ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

হেড-অভিষেক ঝড়ে এক ম্যাচে যত রেকর্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • / 77
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এবার একের পর এক রেকর্ডে নিজেদেরই ছাড়িয়ে যাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেখানে অন্য দলগুলোকে ছাড়ানো যেন কোনো ব্যাপারই নয়! আইপিএলও চার–ছক্কার ঝড় তোলায় গতকাল (বুধবার) নিজেদেরই ছাড়িয়ে গেল। টুর্নামেন্টটির চলতি মৌসুম সবচেয়ে দ্রুততম এক হাজার ছক্কার রেকর্ড গড়েছে।

প্রতিপক্ষের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য অনায়াসে পাড়ি দিচ্ছেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। এবার হেড-অভিষেক ঝড়ে উড়ে গেল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। এদিন ৫৭তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যে মাঠে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে টেনেটুনে ১৬৫ রানেই লখনৌকে থামতে হয়েছে। সেখানে ১৬৬ রানের টার্গেট স্রেফ ৫৮ বলেই (৯.৪ ওভার) পেরিয়ে গেছে হায়দরাবাদ।

উইকেটের পতন হয়নি একটিও। এই ম্যাচে বেশ কয়েকটি নতুন রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন হেড ও অভিষেক এবং তাদের দল।

ট্রাভিস হেড অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৮৯ রানে। ৮টি ছক্কা ও সমান সংখ্যক চার হাঁকিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা ৮ চার ও ৬ ছক্কার মারে ২৮ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এই জয় (৬২ বল হাতে রেখে) আইপিএলের ইতিহাসে শতাধিক রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০২২ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে দিল্লির ৫৭ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের কীর্তিটি এতোদিন ছিল সর্বোচ্চ। ৯.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৬৭ রান আইপিএলে প্রথম ১০ ওভারে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল হায়দ্রাবাদেরই, দিল্লির বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৫৮।

আইপিএলের ইতিহাসে এক আসরে ২০ বা তারচেয়ে কম বল খেলে একাধিক ফিফটি করাদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করেছেন হেড। এরপর আছেন তারই স্বদেশি ফ্রেজার–ম্যাগার্কের। হেড ফিফটি করেছেন পাওয়ার প্লের ভেতরে, পঞ্চম ওভারে। আইপিএলের এক আসরে পাওয়ার প্লের ভেতরে চারটি ফিফটি নেই আর কারোরই।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে হায়দ্রাবাদ এখন পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লক্ষ্ণৌ ষষ্ঠ স্থানে। ১০ দলের মধ্যে ৯ দলেরই এখনো প্লে–অফ খেলার সুযোগ আছে। হায়দ্রাবাদ জয়ে এবারের আসর থেকে বাদ পড়ে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। শেষ দুই ম্যাচ তাদের জন্য স্রেফ মূল্যহীন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

হেড-অভিষেক ঝড়ে এক ম্যাচে যত রেকর্ড

আপডেট সময় : ০৯:২৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

 

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) এবার একের পর এক রেকর্ডে নিজেদেরই ছাড়িয়ে যাচ্ছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেখানে অন্য দলগুলোকে ছাড়ানো যেন কোনো ব্যাপারই নয়! আইপিএলও চার–ছক্কার ঝড় তোলায় গতকাল (বুধবার) নিজেদেরই ছাড়িয়ে গেল। টুর্নামেন্টটির চলতি মৌসুম সবচেয়ে দ্রুততম এক হাজার ছক্কার রেকর্ড গড়েছে।

প্রতিপক্ষের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য অনায়াসে পাড়ি দিচ্ছেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। এবার হেড-অভিষেক ঝড়ে উড়ে গেল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। এদিন ৫৭তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যে মাঠে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে টেনেটুনে ১৬৫ রানেই লখনৌকে থামতে হয়েছে। সেখানে ১৬৬ রানের টার্গেট স্রেফ ৫৮ বলেই (৯.৪ ওভার) পেরিয়ে গেছে হায়দরাবাদ।

উইকেটের পতন হয়নি একটিও। এই ম্যাচে বেশ কয়েকটি নতুন রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন হেড ও অভিষেক এবং তাদের দল।

ট্রাভিস হেড অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৮৯ রানে। ৮টি ছক্কা ও সমান সংখ্যক চার হাঁকিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা ৮ চার ও ৬ ছক্কার মারে ২৮ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এই জয় (৬২ বল হাতে রেখে) আইপিএলের ইতিহাসে শতাধিক রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ২০২২ সালে পাঞ্জাবের বিপক্ষে দিল্লির ৫৭ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ের কীর্তিটি এতোদিন ছিল সর্বোচ্চ। ৯.৪ ওভারে বিনা উইকেটে ১৬৭ রান আইপিএলে প্রথম ১০ ওভারে সর্বোচ্চ। আগের সর্বোচ্চ ছিল হায়দ্রাবাদেরই, দিল্লির বিপক্ষে ৪ উইকেটে ১৫৮।

আইপিএলের ইতিহাসে এক আসরে ২০ বা তারচেয়ে কম বল খেলে একাধিক ফিফটি করাদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করেছেন হেড। এরপর আছেন তারই স্বদেশি ফ্রেজার–ম্যাগার্কের। হেড ফিফটি করেছেন পাওয়ার প্লের ভেতরে, পঞ্চম ওভারে। আইপিএলের এক আসরে পাওয়ার প্লের ভেতরে চারটি ফিফটি নেই আর কারোরই।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে হায়দ্রাবাদ এখন পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লক্ষ্ণৌ ষষ্ঠ স্থানে। ১০ দলের মধ্যে ৯ দলেরই এখনো প্লে–অফ খেলার সুযোগ আছে। হায়দ্রাবাদ জয়ে এবারের আসর থেকে বাদ পড়ে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। শেষ দুই ম্যাচ তাদের জন্য স্রেফ মূল্যহীন।