ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

উগান্ডাকে ‘ক্রিকেট শেখালো’ আফগানিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / 77
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে কী করবে উগান্ডা- এটা যেন ছিল অনুমিতই। তবুও, টি-টোয়েন্টি বলে কথা। যে কোনো দলই যে কারো বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারে; কিন্তু মাত্র ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি খেলার মর্যাদা পাওয়া উগান্ডাকে বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচেই ভালোভাবে ‘ক্রিকেট শিখিয়ে’ দিলো রশিদ খানের দল।

নবাগত উগান্ডার বিপক্ষে আফগানিস্তানের লক্ষ্যটা কেবল জয় না। রশিদ খানের দল চেয়েছিল রানরেটের ব্যবধানটাও এগিয়ে রাখতে। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল হয়েছে তারা। ১২৫ রানের বিশাল জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা চতুর্থ বৃহত্তম জয়। রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানের ফিফটির পর ফজল হক ফারুকির ফাইফার নিশ্চিত করেছে আফগানদের বড় জয়।

গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করেছিলো আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে উগান্ডা। শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়েছে আফ্রিকান দেশটি। ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। পেসার ফজলহক ফারুকি ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে একাই নিলেন ৫ উইকেট।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরে ৪র্থ স্থানে রয়েছে উগান্ডা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৩৯ রনের রেকর্ড রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে এত কম রানে অলআউট হয়েছিলো তারা। ৪৪ রানেও একবার অলআউট হয়েছিলো ডাচরা। ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

অন্যদিকে আফগানিস্তানের ১২৫ রানের এই জয় রান বিচারে চতুর্থ সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১৭২ রানে জিতেছিলো শ্রীলঙ্কা, কেনিয়ার বিপক্ষে ২০০৭ সালে। ১৩০ রানের দুটি জয় আছে, একটি দক্ষিণ আফ্রিকার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৯ সালে, অন্যটি আফগানিস্তানের স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২১ সালে।

দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরানের ১৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি রান বিচারে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তবে উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাদের আগে রয়েছে অ্যালেক্স হেলস এবং জস বাটলারের করা অপরাজিত ১৭০ রানের জুটি, ভারতের বিপক্ষে।

১৬৮ রানের জুটি গড়েছিলেন রাইলি রুশো এবং কুইন্টন ডি কক, দ্বিতীয় উইকেটে। কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে ১৬৬ রানের জুটি গড়েছিলো দ্বিতীয় উইকেটে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপরই রয়েছে গুরবাজ আর জাদরানের ১৫৪ রানের জুটি।

আফগানদের করা ১৮৩ রান পাড়ি দিতে গিয়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে উগান্ডা। দু’জন মাত্র ব্যাটার রিয়াজাত আলি শাহ এবং রবিনসন ওবুইয়া দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেন। সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন রবিনসন ওবুইয়া। ১১ রান করেন রিয়াজাত আলি। বাকিরা সিঙ্গেল ডিজিট। এর মধ্যে শুন্য রানে আউট হলেন চারজন।

ফজলহক ফারুকি ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন নাভিন উল হক এবং রশিদ খান। ১টি উইকেট নেন মুজিব-উর রহমান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। দুই ওপেনার ১৫৪ রানের জুটি গড়ে তুলেছিলেন।

তবে দুই ওপেনার যেভাবে ব্যাট করেছেন এবং রান তুলেছেন, আফগানিস্তান ইনিংসের শেষটা সেভাবে হলো না। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর শেষ ৬টি ওভারে কোনো রানই উঠলো না। বরং, ৫টি উইকেট হারিয়েছে রশিদ খানের দল।

১৫৪ রানের জুটি গড়ার পর ১৪.৩ ওভারে বিচ্ছিন্ন হন গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরান। ৪৬ বল খেলে ৭০ রান করে আউট হন ইবরাহিম জাদরান। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২ রান বিরতি দিয়ে ফিরে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজও। ৪৫ বলে তিনি খেলেন ৭৬ রনের ইনিংস। ৪টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি।

এরপর নজিবুল্লাহ জাদরান ২ রানে, গুলবাদিন নাইব ৪ রানে, আজমত উল্লাহ ওমরজাই ৫ রানে আউট হন। মোহাম্মদ নবি ১৪ রানে এবং রশিদ খান ২ রানে অপরাজিত থাকেন।

উগান্ডার বোলারদের মধ্যে কসমাস কিউয়াতা এবং ব্রায়ান মাসাবা নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন আলফেস রমজানি।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

উগান্ডাকে ‘ক্রিকেট শেখালো’ আফগানিস্তান

আপডেট সময় : ১২:০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

 

