ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাইব্রেকারে সুইসদের হতাশ করে সেমিতে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সেই টাইব্রেকার ভাগ্যে শেষ হাসি হাসলো ইংল্যান্ড, বিদায় করে দিলো সুইজারল্যান্ডকে। সুইসদের ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। টাইব্রেকারে প্রথম শট মিস করে সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড জালে জড়ায় পাঁচ শটের সবগুলো।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে বিদায় করে কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল সুইজারল্যান্ড। মূল ম্যাচেও দারুণ লড়াই করে দলটি। এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় হেরে বিদায় নিয়েছে সুইসরা। তাতে সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নেয় গতবারের ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড।

শনিবার রাতে জার্মানির ডুসেলডর্ফ অ্যারেনায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে হারায় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি।

টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডের হয়ে প্রথম শটটিই মিস করেন ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকেঞ্জি। সেই মিসই পার্থক্য হয়ে দাঁড়ায় ম্যাচের। অন্যদিকে ইংলিশদের কেউই মিস করেননি। প্রায় প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্লাবের মূল পেনাল্টি টেকার ও সেটপিস টেকার হওয়ায় কাজটা সহজ হয়ে যায় তাদের জন্য।

ম্যাচে এদিন সমান তালেই লড়াই করে দলদুটি। প্রথমার্ধে তো তেমন কোনো ভীতিই ছড়াতে পারেনি কোনো দলই। এই অর্ধের শেষ মিনিটে বুকোয়া সাকার চেষ্টাই একমাত্র বলার মতো আক্রমণ। ডান প্রান্ত থেকে ডি-বক্স ঢুকে কবি মাইনুকে ফাঁকায় বলে দিয়েছিলেন এই আর্সেনাল উইঙ্গার। তবে দারুণ ব্লকে কর্নারের বিনিময়ে কোনো বিপদ হতে দেননি গ্রানিত ঝাকা।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আগ্রাসী খেলতে থাকে সুইজারল্যান্ড। ৫১তম মিনিটে আসে ম্যাচের প্রথম অনটার্গেট শট। তবে ব্রিল এমবোলোর নেওয়া দুর্বল শট ধরতে কোনো সমস্যা হয়নি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের। পাঁচ মিনিট পর অবশ্য গোল করার মতো প্রথম ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন এমবোলো। তবে তার হেড দারুণ দক্ষতায় ব্লক করেন এরিক কনসা।

৭৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ডান এনডোয়ের ক্রস ঠেকাতে গিয়েছিলেন জন স্টোনস। ঠিকভাবে পারেননি। তাতে আরও বলে নাগাল পেয়ে যান এমবোলো। তার ছোঁয়ায় বল জালে প্রবেশ করলে উল্লাসে মাতে সুইসরা। তবে সুইসদের উৎসব পাঁচ মিনিটেই শেষ করে দেন সাকা। ডান প্রান্ত থেকে দূরপাল্লার কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করে সমতায় ফেরান ইংল্যান্ডকে।

যোগ করা দ্বিতীয় মিনিটে এনডোয়ের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৯৫তম মিনিটে ডেক্লাইন রাইসের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমের। ১১৩তম মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় জাকারিয়া। কিন্তু শট নিতে দেরি করে ফেলায় নষ্ট হয় সেই সুযোগ।

দুই মিনিট পর কর্নার থেকে অলিম্পিক গোলের খুব তবে বারপোস্টে লেগে বেড়িয়ে গেলে হতাশা বাড়ে সুইসদের। ১১৯ মিনিটে জেকি আমদোউদির বুলেট শট ফিস্ট করে ঠেকান পিকফোর্ড। পরের মিনিটে সিলভার উইডমারের ভলি লক্ষ্যে থাকলে এগিয়ে যেতে পারতো সুইজারল্যান্ড। ফলে টাইব্রেকারেই গড়ায় ম্যাচটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

