সুপার ওভারে গড়াল ওমান-নামিবিয়া ম্যাচ
- আপডেট সময় : ১০:২০:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
- / 67
ইয়ান ফ্রাইলিংকের ক্যাচ ছেড়ে দলের হতাশা বাড়িয়েছিলেন মেহরান খান। শেষ ওভারের আগের ওভারে বিলাল খানের বলে ছয়টা আরও হতাশ করেছিল ওমানকে। মেহরান খান তবু শেষ ওভারে শুরুটা করেছিলেন দারুণ। প্রথম তিন বলের মাঝেই তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ব্যাটার ডেভিড উইসা নামিবিয়ান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অভিজ্ঞও তিনি। শেষ বলে ব্যাটে বলে করা হয়নি। ১ রান নিয়েই থামলেন। ম্যাচ গেল সুপার ওভারে।
সোমবার বার্বাডোজের ব্রিজটাউনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ওয়ানকে সুপার ওভারে ১১ রানে হারায় নামিবিয়া। মূল ম্যাচে ১০৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ১০৯ রানে আটকে যাওয়া আফ্রিকার দল বাজিমাত করে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে।
তবে ম্যাচটা শেষ হতে পারত আরো আগেই। ওমানের ফিল্ডাররা ১০৯ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে একে একে ছাড়লেন ৩টি ক্যাচ। লো-স্কোরিং এই ম্যাচটাকে সেটাই নিয়ে গেল শেষ বল পর্যন্ত। নামিবিয়াও ছোট টার্গেটে সাবধানী ব্যাট করতে গিয়ে খরচ করেছে অনেকটুকু সময়। ২০ ওভারের ম্যাচে লো-স্কোরিং এই ম্যাচটাও তাই হয়ে থাকল মনে রাখার মতোই।
বার্বাডোজে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বোলারদের দাপট থাকবে সেটা বোঝা গিয়েছিল ওমান ইনিংসের শুরুতেই। ট্রাম্পেলম্যান প্রথম দুই বলেই পেলেন দুই উইকেট। শুরুর সেই ধাক্কাটা এশিয়ান দেশটি আর সামলে নিতেই পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। জিসান মাকসুদ এবং খলিল খানের দুই ইনিংস ওমানকে খানিক ভরসা দিয়েছে। পুরো দলে দুই অঙ্কের ঘরে নিজেদের রান নিতে পেরেছেন কেবল ৪ জন।
একপর্যায়ে ওমানের সংগ্রহ ১০০ পার হওয়া নিয়েই ছিল শঙ্কা। কিন্তু শেষ দিকে শাকিল আহমেদের দুই চার তাদের দলীয় সংগ্রহ টেনে নেয় ১০৯ রান পর্যন্ত। ক্ষুদ্র এই রানটাই অবশ্য একসময় মনে হচ্ছিল যথেষ্ট।
নামিবিয়ার ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় না হলেও খরুচে বোলিং করেননি কেউই। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৪। বিলাল খানের ওভারে আসে ৯ রান। আর মেহরানের ওভারে দরকার ছিল ৫ রান। কিন্তু এলো কেবল ৪। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
নিউজটি শেয়ার করুন