এই গরমে যদি ঠাণ্ডা ঠান্ডা লাগলে করোনিয়
- আপডেট সময় : ১২:১২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
বর্ষাকালেই যে গরম পড়েছে, তার কাছে গ্রীষ্মকালও ফেল। এই গরমে গ্রীষ্মকাল আর শীতকালের মতোই ‘ঠান্ডা’ লাগার প্রকোপ বেড়েছে। প্রচণ্ড গরমে আর্দ্র আবহাওয়ায় ঘাম বসে ঠান্ডা লাগা খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অনেকে গরম থেকে রেহাই পেতে ঠাণ্ডা পানি পান করে বা রাতে দীর্ঘক্ষণ ফ্যান বা এসি চালিয়ে রেখে অনেকেরই ঠাণ্ডা লেগে যাচ্ছে। হচ্ছে সর্দি-জ্বর-গলাব্যথা কাশির সমস্যা।
প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে যেন ঠান্ডা না লাগে
নিতান্তই প্রয়োজন না হলে সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম পরিহার করুন। দুপুরবেলা গরম বেশি থাকে, তাই এ সময় শারীরিক পরিশ্রম একেবারে কমিয়ে ফেলা উচিত।
শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পানি এবং লবণের ঘাটতি পূরণের জন্য বেশি বেশি পানি ও বিভিন্ন পানীয় পান করুন। নানা রকম শরবত এবং গোটা ফল বা ফলের রস পান করতে পারেন।
মোটা, আঁটসাঁট পোশাক না পরে ঢিলেঢালা পাতলা পোশাক পরুন।
ভারী খাবার (যেমন বিরিয়ানি, ভুনা মাংস ইত্যাদি) এড়িয়ে চলুন।
এ সময় মাথার চুল যতটা সম্ভব ছোট রাখতে পারেন। কারও চুল বড় হলে বেণি করে রাখুন। মাথা কম ঘামবে, ঘাম বসে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কাও কমে যাবে।
হাতের কাছে রুমাল বা তোয়ালে রাখুন। ঘামলে তাৎক্ষণিক মুছে নিলে শরীরে বসে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচা যাবে। বিশেষ করে অনেকের গলা বেশি ঘামে এবং সেখান থেকেও ঠান্ডা লাগতে পারে।
শারীরিক পরিশ্রম করে এসে বা প্রচণ্ড গরম থেকে ফিরেই গোসল না করে একটু জিরিয়ে গোসল করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘাম শরীরে বসে না যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এগুলো মূলত ভাইরাসজনিত রোগ। এজন্য আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এ ধরনের রোগ থেকে নিরাপদে থাকতে প্রয়োজন বিশেষ সতর্কতা:
যা করতে হবে
শিশুসহ বাসার সবাইকে অবশ্যই বারবার হাত ধুতে হবে
বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে
হাঁচি কাশির সময় টিস্যু ব্যবহার করা ও অন্যের থেকে দূরে যেতে হবে
ঠাণ্ডা পানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিয়ে ইনফেকশন সৃষ্টিতে সাহায্য করে
বেশি ঠাণ্ডা পানি পান করা যাবে না, ফ্যান বা এসিতে বেশি ঠাণ্ডায় থাকা যাবে না
শিশুদের ঘাম যেন শরীরে না শুকায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বার বার শরীর মুছে দিতে হবে
ধুলা-ধোঁয়া, বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা এবং ঘরে কার্পেট, তোষক, পর্দা ইত্যাদিতে জমে থাকা ধুলা থেকে সাবধান থাকতে হবে
গলাব্যথার সঙ্গে জ্বর ও ঢোঁক গিলতে সমস্যা হলে হালকা গরম পানিতে অ্যান্টিসেপটিক মাউথ ওয়াশ এর সঙ্গে এক চিমটি লবণ দিয়ে দিনে দুই-তিনবার গড়গড়া করতে হবে
এসবের সঙ্গে আদা-চা, লেবু-চা খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে মধু খাওয়া যায় এবং সেই সঙ্গে চিকেন স্যুপ খেলে ভালো। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল লেবু, কমলালেবু, আমলকি, আমড়া প্রভৃতি খেতে পারেন। এ সমস্যা প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল সাহায্য করে।
মনে রাখবেন, আপনার শরীর জীবাণু বা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে নিজেই যুদ্ধ করবে, তবে তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, উপসর্গ অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র এবং কিছুটা সময় দিতে হবে।