ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন লিওনেল মেসি Logo তিন মাসে মানসিক চাপ কমানোর কার্যকর গাইডলাইন: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব Logo পরকীয়ার জেরে স্বামীকে তালাক, প্রেমিকের বাড়িতে অনশন Logo ঈশ্বরগঞ্জে এসএসসি কেন্দ্রে অনিয়ম: কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে অব্যাহতি Logo চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের Logo ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত Logo জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবে ইসি Logo ইতিহাস গড়ল কেটি পেরি ও পাঁচ নারী, সফল ‘অল-ফিমেল’ মহাকাশযাত্রা

চট্টগ্রাম টেস্ট

১৯২ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / 167
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্বিতীয় টেস্টেও শ্রীলঙ্কার কাছে হারলো বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য প্রথম দুদিনেই নির্ধারণ হয়ে যায়। এরপর ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। এবার অবশ্য কমেছে হারের ব্যবধান। সিলেটে ৩২৮ রানে হারা টাইগাররা সিলেটে হেরেছে ১৯২ রানে। এ হারে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশই হলো স্বাগতিকরা।

আজ পঞ্চম ও শেষদিন সেই আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হলো। ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ৩১৮ রানে অলআউট। সিংহলিজরা ১৯২ রানের বড় জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল।

মেহেদী হাসান মিরাজ ফিফটি করে হারের ব্যবধান যা একটু কমিয়েছেন। ১১০ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আজ সকালে তাইজুলকে সাজঘরে ফেরান স্পিনার কামিন্দু মেন্ডিস। এটা ইনিংস তার তৃতীয় শিকার। এরপর দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদকে আউট করেছেন লংকান পেসার লাহিরু কুমারা।

ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরার দুটি পুরস্কারই জিতে নিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। সিলেটে উভয় ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন। এরপর চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ৯২ রান করার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। দুই ম্যাচ মিলে ৩৬৭ রান করেছেন, উইকেট শিকার করেছেন তিনটি।

এর আগে সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এবার চট্টগ্রামে ১৯২ রানে হার মানল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দুই টেস্টের চার ইনিংসে এই প্রথম দুশর বেশি রান করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।

টেস্ট সিরিজের আগে সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১-এ জিত নেয় শ্রীলংকা, চট্টগ্রামে একই ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সব সময় স্পিনের ওপর ভরসা করলেও এবার সেই জায়গাটিতে বড় ঘাটতি দেখা যায়। বরং পেসাররা ভালো করেছেন। শ্রীলংকার ক্ষেত্রেও তাই। তাদের পেসাররা বাংলাদেশের ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৩টি শিকার করেছেন।

টানা দুটি টেস্ট হারের পর বাংলাদেশ দলনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, ‘আপনি দেখেছেন, আমাদের প্রত্যেকেই সেট হয়েছে, তবে বড় স্কোর পায়নি। এটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সেট হলে আপনাকে রান পেতে হবে। আমাদের আরো বেশি ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে।’

সতীর্থদের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসান মাহমুদ বেশ ইতিবাচক বোলিং করেছে। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিং দুটোই ভালো করেছে। মেহেদীও অনেক ভালো ব্যাট করেছে।’

বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি লংকান দলনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সিরিজ শেষে তিনি বলেন, ‘বোলাররা তাদের বেসিক কাজটা ঠিকমতো করেছে, আর ব্যাটাররাও তাদের কাজটি করেছে। সিলেটে ব্যাটাররা রান না পেয়ে হতাশ ছিল। যদিও আমাদের ব্যাটাররা খুব অভিজ্ঞ। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে তারা রান পাবে। আর এখানে স্পিন কার্যকর ছিল না। কাজেই আমি ভাবছিলাম উইকেট পেতে হলে রিভার্স সুইংয়ে মনোযোগ দিতে হবে। বোলাররা সত্যিই তাদের কাজটি দারুণভাবে করেছে। সামনেই ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আমাদের। বোলারদের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা থাকবে।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলংকা: ৫৩১ ও ১৫৭/৭/ডি.। বাংলাদেশ: ১৭৮ ও ৩১৮ (মিরাজ ৮১*, মুমিনুল ৫০; লাহিরু ৪/৫০, কামিন্দু ৩/৩২, প্রবথ ২/৯৯)। ফল: শ্রীলংকা ১৯২ রানে জয়ী। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ও প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ: কামিন্দু মেন্ডিস (শ্রীলংকা)। সিরিজ: শ্রীলংকা ২-০তে জয়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চট্টগ্রাম টেস্ট

১৯২ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৫:৫২:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

দ্বিতীয় টেস্টেও শ্রীলঙ্কার কাছে হারলো বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্টের ভাগ্য প্রথম দুদিনেই নির্ধারণ হয়ে যায়। এরপর ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। এবার অবশ্য কমেছে হারের ব্যবধান। সিলেটে ৩২৮ রানে হারা টাইগাররা সিলেটে হেরেছে ১৯২ রানে। এ হারে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশই হলো স্বাগতিকরা।

আজ পঞ্চম ও শেষদিন সেই আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হলো। ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে সকালে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ৩১৮ রানে অলআউট। সিংহলিজরা ১৯২ রানের বড় জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল।

মেহেদী হাসান মিরাজ ফিফটি করে হারের ব্যবধান যা একটু কমিয়েছেন। ১১০ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে ৮১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আজ সকালে তাইজুলকে সাজঘরে ফেরান স্পিনার কামিন্দু মেন্ডিস। এটা ইনিংস তার তৃতীয় শিকার। এরপর দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদকে আউট করেছেন লংকান পেসার লাহিরু কুমারা।

ম্যাচসেরা ও সিরিজসেরার দুটি পুরস্কারই জিতে নিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। সিলেটে উভয় ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন। এরপর চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ৯২ রান করার পাশাপাশি দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। দুই ম্যাচ মিলে ৩৬৭ রান করেছেন, উইকেট শিকার করেছেন তিনটি।

এর আগে সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এবার চট্টগ্রামে ১৯২ রানে হার মানল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দুই টেস্টের চার ইনিংসে এই প্রথম দুশর বেশি রান করতে পেরেছে স্বাগতিকরা।

টেস্ট সিরিজের আগে সিলেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১-এ জিত নেয় শ্রীলংকা, চট্টগ্রামে একই ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ঘরের মাঠে সব সময় স্পিনের ওপর ভরসা করলেও এবার সেই জায়গাটিতে বড় ঘাটতি দেখা যায়। বরং পেসাররা ভালো করেছেন। শ্রীলংকার ক্ষেত্রেও তাই। তাদের পেসাররা বাংলাদেশের ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৩টি শিকার করেছেন।

টানা দুটি টেস্ট হারের পর বাংলাদেশ দলনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, ‘আপনি দেখেছেন, আমাদের প্রত্যেকেই সেট হয়েছে, তবে বড় স্কোর পায়নি। এটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। সেট হলে আপনাকে রান পেতে হবে। আমাদের আরো বেশি ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলতে হবে।’

সতীর্থদের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসান মাহমুদ বেশ ইতিবাচক বোলিং করেছে। সাকিব বোলিং ও ব্যাটিং দুটোই ভালো করেছে। মেহেদীও অনেক ভালো ব্যাট করেছে।’

বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি লংকান দলনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সিরিজ শেষে তিনি বলেন, ‘বোলাররা তাদের বেসিক কাজটা ঠিকমতো করেছে, আর ব্যাটাররাও তাদের কাজটি করেছে। সিলেটে ব্যাটাররা রান না পেয়ে হতাশ ছিল। যদিও আমাদের ব্যাটাররা খুব অভিজ্ঞ। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে তারা রান পাবে। আর এখানে স্পিন কার্যকর ছিল না। কাজেই আমি ভাবছিলাম উইকেট পেতে হলে রিভার্স সুইংয়ে মনোযোগ দিতে হবে। বোলাররা সত্যিই তাদের কাজটি দারুণভাবে করেছে। সামনেই ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর আমাদের। বোলারদের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা থাকবে।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর

শ্রীলংকা: ৫৩১ ও ১৫৭/৭/ডি.। বাংলাদেশ: ১৭৮ ও ৩১৮ (মিরাজ ৮১*, মুমিনুল ৫০; লাহিরু ৪/৫০, কামিন্দু ৩/৩২, প্রবথ ২/৯৯)। ফল: শ্রীলংকা ১৯২ রানে জয়ী। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ ও প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ: কামিন্দু মেন্ডিস (শ্রীলংকা)। সিরিজ: শ্রীলংকা ২-০তে জয়ী।