ক্রিকেট-ফুটবলকে টপকে দেশসেরার খেতাব অ্যাথলেটিকসের
- আপডেট সময় : ১১:১২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় ক্রিকেট দলের তিন ফরমেটের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং ফুটবল দলের প্লে-মেকার রাকিব হোসেনও ছিলেন সেরা হবার দৌড়ে। কিন্তু জনপ্রিয় দুই খেলার শীর্ষ পারফর্মারকে পেছনে ফেলে, বর্ষসেরার খেতাব জিতে নেন জাতীয় রেকর্ডধারী দৌড়বিদ ইমরানুর রহমান।
২০২৩ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নের পাশাপাশি, এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকসে দ্রুততম মানব হবার কীর্তি, বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে মূল পর্বে জায়গা পাওয়া, এশিয়ান গেমসে সেমিফাইনাল খেলাসহ বেশ কয়েকটি অর্জন ইমরানুরকে এনে দিয়েছে সেরার পদক।
তার দাবি, জয়ের জন্য আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
২০২৩ সালে জীবনের সেরা পারফর্মেন্স করায়, বর্ষসেরা ক্রিকেটার ঠিকই হয়েছেন শান্ত। আর প্রথম টাইগ্রেস হিসেবে সেঞ্চুরি করাসহ নিজেকে মেলে ধরার পুরস্কার হিসেবে বর্ষসেরার খেতাব বাগিয়েছেন ফারজানা হক পিংকি।
পিংকির মন্তব্য, আমি এক বা দুটি সেঞ্চুরিতে সন্তুষ্ট থাকতে চাই না। দলের হয়ে আরও বড় বড় স্কোর করতে চাই। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, ভালো কিছু করার চেষ্টা করছি।
বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার স্বাভাবিক ভাবেই উঠেছে রাকিব হোসেনের ঝুলিতে। তার আক্রমণের সঙ্গী শেখ মোরসালিনের জুটেছে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। তবে অবাক করা বিষয় হলো, ইমরানুর ও শান্তকে টপকে পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ডও বাগিয়ে নিয়েছেন, বসুন্ধরা কিংসের এ খেলোয়াড়।
শেখ মোরসালিনের ভাষ্য, ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সাফ থেকে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো। আশা করি, ফুটবল আরও এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি- বিএসপিএ’র এ অনুষ্ঠানে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বসে খেলোয়াড় সংগঠকদের মিলন মেলা। যেখানে বক্সিংয়ে সেলিম হোসেন ও টেবিল টেনিসে রামহিম লিওন বম বর্ষসেরার পুরস্কার জেতেন। আর শ্যুটিংয়ে সেরার স্বীকৃতি পেয়ে, আন্তর্জাতিক পদক বন্ধ্যাত্ব ঘোচানোর প্রত্যয় জানান কামরুন নাহার কলি।
১৯৯৯ সালে খেলোয়াড় হিসেবে বর্ষসেরার স্বীকৃতি পাওয়া ফুটবলার আলফাজ আহমেদ এবার মোহামেডানকে কোচিং করিয়ে আদায় করেছেন পুরস্কার। তবে তৃণমূলের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মেহেরপুরের ভারোত্তোলন কোচ মোয়াজ্জেম হোসেনকে স্বীকৃতি অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে।