ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামের জন্য ছেড়েছিলেন অভিনয় ॥ দেড় বছরের মাথায় ফের অন্তঃসত্ত্বা সানা খান Logo কলার খোসা রোজ লাগান, যৌবন উপচে পড়বে Logo শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি এবং দ্রুত প্রস্থান Logo যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দল জানালেন, কেমন পুরুষকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হতে পারবেন Logo বিবাহিত অথচ স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমান যে দেশে Logo সাভারে কাপড়ের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo শাকিবের সাক্ষাতে মুগ্ধতা যেন কাটতে চাইছে না সৌমিতৃষার Logo ৫৩ ঘণ্টা পর শ্রমিক অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক Logo পাচার অর্থ উদ্ধারে নিয়োগ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ল ফার্ম Logo তিন দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

 

কানাডার স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • / 68
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কানাডার বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। মাঠের পারফরম্যান্সেও দেখা গেল দাপুটে আর্জেন্টিনার পুরো চিত্র। স্কোরলাইন যদিও বলছে আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতেছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। তবে নব্বই মিনিটের খেলায় আলবিসেলেস্তেরা ছিল আরও বেশি পরিণত। কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেললেন চ্যাম্পিয়নদের মতোই। তাতে টানা দ্বিতীয়বার এবং শেষ আট কোপায় ৬ষ্ঠবার ফাইনালে চলে গেল আর্জেন্টিনা।

প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকাতে সুযোগ পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েই সেমিফাইনালে ওঠেছিল কানাডা। যখন জানা গেল শেষ চারের লড়াইয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে হবে, তখনই অনুমান করা গেছে অলৌকিক কোনো কিছু না হলে সেমিতেই স্বপ্নযাত্রা থামবে তাদের। তবে ফুটবল মাঠে যেকোনো কিছুই হতে পারে, সেই প্রত্যাশা নিয়েই নেমেছিল কানাডা।

নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অলৌকিক কোনো কিছুই হলো না। আর্জেন্টিনা খেলেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মতোই। কানাডা যে সেমিতে সহজ প্রতিপক্ষ সেটি প্রমাণ করলো লিওনেল মেসিরা। একপেশে লড়াইয়ে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় কানাডা। শ্যাফেলবার্গের বাঁ পায়ের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটের মাথায় সেই শ্যাফেলবার্গই আবার একই পজিশনে বল পেলে সেটিও বাইরে মারেন।

ম্যাচে আর্জেন্টিনা প্রথম আক্রমণের সুযোগ আসে ১২ নিনিটের মাথায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির বা পায়ের জোড়ালো শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কানাডার খেলোয়াড়রা পেশিশক্তির ব্যবহার করলেও আর্জেন্টিনা মাথা ঠাণ্ডা করে খেলতে থাকে। যার ফলও পেয়ে যায় মেসিরা।

টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার শুরুর ম্যাচে প্রথম গোলটা এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আলভারেজের পা থেকে। আজ সেমিফাইনালেও সেই আলভারেজই ত্রাতা হয়ে আর্জেন্টিনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ২২ মিনিটে তার দেওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডি পলের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আলভারেজ।

এগিয়ে যাওয়ার আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে এবার ডি মারিয়া তার চিরাচরিত চিপ শটে বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে মারলে সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ডি-বক্সের ভেতর সুযোগ পায় কানাডা। জটলা থেকে নেওয়া আলফনসো ডেভিসের শট রুখে দেন মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গে শুরু করে আর্জেন্টিনা। যে কারণে গোল করতেও বেশি দেরি হয়নি তাদের। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। এনজো ফার্নান্দেজের জোরালো মেসির বাঁপায়ে লেগে কানাডা জালে গিয়ে জমা হয়। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।

এই অর্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য দারুণ চেষ্টা চালিয়েছে কানাডা। প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও এবার উপরে এসেছিল তারা। বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল তারা। তবে সফলতা আসেনি।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনাও একের পর এক আক্রমণ করে কানাডা রক্ষণভাগকে ব্যস্ত করে তোলে। ৬১ মিনিটে ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে আলভারেজের একটি শট রুখে কানাডার গোলরক্ষক মেক্সিম ক্রিপাউ। এরপর টানা ২টি আক্রমণ চালায় কানাডা। তবে ব্যর্থই থাকে তারা। ৮৯ ও ৯০ মিনিটেও গোলচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। তবে সফলতার মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