টাইব্রেকারে সুইসদের হতাশ করে সেমিতে ইংল্যান্ড

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

সেই টাইব্রেকার ভাগ্যে শেষ হাসি হাসলো ইংল্যান্ড, বিদায় করে দিলো সুইজারল্যান্ডকে। সুইসদের ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।

নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি। টাইব্রেকারে প্রথম শট মিস করে সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড জালে জড়ায় পাঁচ শটের সবগুলো।

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে বিদায় করে কোয়ার্টার-ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল সুইজারল্যান্ড। মূল ম্যাচেও দারুণ লড়াই করে দলটি। এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় হেরে বিদায় নিয়েছে সুইসরা। তাতে সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নেয় গতবারের ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড।

শনিবার রাতে জার্মানির ডুসেলডর্ফ অ্যারেনায় ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে হারায় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে কোনো গোল না হলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচটি।

টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডের হয়ে প্রথম শটটিই মিস করেন ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকেঞ্জি। সেই মিসই পার্থক্য হয়ে দাঁড়ায় ম্যাচের। অন্যদিকে ইংলিশদের কেউই মিস করেননি। প্রায় প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্লাবের মূল পেনাল্টি টেকার ও সেটপিস টেকার হওয়ায় কাজটা সহজ হয়ে যায় তাদের জন্য।

ম্যাচে এদিন সমান তালেই লড়াই করে দলদুটি। প্রথমার্ধে তো তেমন কোনো ভীতিই ছড়াতে পারেনি কোনো দলই। এই অর্ধের শেষ মিনিটে বুকোয়া সাকার চেষ্টাই একমাত্র বলার মতো আক্রমণ। ডান প্রান্ত থেকে ডি-বক্স ঢুকে কবি মাইনুকে ফাঁকায় বলে দিয়েছিলেন এই আর্সেনাল উইঙ্গার। তবে দারুণ ব্লকে কর্নারের বিনিময়ে কোনো বিপদ হতে দেননি গ্রানিত ঝাকা।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আগ্রাসী খেলতে থাকে সুইজারল্যান্ড। ৫১তম মিনিটে আসে ম্যাচের প্রথম অনটার্গেট শট। তবে ব্রিল এমবোলোর নেওয়া দুর্বল শট ধরতে কোনো সমস্যা হয়নি ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের। পাঁচ মিনিট পর অবশ্য গোল করার মতো প্রথম ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন এমবোলো। তবে তার হেড দারুণ দক্ষতায় ব্লক করেন এরিক কনসা।

৭৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। ডান এনডোয়ের ক্রস ঠেকাতে গিয়েছিলেন জন স্টোনস। ঠিকভাবে পারেননি। তাতে আরও বলে নাগাল পেয়ে যান এমবোলো। তার ছোঁয়ায় বল জালে প্রবেশ করলে উল্লাসে মাতে সুইসরা। তবে সুইসদের উৎসব পাঁচ মিনিটেই শেষ করে দেন সাকা। ডান প্রান্ত থেকে দূরপাল্লার কোণাকোণি শটে লক্ষ্যভেদ করে সমতায় ফেরান ইংল্যান্ডকে।

যোগ করা দ্বিতীয় মিনিটে এনডোয়ের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৯৫তম মিনিটে ডেক্লাইন রাইসের দূরপাল্লার বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সোমের। ১১৩তম মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন বদলি খেলোয়াড় জাকারিয়া। কিন্তু শট নিতে দেরি করে ফেলায় নষ্ট হয় সেই সুযোগ।

দুই মিনিট পর কর্নার থেকে অলিম্পিক গোলের খুব তবে বারপোস্টে লেগে বেড়িয়ে গেলে হতাশা বাড়ে সুইসদের। ১১৯ মিনিটে জেকি আমদোউদির বুলেট শট ফিস্ট করে ঠেকান পিকফোর্ড। পরের মিনিটে সিলভার উইডমারের ভলি লক্ষ্যে থাকলে এগিয়ে যেতে পারতো সুইজারল্যান্ড। ফলে টাইব্রেকারেই গড়ায় ম্যাচটি।