ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন লিওনেল মেসি Logo তিন মাসে মানসিক চাপ কমানোর কার্যকর গাইডলাইন: বিশেষজ্ঞের পরামর্শ Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব Logo পরকীয়ার জেরে স্বামীকে তালাক, প্রেমিকের বাড়িতে অনশন Logo ঈশ্বরগঞ্জে এসএসসি কেন্দ্রে অনিয়ম: কেন্দ্র সচিবসহ ৪ জনকে অব্যাহতি Logo চীনা পণ্যে ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্প প্রশাসনের Logo ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ভেন্যু চূড়ান্ত Logo জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবে ইসি Logo ইতিহাস গড়ল কেটি পেরি ও পাঁচ নারী, সফল ‘অল-ফিমেল’ মহাকাশযাত্রা

ড্রয়ের পথে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / 117
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দারুণ একটি দিন পার করল বাংলাদেশ। ১৩২ রানে পিছিয়ে থেকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। মুশফিকের সেঞ্চুরি আর মিরাজের অর্ধশতকে খুব সহজেই সেই রান টপকে লিড নেয় বাংলাদেশ।

৫৬৫ রানে অলআউট হওয়ার পর ১১৭ রানের লিড পায় নাজমুল শান্তর দল। বাংলাদেশের চেয়ে ১১৭ রানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে চতুর্থ দিনটা শেষ করেছে। এখনো তারা বাংলাদেশের চেয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে।

বাংলাদেশকে ৫৬৫ রানে অলআউট করে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেন আব্দুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুব।

তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি পেসার শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক তুলে নেওয়া সাইম আইয়ুব। তার বিদায়ে ৫ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে পাকিস্তানের।

সাইম আইয়ুবের বিদায়ের ক্রিজে আসেন শান মাসুদ। তাকে নিয়ে বাকি সময়টুকু নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন আব্দুল্লাহ শফিক। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ ওভারে ২৩ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করে পাকিস্তান। এখনো বাংলাদেশের চেয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান।

এর আগে আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে ১৩২ রানে পিছিয়ে থেকে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগের দুইদিনের মতো আজও নির্ধারিত সময়ের আগে শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। চতুর্থ দিনে আজ ব্যাটিংয়ে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। শুরু থেকেই এই দুই ব্যাটার দেখেশুনেই খেলতে থাকেন।

তবে চতুর্থ দিন আর এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি নাসিম শাহ। নাসিম শাহর বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন অর্ধশতক তুলে নেওয়া লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে করেন ৭৮ বলে ৫৬ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ১১৪ রানের জুটি।

লিটনের বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন মুশফিক। সাদমান ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও মুশফিক টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ তিনি ২০০ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। মুশফিকের সেঞ্চুরি আর মিরাজের ১৭ রানে ভর করে ৩৮৯ রান তুলে ৫৯ রানে পিছিয়ে থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় টাইগাররা।

মধ্যাহ্নবিরতি থেকে ফিরে এই দুই ব্যাটার দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। মুশফিকের ও মিরাজের ব্যাটে ভর করে সহজেই পাকিস্তানের করা ৪৪৮ রান টপকে লিড নেয় বাংলাদেশ।

লিড নেওয়ার পর ব্যাক্তিগত দেড়শ রান সংগ্রহ করে ফেলে মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটটা যেন এই বয়সে এসেও বেশ উপভোগই করছেন মুশফিক। মুশফিকের দেড়শ করার পর ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ তিনি ১২০ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। এই দুই অপরাজিত ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে চারশো পার করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৭ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় টাইগাররা।

চা বিরতির আগে ১৭৩ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক চা বিরতির পর ধীরে ধীরে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে যাচ্ছিলেন। তবে মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। নার্ভাস নাইন্টিনের শিকার হয়ে ফিরে যান ১৯১ রান করে।

মুশফিকের বিদায়ের পর দ্রত সাজঘরে ফিরে যান হাসান মাহমুদ। ১৮ বলে শূন্য রান করে শাহিন আফ্রিদির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

হাসান মাহমুদের বিদায়ের পর পেসার শরিফুল ইসলামের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জুটিতে ভর করে ১০০ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের লিড। তবে ১০০ ছাড়ানোর পর আর এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি শাহিন আফ্রিদি।