আফগানিস্তানের বিপক্ষে কী করবে উগান্ডা- এটা যেন ছিল অনুমিতই। তবুও, টি-টোয়েন্টি বলে কথা। যে কোনো দলই যে কারো বিপক্ষে জ্বলে উঠতে পারে; কিন্তু মাত্র ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি খেলার মর্যাদা পাওয়া উগান্ডাকে বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচেই ভালোভাবে ‘ক্রিকেট শিখিয়ে’ দিলো রশিদ খানের দল।

নবাগত উগান্ডার বিপক্ষে আফগানিস্তানের লক্ষ্যটা কেবল জয় না। রশিদ খানের দল চেয়েছিল রানরেটের ব্যবধানটাও এগিয়ে রাখতে। সেই লক্ষ্যে অনেকটাই সফল হয়েছে তারা। ১২৫ রানের বিশাল জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা চতুর্থ বৃহত্তম জয়। রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর ইব্রাহিম জাদরানের ফিফটির পর ফজল হক ফারুকির ফাইফার নিশ্চিত করেছে আফগানদের বড় জয়।

গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করেছিলো আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়েছে উগান্ডা। শেষ পর্যন্ত ১৬ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়েছে আফ্রিকান দেশটি। ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। পেসার ফজলহক ফারুকি ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে একাই নিলেন ৫ উইকেট।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরে ৪র্থ স্থানে রয়েছে উগান্ডা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৩৯ রনের রেকর্ড রয়েছে নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার কাছে এত কম রানে অলআউট হয়েছিলো তারা। ৪৪ রানেও একবার অলআউট হয়েছিলো ডাচরা। ৫৫ রানে অলআউট হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

অন্যদিকে আফগানিস্তানের ১২৫ রানের এই জয় রান বিচারে চতুর্থ সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ১৭২ রানে জিতেছিলো শ্রীলঙ্কা, কেনিয়ার বিপক্ষে ২০০৭ সালে। ১৩০ রানের দুটি জয় আছে, একটি দক্ষিণ আফ্রিকার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৯ সালে, অন্যটি আফগানিস্তানের স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২১ সালে।

দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরানের ১৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি রান বিচারে চতুর্থ সর্বোচ্চ। তবে উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তাদের আগে রয়েছে অ্যালেক্স হেলস এবং জস বাটলারের করা অপরাজিত ১৭০ রানের জুটি, ভারতের বিপক্ষে।

১৬৮ রানের জুটি গড়েছিলেন রাইলি রুশো এবং কুইন্টন ডি কক, দ্বিতীয় উইকেটে। কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে ১৬৬ রানের জুটি গড়েছিলো দ্বিতীয় উইকেটে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপরই রয়েছে গুরবাজ আর জাদরানের ১৫৪ রানের জুটি।

আফগানদের করা ১৮৩ রান পাড়ি দিতে গিয়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে উগান্ডা। দু’জন মাত্র ব্যাটার রিয়াজাত আলি শাহ এবং রবিনসন ওবুইয়া দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেন। সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন রবিনসন ওবুইয়া। ১১ রান করেন রিয়াজাত আলি। বাকিরা সিঙ্গেল ডিজিট। এর মধ্যে শুন্য রানে আউট হলেন চারজন।

ফজলহক ফারুকি ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন নাভিন উল হক এবং রশিদ খান। ১টি উইকেট নেন মুজিব-উর রহমান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। দুই ওপেনার ১৫৪ রানের জুটি গড়ে তুলেছিলেন।

তবে দুই ওপেনার যেভাবে ব্যাট করেছেন এবং রান তুলেছেন, আফগানিস্তান ইনিংসের শেষটা সেভাবে হলো না। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর শেষ ৬টি ওভারে কোনো রানই উঠলো না। বরং, ৫টি উইকেট হারিয়েছে রশিদ খানের দল।

১৫৪ রানের জুটি গড়ার পর ১৪.৩ ওভারে বিচ্ছিন্ন হন গুরবাজ এবং ইবরাহিম জাদরান। ৪৬ বল খেলে ৭০ রান করে আউট হন ইবরাহিম জাদরান। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২ রান বিরতি দিয়ে ফিরে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজও। ৪৫ বলে তিনি খেলেন ৭৬ রনের ইনিংস। ৪টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি।

এরপর নজিবুল্লাহ জাদরান ২ রানে, গুলবাদিন নাইব ৪ রানে, আজমত উল্লাহ ওমরজাই ৫ রানে আউট হন। মোহাম্মদ নবি ১৪ রানে এবং রশিদ খান ২ রানে অপরাজিত থাকেন।

উগান্ডার বোলারদের মধ্যে কসমাস কিউয়াতা এবং ব্রায়ান মাসাবা নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন আলফেস রমজানি।