ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

দুই দিন খেলেই ভারতের কাছে টেস্ট হারলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / 72
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করে ওঠতে পারেনি টাইগাররা। সাদমান ইসলামের ৫০ রানের ইনিংসের সুবাদে অল আউট হওয়ার আগে করতে পারে ১৪৬ রান, তাতে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯৫ রানের।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারালেও সহজেই ম্যাচটি জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। যশ্বসী জয়সোয়ালের ৪৪ বলে খেলা ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে ৭ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে ভারত। এতে করে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে ২ টেস্টের সিরিজ জিতে নিয়েছে রোহিত-কোহলিরা।

প্রায় তিনদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও শেষ দুই দিনের খেলায় হেরে গেছে তারা। কারও কারও কাছে ঘটনাটা হয়তো হয়ে থাকবে অবিশ্বাস্য।

শেষদিনের শুরুটা চাপ নিয়েই করে বাংলাদেশ। আগের দিন দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। এদিন অন্তত দুই সেশন খেলতে না পারলে যে হার চোখ রাঙাবে, তাও জানা ছিল। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে শুরুটা অবশ্য তত ভালো হয়নি।

আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক ফেরেন দ্রুতই। সেঞ্চুরির সময়ে সুইপটা খুব ভালো করছিলেন মুমিনুল। এবারও করতে গিয়েছিলেন তেমন কিছুই। কিন্তু রবীচন্দ্রন অশ্বিন লেগ স্লিপটা রাখেন তার জন্য। ওখানেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। ৮ বল খেলে ২ রান করেছিলেন তিনি।

তার বিদায়ের পর বাংলাদেশকে আশা দেখান নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম। তাদের জুটিতে ভর করে পরের এক ঘণ্টা স্বাচ্ছন্দ্যেই পাড় করে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই প্রথম ওপেনার হিসেবে ভারতের মাটিতে টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি পান সাদমান।

ঝামেলার শুরুটা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে। রবীন্দ্র জাদেজার প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩৭ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান শান্ত। তার সঙ্গে সাদমানের জুটি ছিল ৫৫ রানের।

শান্ত আউট হওয়ার পর তিন রান করতে আরও তিনটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আকাশ দীপের বলে শট খেলতে গিয়ে জাসওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। রেকর্ড হাফ সেঞ্চুরির পর আর এক রানও যোগ করতে পারেননি তিনি। ১০১ বলে ৫০ রান করেন সাদমান।

এরপর উইকেটে দুই নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। তাদের মধ্যে লিটন উইকেটে থাকেননি বেশিক্ষণ। জাদেজার করা ওভারের প্রথম পাঁচটি বলের চারটিই ছেড়ে দেন তিনি। শেষ বলটিও ছাড়তেই চেয়েছিলেন, কিন্তু লিটনের গ্লাভসে লেগে বল যায় পান্তের হাতে।

দেশের বাইরে নিজের শেষ টেস্টে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। জাদেজার বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে দুই বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরত যান সাকিব। ৪ রান করতেই তিন উইকেট হারিয়ে হারের ভয়ে ভালোভাবেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।

সেটি যেন আরও একটু নিশ্চিত হয়ে যায় মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই। জাসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত এক ডেলেভারি মিরাজের ব্যাট ছুয়ে পান্তের হাতে। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের অলআউট হওয়াটা ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সেটি হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেশনের একদম শেষ বলে বুমরাকে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন মুশফিক। তাতে ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে তিন উইকেট করে নেন অশ্বিন, জাদেজা ও বুমরা। তাদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ৯৫ রানের।

এটি তাড়া করতে গিয়ে ভারতও অবশ্য উইকেট হারিয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য কম থাকায় তেমন চাপে পড়েনি তারা। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও ঝড়ো শুরুই করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং লেগে হাসান মাহমুদকে ক্যাচ দেন ৮ বলে ৭ রান করা রোহিত।

তার বিদায়ের পর শুভমান গিলকেও ফেরায় বাংলাদেশ। ৬ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন যশস্বী জাসওয়াল।

কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি তোলার পর জয় থেকে তিন রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। তাইজুলকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন সাকিবের হাতে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

দুই দিন খেলেই ভারতের কাছে টেস্ট হারলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