শাহিন আফ্রিদির বলে সেকেন্ড স্লিপে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। আউট হওয়ার আগে করেন ১৭৯ বলে ৭৭ রান।

মিরাজের বিদায়ের পর শরিফুলের অপরাজিত ২২ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। যার ফলে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১১৭ রানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ড্রয়ের পথে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দারুণ একটি দিন পার করল বাংলাদেশ। ১৩২ রানে পিছিয়ে থেকে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামে টাইগাররা। মুশফিকের সেঞ্চুরি আর মিরাজের অর্ধশতকে খুব সহজেই সেই রান টপকে লিড নেয় বাংলাদেশ।

৫৬৫ রানে অলআউট হওয়ার পর ১১৭ রানের লিড পায় নাজমুল শান্তর দল। বাংলাদেশের চেয়ে ১১৭ রানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩ রান তুলে চতুর্থ দিনটা শেষ করেছে। এখনো তারা বাংলাদেশের চেয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে।

বাংলাদেশকে ৫৬৫ রানে অলআউট করে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেন আব্দুল্লাহ শফিক ও সাইম আইয়ুব।

তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি পেসার শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক তুলে নেওয়া সাইম আইয়ুব। তার বিদায়ে ৫ রানেই ওপেনিং জুটি ভাঙে পাকিস্তানের।

সাইম আইয়ুবের বিদায়ের ক্রিজে আসেন শান মাসুদ। তাকে নিয়ে বাকি সময়টুকু নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন আব্দুল্লাহ শফিক। আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ ওভারে ২৩ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করে পাকিস্তান। এখনো বাংলাদেশের চেয়ে ৯৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান।

এর আগে আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে ১৩২ রানে পিছিয়ে থেকে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগের দুইদিনের মতো আজও নির্ধারিত সময়ের আগে শুরু হয় চতুর্থ দিনের খেলা। চতুর্থ দিনে আজ ব্যাটিংয়ে নামেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। শুরু থেকেই এই দুই ব্যাটার দেখেশুনেই খেলতে থাকেন।

তবে চতুর্থ দিন আর এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি নাসিম শাহ। নাসিম শাহর বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলেন অর্ধশতক তুলে নেওয়া লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে করেন ৭৮ বলে ৫৬ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ১১৪ রানের জুটি।

লিটনের বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন মুশফিক। সাদমান ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও মুশফিক টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ তিনি ২০০ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। মুশফিকের সেঞ্চুরি আর মিরাজের ১৭ রানে ভর করে ৩৮৯ রান তুলে ৫৯ রানে পিছিয়ে থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় টাইগাররা।

মধ্যাহ্নবিরতি থেকে ফিরে এই দুই ব্যাটার দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। মুশফিকের ও মিরাজের ব্যাটে ভর করে সহজেই পাকিস্তানের করা ৪৪৮ রান টপকে লিড নেয় বাংলাদেশ।

লিড নেওয়ার পর ব্যাক্তিগত দেড়শ রান সংগ্রহ করে ফেলে মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটটা যেন এই বয়সে এসেও বেশ উপভোগই করছেন মুশফিক। মুশফিকের দেড়শ করার পর ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ তিনি ১২০ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। এই দুই অপরাজিত ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে চারশো পার করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৭ রানের লিড নিয়ে চা পানের বিরতিতে যায় টাইগাররা।

চা বিরতির আগে ১৭৩ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক চা বিরতির পর ধীরে ধীরে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে যাচ্ছিলেন। তবে মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। নার্ভাস নাইন্টিনের শিকার হয়ে ফিরে যান ১৯১ রান করে।

মুশফিকের বিদায়ের পর দ্রত সাজঘরে ফিরে যান হাসান মাহমুদ। ১৮ বলে শূন্য রান করে শাহিন আফ্রিদির হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।

হাসান মাহমুদের বিদায়ের পর পেসার শরিফুল ইসলামের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই জুটিতে ভর করে ১০০ ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশের লিড। তবে ১০০ ছাড়ানোর পর আর এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি শাহিন আফ্রিদি।

শাহিন আফ্রিদির বলে সেকেন্ড স্লিপে আগা সালমানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। আউট হওয়ার আগে করেন ১৭৯ বলে ৭৭ রান।

মিরাজের বিদায়ের পর শরিফুলের অপরাজিত ২২ রানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৫৬৫ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। যার ফলে টাইগারদের লিড দাঁড়ায় ১১৭ রানে।