত্বক যেমন স্বাস্থ্যকর থাকে, একইসঙ্গে বেশ সতেজও লাগে।

হালকা পরিষ্কারক ব্যবহার: গরমের সময় শরীর তুলনামূলক কিছুটা বেশি ঘাম চিটচিটে মনে হলেও এ সময় শক্তিশালী ও কড়া সাবান ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ, সাবানে উচ্চ মাত্রায় পিএইচ বা ক্ষার থাকে। যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শোষণ করে এবং ত্বক করে তোলে শুষ্ক। ডা. মারিসা গার্শিকের মতে, সাবানবিহীন পরিষ্কারক দিয়ে ধীরে ধীরে শরীর ঘষা ভালো। এতে ত্বক মসৃণ থাকে এবং লোমকূপ সংকুচিত হয়। কড়া সাবান ত্বককে শুষ্ক করে।

আলতো মোছা: ডা. মারিসা গার্শিকের পরামর্শ, শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করার জন্য শরীর আলতোভাবে মোছা দরকার।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: গোসলের পর কখনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। এ ব্যাপারে ডা. মারিসা গার্শিক জানান, গরমেও শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করার জন্য গোসলের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গরমে বারবার গোসল করা ভালো না ক্ষতিকর

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

এখন গ্রীষ্মকাল। গরমের তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত। কোনো কিছুতেই যেন স্বস্তি মিলছে না। বাইরে বের হলে কিছুক্ষণ পরপর যেমন পানি তৃষ্ণা পায়, একই সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়। এ অবস্থায় তাপমাত্রার থেকেও অধিক পরিমাণ গরম অনুভূত হয়।

কাজের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হচ্ছে। গরম থেকে স্বস্তি ও ঘাম থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বারবার গোসল করেন। কিন্তু গরমে বারবার গোসল করা কী ভালো না ক্ষতি―এ নিয়ে প্রশ্ন অনেকের।

ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকমে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন নিউ ইয়র্কের বোর্ড প্রত্যয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. মারিসা গার্শিক। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণত বারবার গোসলের কারণে ত্বকের শুষ্কতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, পানি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করে দিয়ে থাকে।

এ চিকিৎসকের ভাষ্যমতে, শুধু শীতকালেই নয়, গরমেও শরীরের আর্দ্রতা রক্ষার জন্য সঠিক উপায়ে গোসল করা এবং আর্দ্রতা রক্ষার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এবার তাহলে বারবার গোসল করা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

গোসলের সময় দীর্ঘ না করা: গরমের সময় অনেকেই গোসলে গিয়ে ঝরনার নিচে দীর্ঘ সময় দাড়িয়ে থাকেন। এতে গোসল কিছুটা আরামদায়ক হয় ঠিকই। তবে ত্বকের ক্ষতি হয়। গ্রীষ্মকালে গোসলের সময় দীর্ঘ করা উচিত নয়। পাঁচ থেকে দশ মিনিটের বেশি সময় নিয়ে গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে বলে মত ডা. মারিসা গার্শিকের।

গরম পানি নয়: গরমের সময় গোসলের পানি কখনো গরম রাখা যাবে না। এতে ত্বক শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ঠান্ডা পানি দিয়েই গোসল করা স্বাস্থ্যকর। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের বোর্ড প্রত্যয়িত ত্বক বিশেষজ্ঞ মাইকেল গ্রিন বলেছেন, ঠান্ডা পানি শরীরের সংস্পর্শে আসার ফলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেয়ে শরীরের অভ্যন্তরের অঙ্গগুলোর প্রকৃত তাপমাত্রা সুরক্ষিত থাকে।

এছাড়া ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসলের ফলে ত্বকের চুলকানি ও প্রদাহ কমে এবং লোমকূপ টানটান থাকে। ত্বক যেমন স্বাস্থ্যকর থাকে, একইসঙ্গে বেশ সতেজও লাগে।

হালকা পরিষ্কারক ব্যবহার: গরমের সময় শরীর তুলনামূলক কিছুটা বেশি ঘাম চিটচিটে মনে হলেও এ সময় শক্তিশালী ও কড়া সাবান ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ, সাবানে উচ্চ মাত্রায় পিএইচ বা ক্ষার থাকে। যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শোষণ করে এবং ত্বক করে তোলে শুষ্ক। ডা. মারিসা গার্শিকের মতে, সাবানবিহীন পরিষ্কারক দিয়ে ধীরে ধীরে শরীর ঘষা ভালো। এতে ত্বক মসৃণ থাকে এবং লোমকূপ সংকুচিত হয়। কড়া সাবান ত্বককে শুষ্ক করে।

আলতো মোছা: ডা. মারিসা গার্শিকের পরামর্শ, শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করার জন্য শরীর আলতোভাবে মোছা দরকার।

ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: গোসলের পর কখনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। এ ব্যাপারে ডা. মারিসা গার্শিক জানান, গরমেও শরীরের আর্দ্রতা রক্ষা করার জন্য গোসলের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।