কানাডার স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

 

কানাডার বিপক্ষে জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল। মাঠের পারফরম্যান্সেও দেখা গেল দাপুটে আর্জেন্টিনার পুরো চিত্র। স্কোরলাইন যদিও বলছে আর্জেন্টিনা ম্যাচ জিতেছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। তবে নব্বই মিনিটের খেলায় আলবিসেলেস্তেরা ছিল আরও বেশি পরিণত। কোপা আমেরিকা এবং বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা খেললেন চ্যাম্পিয়নদের মতোই। তাতে টানা দ্বিতীয়বার এবং শেষ আট কোপায় ৬ষ্ঠবার ফাইনালে চলে গেল আর্জেন্টিনা।

প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকাতে সুযোগ পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েই সেমিফাইনালে ওঠেছিল কানাডা। যখন জানা গেল শেষ চারের লড়াইয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে হবে, তখনই অনুমান করা গেছে অলৌকিক কোনো কিছু না হলে সেমিতেই স্বপ্নযাত্রা থামবে তাদের। তবে ফুটবল মাঠে যেকোনো কিছুই হতে পারে, সেই প্রত্যাশা নিয়েই নেমেছিল কানাডা।

নিউজার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অলৌকিক কোনো কিছুই হলো না। আর্জেন্টিনা খেলেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মতোই। কানাডা যে সেমিতে সহজ প্রতিপক্ষ সেটি প্রমাণ করলো লিওনেল মেসিরা। একপেশে লড়াইয়ে কানাডাকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় প্রথম সুযোগ পায় কানাডা। শ্যাফেলবার্গের বাঁ পায়ের শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটের মাথায় সেই শ্যাফেলবার্গই আবার একই পজিশনে বল পেলে সেটিও বাইরে মারেন।

ম্যাচে আর্জেন্টিনা প্রথম আক্রমণের সুযোগ আসে ১২ নিনিটের মাথায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির বা পায়ের জোড়ালো শটটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কানাডার খেলোয়াড়রা পেশিশক্তির ব্যবহার করলেও আর্জেন্টিনা মাথা ঠাণ্ডা করে খেলতে থাকে। যার ফলও পেয়ে যায় মেসিরা।

টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনার শুরুর ম্যাচে প্রথম গোলটা এসেছিল ম্যানচেস্টার সিটির তারকা আলভারেজের পা থেকে। আজ সেমিফাইনালেও সেই আলভারেজই ত্রাতা হয়ে আর্জেন্টিনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন। ২২ মিনিটে তার দেওয়া গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। রদ্রিগো ডি পলের ডিফেন্স চেরা পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আলভারেজ।

এগিয়ে যাওয়ার আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। ৩৪ মিনিটে এবার ডি মারিয়া তার চিরাচরিত চিপ শটে বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে মারলে সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ডি-বক্সের ভেতর সুযোগ পায় কানাডা। জটলা থেকে নেওয়া আলফনসো ডেভিসের শট রুখে দেন মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপটের সঙ্গে শুরু করে আর্জেন্টিনা। যে কারণে গোল করতেও বেশি দেরি হয়নি তাদের। ৫১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে আর্জেন্টিনা। এনজো ফার্নান্দেজের জোরালো মেসির বাঁপায়ে লেগে কানাডা জালে গিয়ে জমা হয়। এতে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০।

এই অর্ধে ম্যাচে ফেরার জন্য দারুণ চেষ্টা চালিয়েছে কানাডা। প্রথমার্ধে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেও এবার উপরে এসেছিল তারা। বেশ কিছু আক্রমণ করেছিল তারা। তবে সফলতা আসেনি।

অন্যদিকে আর্জেন্টিনাও একের পর এক আক্রমণ করে কানাডা রক্ষণভাগকে ব্যস্ত করে তোলে। ৬১ মিনিটে ডি মারিয়ার অ্যাসিস্ট থেকে আলভারেজের একটি শট রুখে কানাডার গোলরক্ষক মেক্সিম ক্রিপাউ। এরপর টানা ২টি আক্রমণ চালায় কানাডা। তবে ব্যর্থই থাকে তারা। ৮৯ ও ৯০ মিনিটেও গোলচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর আমেরিকার দেশটি। তবে সফলতার মুখ দেখেনি। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা।