ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জ্যোতিদের বিপক্ষে হারমানপ্রীতদের লড়াই আজ

স্পোর্টস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটে এক সপ্তাহের প্রস্তুতি পর্ব শেষে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামতে যাচ্ছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফুটে ওঠা ঘাটতিগুলো শুধরে নিয়ে এবার ভালো কিছুর আশা বাংলাদেশের। অধিনায়ক জ্যোতির কণ্ঠেও ভেসে এলো সে কথা। অন্তত ১৫০ রান স্কোর বোর্ডে রাখতে পারলে বোলিং দিয়ে জেতা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

আজ বিকেল ৪টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামার আগে গতকাল কঠোর অনুশীলন করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেটে বৃষ্টির কারণে রয়েছে কিছুটা স্বস্তি। আর খেলা বিকালে হওয়ায় গরমের বাড়তি চাপ তেমন একটা থাকছে না। তবে সেই স্বস্তির সঙ্গে টাইগ্রেস বাহিনী কতটুকু সন্তুষ্টি যোগ করতে পারে, সেটি নিয়েই মূল আলোচনা।

গতকাল জ্যোতি জানিয়েছেন, ‘সিলেটের উইকেট বরাবরই খুব ভালো। স্পোর্টিং উইকেট। বড় স্কোর হয়। আর টি-টোয়েন্টিতে সবাই চায় যেন স্কোর হোক। এই দিক থেকে সিলেট একটি আদর্শ জায়গা টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য। আশা করছি, ভালো একটি উইকেট পাব, যেখানে দুই দলই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে পারবে।’

গেল বছর জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ সিরিজটা হয়েছিল মিরপুরে। টাইগ্রেসররা সেই সিরিজে দুর্দান্ত ফর্ম দেখিয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে হারলেও স্বাগতিকদের দাপট ছিল দেখার মতো। আর ওয়ানডে সিরিজটা দুই দল শেষ করেছিল ১-১ সমতায়। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ খেলা সিরিজে হতাশা ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি জ্যোতিরা। এবার সেই হতাশা দূর করার জন্য সামনে রয়েছে ভারতের ‘ফুল প্যাকেজ’।

জ্যোতি বলেছেন, ‘আমি যেটা চিন্তা করছি এটা সুযোগ হিসেবে দেখছি। কারণ ভারত ভালো দল এবং তারা কিন্তু ফুল প্যাকেজ নিয়ে এবার এসেছে। বিশ্বকাপে হয়তো তারা এই টিমটাই খেলবে। সুতরাং আমাদের জন্যও ভালো প্রস্তুতির সুযোগ রয়েছে। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটা টি-টোয়েন্টি খেলা এবং দলটা যে কঠিন সময় পার করে এসেছে, সেটা থেকে কামব্যাক করতে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের জন্য এটা বড় সুযোগ।

সিলেটের মাঠ, এখানে আমাদের অনেক বড় অর্জন নেই হয়তো। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলার কিছু স্মৃতি আছে। সেগুলোকে নিয়েই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে। চেষ্টা থাকবে যেন ভালোভাবে শুরু করতে পারি।’ আজকের ম্যাচ নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত ভারতও। দলটি অনুশীলন না করলেও অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর জানিয়েছেন, ‘আমরা এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। পুরো সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আশা করছি আমরা শতভাগ দিতে পারব। গত তিন দিন নিজেদের যতটা প্রস্তুত করা সম্ভব করেছি। মাঠে বাড়তি সময় দিয়েছি। যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি তাতে আমরা খুব খুশি। আর সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করছি।’

ভারতের দলনেতা আরো বলেছেন, ‘আমরা শুধু ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আমাদের দল যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। দলে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্পিনার রয়েছে। ফিল্ডিংয়ের দিক থেকেও আমরা অনেক উন্নতি করেছি। গত কয়েক দিন দেখেছি মেয়েরা ফিল্ডিংয়ে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। তাতে আমাদের মধ্যে অনেক আত্মবিশ্বাস এসেছে। মাঠে সেরাটাই দিতে সবাই মুখিয়ে রয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিক্ততার কথা মনে রয়েছে জ্যোতিদের। ঘরের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সেই স্মৃতি এখনো দগদগে হয়ে আছে। সেটি নিয়ে টাইগ্রেস দলপতি বলেছেন, ‘আমরা যে কঠিন সময় পার করে এসেছি সেখান থেকে কামব্যাক করতে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের জন্য এটা বড় সুযোগ। সিলেটের মাঠ, এখানে আমাদের অনেক বড় অর্জন নেই হয়তো। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলার কিছু স্মৃতি আছে। সেগুলোকে নিয়েই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে।’

বাংলাদেশের প্রশংসা করে হারমানপ্রীত বলেছেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো দল। তারা দ্রুতই উন্নতি করছে। আমরা সবাই জানি তারা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে। তবে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’ প্রতিপক্ষের অধিনায়কের মুখ থেকে এমন প্রশংসা শুনে জ্যোতি বলেছেন, ‘এটা শুনতে ভালো লেগেছে যে, তারা বলেছে আমরা পরিপক্ক দল। তাতে তারা আমাদের হালকাভাবে নেয়নি। এখন আমরাও প্রতিপক্ষের বিষয়টি দেখছি। কারণ ভারত একটি ভালো দল।’

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সবশেষ সিরিজটিতে বেশ কিছু দ্বৈরথ দেখা গিয়েছিল। বিশেষ করে ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত মেজাজ হারিয়ে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। এবারের সিরিজে এমন কিছু দেখা যাবে কি না, সেই প্রশ্নে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘অতীতে অনেক কিছুই হয়ে গেছে। যা গেছে তা তো চলেই গিয়েছে। সেটা তো আমরা ধরে বসে নাই।’ হারমানপ্রীতও একই কথা বলেছেন, ‘সেগুলো এখন অতীত। নতুন সিরিজ শুরু হচ্ছে, সবকিছুই নতুন।’ এবার এই নতুন সিরিজে ভালো কিছু হোক বাংলাদেশের, এমনটাই প্রত্যাশা ও অপেক্ষা ভক্তদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জ্যোতিদের বিপক্ষে হারমানপ্রীতদের লড়াই আজ

আপডেট সময় : ১১:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটে এক সপ্তাহের প্রস্তুতি পর্ব শেষে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামতে যাচ্ছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফুটে ওঠা ঘাটতিগুলো শুধরে নিয়ে এবার ভালো কিছুর আশা বাংলাদেশের। অধিনায়ক জ্যোতির কণ্ঠেও ভেসে এলো সে কথা। অন্তত ১৫০ রান স্কোর বোর্ডে রাখতে পারলে বোলিং দিয়ে জেতা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

আজ বিকেল ৪টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামার আগে গতকাল কঠোর অনুশীলন করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেটে বৃষ্টির কারণে রয়েছে কিছুটা স্বস্তি। আর খেলা বিকালে হওয়ায় গরমের বাড়তি চাপ তেমন একটা থাকছে না। তবে সেই স্বস্তির সঙ্গে টাইগ্রেস বাহিনী কতটুকু সন্তুষ্টি যোগ করতে পারে, সেটি নিয়েই মূল আলোচনা।

গতকাল জ্যোতি জানিয়েছেন, ‘সিলেটের উইকেট বরাবরই খুব ভালো। স্পোর্টিং উইকেট। বড় স্কোর হয়। আর টি-টোয়েন্টিতে সবাই চায় যেন স্কোর হোক। এই দিক থেকে সিলেট একটি আদর্শ জায়গা টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য। আশা করছি, ভালো একটি উইকেট পাব, যেখানে দুই দলই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে পারবে।’

গেল বছর জুলাইয়ে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবশেষ সিরিজটা হয়েছিল মিরপুরে। টাইগ্রেসররা সেই সিরিজে দুর্দান্ত ফর্ম দেখিয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে হারলেও স্বাগতিকদের দাপট ছিল দেখার মতো। আর ওয়ানডে সিরিজটা দুই দল শেষ করেছিল ১-১ সমতায়। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ খেলা সিরিজে হতাশা ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি জ্যোতিরা। এবার সেই হতাশা দূর করার জন্য সামনে রয়েছে ভারতের ‘ফুল প্যাকেজ’।

জ্যোতি বলেছেন, ‘আমি যেটা চিন্তা করছি এটা সুযোগ হিসেবে দেখছি। কারণ ভারত ভালো দল এবং তারা কিন্তু ফুল প্যাকেজ নিয়ে এবার এসেছে। বিশ্বকাপে হয়তো তারা এই টিমটাই খেলবে। সুতরাং আমাদের জন্যও ভালো প্রস্তুতির সুযোগ রয়েছে। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে পাঁচটা টি-টোয়েন্টি খেলা এবং দলটা যে কঠিন সময় পার করে এসেছে, সেটা থেকে কামব্যাক করতে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের জন্য এটা বড় সুযোগ।

সিলেটের মাঠ, এখানে আমাদের অনেক বড় অর্জন নেই হয়তো। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলার কিছু স্মৃতি আছে। সেগুলোকে নিয়েই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে। চেষ্টা থাকবে যেন ভালোভাবে শুরু করতে পারি।’ আজকের ম্যাচ নিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত ভারতও। দলটি অনুশীলন না করলেও অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর জানিয়েছেন, ‘আমরা এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। পুরো সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আশা করছি আমরা শতভাগ দিতে পারব। গত তিন দিন নিজেদের যতটা প্রস্তুত করা সম্ভব করেছি। মাঠে বাড়তি সময় দিয়েছি। যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি তাতে আমরা খুব খুশি। আর সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করছি।’

ভারতের দলনেতা আরো বলেছেন, ‘আমরা শুধু ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। আমাদের দল যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। দলে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্পিনার রয়েছে। ফিল্ডিংয়ের দিক থেকেও আমরা অনেক উন্নতি করেছি। গত কয়েক দিন দেখেছি মেয়েরা ফিল্ডিংয়ে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। তাতে আমাদের মধ্যে অনেক আত্মবিশ্বাস এসেছে। মাঠে সেরাটাই দিতে সবাই মুখিয়ে রয়েছে।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিক্ততার কথা মনে রয়েছে জ্যোতিদের। ঘরের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সেই স্মৃতি এখনো দগদগে হয়ে আছে। সেটি নিয়ে টাইগ্রেস দলপতি বলেছেন, ‘আমরা যে কঠিন সময় পার করে এসেছি সেখান থেকে কামব্যাক করতে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। আমাদের জন্য এটা বড় সুযোগ। সিলেটের মাঠ, এখানে আমাদের অনেক বড় অর্জন নেই হয়তো। কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলার কিছু স্মৃতি আছে। সেগুলোকে নিয়েই ইনশাআল্লাহ চেষ্টা থাকবে।’

বাংলাদেশের প্রশংসা করে হারমানপ্রীত বলেছেন, ‘বাংলাদেশ খুব ভালো দল। তারা দ্রুতই উন্নতি করছে। আমরা সবাই জানি তারা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে। তবে তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।’ প্রতিপক্ষের অধিনায়কের মুখ থেকে এমন প্রশংসা শুনে জ্যোতি বলেছেন, ‘এটা শুনতে ভালো লেগেছে যে, তারা বলেছে আমরা পরিপক্ক দল। তাতে তারা আমাদের হালকাভাবে নেয়নি। এখন আমরাও প্রতিপক্ষের বিষয়টি দেখছি। কারণ ভারত একটি ভালো দল।’

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সবশেষ সিরিজটিতে বেশ কিছু দ্বৈরথ দেখা গিয়েছিল। বিশেষ করে ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত মেজাজ হারিয়ে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। এবারের সিরিজে এমন কিছু দেখা যাবে কি না, সেই প্রশ্নে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, ‘অতীতে অনেক কিছুই হয়ে গেছে। যা গেছে তা তো চলেই গিয়েছে। সেটা তো আমরা ধরে বসে নাই।’ হারমানপ্রীতও একই কথা বলেছেন, ‘সেগুলো এখন অতীত। নতুন সিরিজ শুরু হচ্ছে, সবকিছুই নতুন।’ এবার এই নতুন সিরিজে ভালো কিছু হোক বাংলাদেশের, এমনটাই প্রত্যাশা ও অপেক্ষা ভক্তদের।