ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

পর্তুগালকে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিতে ফ্রান্স

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • / 65
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় হলো না কোনো গোল। তারপর খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। ১২০ মিনিটেও কোনো ফল না আসায় ট্রাইবেকারে গড়ায় ম্যাচ। তাতে পর্তুগালকে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে ফ্রান্স।

মনে করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ইউরো কাপ শেষ হয়ে গেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। হয়ত আর ইউরো কাপে দেখা যাবে না তাকে।

আগের ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক হয়েছিলেন দিয়োগো কোস্তা। এ দিন পাঁচটি শটের একটিও বাঁচাতে পারলেন না তিনি। ফলে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে সেমি নিশ্চিত করে ফরাসিরা।

ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে ছিল ফ্রান্স। শুরুর কয়েক মিনিট পর্তুগালকে দাঁড়াতে দেয়নি তারা। রবার্তো মার্তিনেসের দল ব্যস্ত ছিল বল ক্লিয়ার করতেই। ধীরে ধীরে খেলায় দখল নিতে শুরু করে পর্তুগাল। তবে ফ্রান্সের মতো আক্রমণে ওঠার বদলে তারা নিজেদের মধ্যে পাস খেলে খেলার গতি কমিয়ে দেয়।

মাঝমাঠের দখল নিতে এদিন অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে একসঙ্গে নামিয়ে দিয়েছিলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। তারা অবশ্য প্রথমার্ধে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেননি। অন্যদিকে পর্তুগালের বেশির ভাগ আক্রমণ হতে থাকে বাঁ দিক থেকে। সেদিক দিয়ে খেলছিলেন রাফায়েল লিয়াও। কিন্তু আগের ম্যাচগুলোতেও দেখা গেছে লিয়াওয়ের বল ধরে রাখার প্রবণতা। এদিনও তেমনটি দেখা গেল। পাশাপাশি তার ক্রস বা পাস কোনোটিতেই নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ফলে পর্তুগালের কাছে বলার মতো কোনো আক্রমণ তৈরি হচ্ছিল না।

ফ্রান্সের আক্রমণ তুলনামূলক ভালো হচ্ছিল। তারা অনেক বেশি ডিরেক্ট ফুটবল খেলছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাদের সব আক্রমণ এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল। পর্তুগালের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে একই দৃশ্য।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চোট পান এমবাপে। পর্তুগালের এক ফুটবলারের হেড লাগে তার মাথার পাশে। ফেস গার্ড খুলে ফেলে বারবার নাকে হাত বোলাতে থাকেন। অনেকে আশঙ্কিত হয়েছিলেন যে পুরোনো জায়গায় চোট লাগল কি না। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ফেস গার্ড পরে মাঠে নামতে দেখা যায় তাকে। ৫৯ মিনিটের মাথায় ভালো জায়গায় বল পেয়েও সোজা গোলকিপারের দিকে মারেন ব্রুনো। ফিরতি বলে সুযোগ নষ্ট করেন জোয়াও ক্যানসেলো।

৬৪ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে দুই দলের কাছেই গোল করার সুযোগ এসেছিল। প্রথম মিস করে পর্তুগাল। ভিটিনহার শট বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনান। দুই মিনিট পরে বিশ্বকাপের ধাঁচে মিস করেন কোলো মুয়ানি। পেছন থেকে ভেসে আসা বলে শট নিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে তা বাঁচিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এবার পর্তুগালকে বাঁচায় রুবেন দিয়াসের পা। মিনিট চারেক পরে ওসমানে দেম্বেলে দুই ফুট দূরে একা গোলকিপারকে পেলেও বাইরে মারেন। অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে রোনালদো একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় থাকলেও বারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগে অনেকেই চমকে যান। এমবাপেকে তুলে নেন দেশম। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে নাকে বরফ লাগাচ্ছিলেন এমবাপে। তার জায়গায় নামানো হয় বারকোলাকে। সেই অর্ধেও নির্বিষ খেলা হচ্ছিল। শেষ দিকে একটি ভালো বল পেয়েছিলেন কনসেসাও। কিন্তু বেশি সময় নেওয়ার কারণে পাস ঠিকঠাক হয়নি। নুনো মেন্দেসের শট বাঁচিয়ে দেন মাইগনান।

সবশেষে টাইব্রেকারে ভাগ্য সহায় হয় ফ্রান্সের। সেমিফাইনালে তারা স্পেনের মুখোমুখি হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

পর্তুগালকে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিতে ফ্রান্স

আপডেট সময় : ০৯:০১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

 

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় হলো না কোনো গোল। তারপর খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। ১২০ মিনিটেও কোনো ফল না আসায় ট্রাইবেকারে গড়ায় ম্যাচ। তাতে পর্তুগালকে হারিয়ে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেছে ফ্রান্স।

মনে করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ইউরো কাপ শেষ হয়ে গেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। হয়ত আর ইউরো কাপে দেখা যাবে না তাকে।

আগের ম্যাচে তিনটি পেনাল্টি বাঁচিয়ে নায়ক হয়েছিলেন দিয়োগো কোস্তা। এ দিন পাঁচটি শটের একটিও বাঁচাতে পারলেন না তিনি। ফলে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে সেমি নিশ্চিত করে ফরাসিরা।

ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে ছিল ফ্রান্স। শুরুর কয়েক মিনিট পর্তুগালকে দাঁড়াতে দেয়নি তারা। রবার্তো মার্তিনেসের দল ব্যস্ত ছিল বল ক্লিয়ার করতেই। ধীরে ধীরে খেলায় দখল নিতে শুরু করে পর্তুগাল। তবে ফ্রান্সের মতো আক্রমণে ওঠার বদলে তারা নিজেদের মধ্যে পাস খেলে খেলার গতি কমিয়ে দেয়।

মাঝমাঠের দখল নিতে এদিন অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি ও এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে একসঙ্গে নামিয়ে দিয়েছিলেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। তারা অবশ্য প্রথমার্ধে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেননি। অন্যদিকে পর্তুগালের বেশির ভাগ আক্রমণ হতে থাকে বাঁ দিক থেকে। সেদিক দিয়ে খেলছিলেন রাফায়েল লিয়াও। কিন্তু আগের ম্যাচগুলোতেও দেখা গেছে লিয়াওয়ের বল ধরে রাখার প্রবণতা। এদিনও তেমনটি দেখা গেল। পাশাপাশি তার ক্রস বা পাস কোনোটিতেই নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ফলে পর্তুগালের কাছে বলার মতো কোনো আক্রমণ তৈরি হচ্ছিল না।

ফ্রান্সের আক্রমণ তুলনামূলক ভালো হচ্ছিল। তারা অনেক বেশি ডিরেক্ট ফুটবল খেলছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাদের সব আক্রমণ এলোমেলো হয়ে যাচ্ছিল। পর্তুগালের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে একই দৃশ্য।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চোট পান এমবাপে। পর্তুগালের এক ফুটবলারের হেড লাগে তার মাথার পাশে। ফেস গার্ড খুলে ফেলে বারবার নাকে হাত বোলাতে থাকেন। অনেকে আশঙ্কিত হয়েছিলেন যে পুরোনো জায়গায় চোট লাগল কি না। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার ফেস গার্ড পরে মাঠে নামতে দেখা যায় তাকে। ৫৯ মিনিটের মাথায় ভালো জায়গায় বল পেয়েও সোজা গোলকিপারের দিকে মারেন ব্রুনো। ফিরতি বলে সুযোগ নষ্ট করেন জোয়াও ক্যানসেলো।

৬৪ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে দুই দলের কাছেই গোল করার সুযোগ এসেছিল। প্রথম মিস করে পর্তুগাল। ভিটিনহার শট বাঁচিয়ে দেন ফ্রান্সের গোলকিপার মাইক মাইগনান। দুই মিনিট পরে বিশ্বকাপের ধাঁচে মিস করেন কোলো মুয়ানি। পেছন থেকে ভেসে আসা বলে শট নিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ ফাইনালে তা বাঁচিয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এবার পর্তুগালকে বাঁচায় রুবেন দিয়াসের পা। মিনিট চারেক পরে ওসমানে দেম্বেলে দুই ফুট দূরে একা গোলকিপারকে পেলেও বাইরে মারেন। অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে রোনালদো একটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। বক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় থাকলেও বারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগে অনেকেই চমকে যান। এমবাপেকে তুলে নেন দেশম। রিজার্ভ বেঞ্চে বসে নাকে বরফ লাগাচ্ছিলেন এমবাপে। তার জায়গায় নামানো হয় বারকোলাকে। সেই অর্ধেও নির্বিষ খেলা হচ্ছিল। শেষ দিকে একটি ভালো বল পেয়েছিলেন কনসেসাও। কিন্তু বেশি সময় নেওয়ার কারণে পাস ঠিকঠাক হয়নি। নুনো মেন্দেসের শট বাঁচিয়ে দেন মাইগনান।

সবশেষে টাইব্রেকারে ভাগ্য সহায় হয় ফ্রান্সের। সেমিফাইনালে তারা স্পেনের মুখোমুখি হবে।