 

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করে ওঠতে পারেনি টাইগাররা। সাদমান ইসলামের ৫০ রানের ইনিংসের সুবাদে অল আউট হওয়ার আগে করতে পারে ১৪৬ রান, তাতে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯৫ রানের।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারালেও সহজেই ম্যাচটি জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। যশ্বসী জয়সোয়ালের ৪৪ বলে খেলা ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে ৭ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে ভারত। এতে করে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করে ২ টেস্টের সিরিজ জিতে নিয়েছে রোহিত-কোহলিরা।

প্রায় তিনদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পরও শেষ দুই দিনের খেলায় হেরে গেছে তারা। কারও কারও কাছে ঘটনাটা হয়তো হয়ে থাকবে অবিশ্বাস্য।

শেষদিনের শুরুটা চাপ নিয়েই করে বাংলাদেশ। আগের দিন দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। এদিন অন্তত দুই সেশন খেলতে না পারলে যে হার চোখ রাঙাবে, তাও জানা ছিল। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে শুরুটা অবশ্য তত ভালো হয়নি।

আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হক ফেরেন দ্রুতই। সেঞ্চুরির সময়ে সুইপটা খুব ভালো করছিলেন মুমিনুল। এবারও করতে গিয়েছিলেন তেমন কিছুই। কিন্তু রবীচন্দ্রন অশ্বিন লেগ স্লিপটা রাখেন তার জন্য। ওখানেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। ৮ বল খেলে ২ রান করেছিলেন তিনি।

তার বিদায়ের পর বাংলাদেশকে আশা দেখান নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাদমান ইসলাম। তাদের জুটিতে ভর করে পরের এক ঘণ্টা স্বাচ্ছন্দ্যেই পাড় করে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই প্রথম ওপেনার হিসেবে ভারতের মাটিতে টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি পান সাদমান।

ঝামেলার শুরুটা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়ে। রবীন্দ্র জাদেজার প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩৭ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান শান্ত। তার সঙ্গে সাদমানের জুটি ছিল ৫৫ রানের।

শান্ত আউট হওয়ার পর তিন রান করতে আরও তিনটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আকাশ দীপের বলে শট খেলতে গিয়ে জাসওয়ালের হাতে ক্যাচ দেন সাদমান। রেকর্ড হাফ সেঞ্চুরির পর আর এক রানও যোগ করতে পারেননি তিনি। ১০১ বলে ৫০ রান করেন সাদমান।

এরপর উইকেটে দুই নতুন ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। তাদের মধ্যে লিটন উইকেটে থাকেননি বেশিক্ষণ। জাদেজার করা ওভারের প্রথম পাঁচটি বলের চারটিই ছেড়ে দেন তিনি। শেষ বলটিও ছাড়তেই চেয়েছিলেন, কিন্তু লিটনের গ্লাভসে লেগে বল যায় পান্তের হাতে।

দেশের বাইরে নিজের শেষ টেস্টে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। জাদেজার বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে দুই বলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরত যান সাকিব। ৪ রান করতেই তিন উইকেট হারিয়ে হারের ভয়ে ভালোভাবেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।

সেটি যেন আরও একটু নিশ্চিত হয়ে যায় মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই। জাসপ্রিত বুমরাহর দুর্দান্ত এক ডেলেভারি মিরাজের ব্যাট ছুয়ে পান্তের হাতে। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের অলআউট হওয়াটা ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সেটি হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেশনের একদম শেষ বলে বুমরাকে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন মুশফিক। তাতে ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে তিন উইকেট করে নেন অশ্বিন, জাদেজা ও বুমরা। তাদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় স্রেফ ৯৫ রানের।

এটি তাড়া করতে গিয়ে ভারতও অবশ্য উইকেট হারিয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য কম থাকায় তেমন চাপে পড়েনি তারা। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও ঝড়ো শুরুই করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং লেগে হাসান মাহমুদকে ক্যাচ দেন ৮ বলে ৭ রান করা রোহিত।

তার বিদায়ের পর শুভমান গিলকেও ফেরায় বাংলাদেশ। ৬ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন যশস্বী জাসওয়াল।

কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি তোলার পর জয় থেকে তিন রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। তাইজুলকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন সাকিবের হাতে।