ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ

ভোজ্য তেল বিক্রি হবে আগের দামেই

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / 59
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মিল মালিকরা ভোজ্য তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে মিল মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তাই প্রতি লিটার সয়াবিন তেল আগের দাম ১৬৩ টাকাতেই বিক্রি করতে হবে। ট্যারিফ কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিশন সূত্রে আরও জানা যায়, ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব আপাতত নাকচ করা হলেও ভোজ্য তেলের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন তার নিজস্ব পর্যালোচনা অব্যাহত রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবারও কমিশন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে আজই সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

তবে ব্যবসায়ীরা লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন, ট্যারিফ কমিশন অত বেশি প্রস্তাব না করে দাম আরও কম করে বাড়িয়ে প্রস্তাব দেবে বলে নিশ্চিত করেছে কমিশন সূত্র। তাই লিটারপ্রতি ১০ টাকা না বাড়লেও হয়তো কয়েক দিনের মধ্যেই ৫ থেকে ৭ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে।

অবশ্য ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ট্যারিফ কমিশন ও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা একেক জন একেক ধরনের কথা বলছেন।

ট্যারিফ কমিশনের সদস্য মো. ওয়াদুদ হোসেন (বাণিজ্যনীতি বিভাগ) বুধবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা মিল মালিকদের পরিষ্কার বলে দিয়েছি, সব দিক পর্যালোচনা করে এখন ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তাই তারা লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটি নাকচ করা হলো এবং এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি লিটার সয়াবিন তেল আগের দামেই অর্থাৎ ১৬৩ টাকাতেই বিক্রি হবে। মিল মালিকরাও এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।’

এদিকে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার চৌধুরী বলছেন ভিন্ন কথা।

বুধবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব নাকচ করা হয়নি। আসলে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। সে সময় পর্যন্ত ভোজ্য তেলের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে না এবং মিল মালিকরাও বর্ধিত মূল্যের লেবেলসংবলিত তেলের বোতল বাজারে ছাড়বেন না। অর্থাৎ আমরা ১৬ এপ্রিল থেকে ভোজ্য তেলে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিলাম সেটি আপাতত স্থগিত থাকবে।

তবে সরকার যেহেতু ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ আর বাড়ায়নি এবং ইতিমধ্যে বিশ্ববাজারেও বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন-পামওয়েলের দাম, তাই আমাদের দাবি বিবেচনা করে দ্রুত ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।’

এদিকে বিশ্ববাজারে গত টানা পাঁচ মাস দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে গত নভেম্বরে ছিল ১ হাজার ১১৮ ডলার। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে সে দাম কমে হয়েছে ৯১০ ডলার। অর্থাৎ গত পাঁচ মাসে বিশ্ববাজারে টনপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২০৮ ডলার।

অথচ দেশের বাজারে ঘটছে ঠিক তার উল্টো চিত্র। পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বলে ভোজ্য তেল শোধনকারী মিল মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকেই এ দাম কার্যকর করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে শেষ হচ্ছে বিধায় আগামী ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়। ট্যারিফ কমিশন প্রস্তাব নাকচ করায় আপাতত এ দাম কার্যকর হচ্ছে না।

ট্যারিফ কশিনের প্রস্তাব পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ট্যারিফ কমিশনের বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এবং ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, ‘মিল মালিকরা ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় বা কী প্রস্তাব পাঠায় সেটি দেখার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ

ভোজ্য তেল বিক্রি হবে আগের দামেই

আপডেট সময় : ১১:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

 

মিল মালিকরা ভোজ্য তেলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে মিল মালিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তাই প্রতি লিটার সয়াবিন তেল আগের দাম ১৬৩ টাকাতেই বিক্রি করতে হবে। ট্যারিফ কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমিশন সূত্রে আরও জানা যায়, ব্যবসায়ীদের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব আপাতত নাকচ করা হলেও ভোজ্য তেলের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন তার নিজস্ব পর্যালোচনা অব্যাহত রেখেছে। আজ বৃহস্পতিবারও কমিশন নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে একটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করে আজই সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।

তবে ব্যবসায়ীরা লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন, ট্যারিফ কমিশন অত বেশি প্রস্তাব না করে দাম আরও কম করে বাড়িয়ে প্রস্তাব দেবে বলে নিশ্চিত করেছে কমিশন সূত্র। তাই লিটারপ্রতি ১০ টাকা না বাড়লেও হয়তো কয়েক দিনের মধ্যেই ৫ থেকে ৭ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে।

অবশ্য ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ট্যারিফ কমিশন ও বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা একেক জন একেক ধরনের কথা বলছেন।

ট্যারিফ কমিশনের সদস্য মো. ওয়াদুদ হোসেন (বাণিজ্যনীতি বিভাগ) বুধবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা মিল মালিকদের পরিষ্কার বলে দিয়েছি, সব দিক পর্যালোচনা করে এখন ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। তাই তারা লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটি নাকচ করা হলো এবং এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি লিটার সয়াবিন তেল আগের দামেই অর্থাৎ ১৬৩ টাকাতেই বিক্রি হবে। মিল মালিকরাও এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।’

এদিকে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার চৌধুরী বলছেন ভিন্ন কথা।

বুধবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব নাকচ করা হয়নি। আসলে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। সে সময় পর্যন্ত ভোজ্য তেলের বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে না এবং মিল মালিকরাও বর্ধিত মূল্যের লেবেলসংবলিত তেলের বোতল বাজারে ছাড়বেন না। অর্থাৎ আমরা ১৬ এপ্রিল থেকে ভোজ্য তেলে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছিলাম সেটি আপাতত স্থগিত থাকবে।

তবে সরকার যেহেতু ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফের মেয়াদ আর বাড়ায়নি এবং ইতিমধ্যে বিশ্ববাজারেও বাড়তে শুরু করেছে সয়াবিন-পামওয়েলের দাম, তাই আমাদের দাবি বিবেচনা করে দ্রুত ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।’

এদিকে বিশ্ববাজারে গত টানা পাঁচ মাস দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে গত নভেম্বরে ছিল ১ হাজার ১১৮ ডলার। সর্বশেষ গত মার্চ মাসে সে দাম কমে হয়েছে ৯১০ ডলার। অর্থাৎ গত পাঁচ মাসে বিশ্ববাজারে টনপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম কমেছে ২০৮ ডলার।

অথচ দেশের বাজারে ঘটছে ঠিক তার উল্টো চিত্র। পাঁচ শতাংশ ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বলে ভোজ্য তেল শোধনকারী মিল মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম একলাফে লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। গত মঙ্গলবার থেকেই এ দাম কার্যকর করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে শেষ হচ্ছে বিধায় আগামী ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখ থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়। ট্যারিফ কমিশন প্রস্তাব নাকচ করায় আপাতত এ দাম কার্যকর হচ্ছে না।

ট্যারিফ কশিনের প্রস্তাব পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ট্যারিফ কমিশনের বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এবং ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, ‘মিল মালিকরা ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয় বা কী প্রস্তাব পাঠায় সেটি দেখার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’