ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে এবার কানাডার ইতিহাস

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • / 49
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে তিন দলের। যুক্তরাষ্ট্র ও উগান্ডা জিতে ইতিহাস গড়েছে। বাকি ছিল আরেক অভিষিক্ত দল কানাডা। তারাও ইতিহাস গড়লো আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে। শুক্রবার মাত্র ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১২ রানে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেলো তারা।

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নবম ওভারে ৫৩ রানে চার উইকেট হারায় কানাডা। যার মধ্যে দুটি উইকেট ছিল ক্রেইগ ইয়াংয়ের।

আয়ারল্যান্ড যখন ভালো অবস্থানে ছিল, তখন তাদের অস্বস্তিতে ফেললেন নিকোলাস কার্টন ও শ্রেয়াস মোভ্ভা। দুজনের ৭৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় কানাডা, যা দেশের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড জুটি। ৩৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৯ রান করে কার্টন ফিরে যান। ইনিংসের শেষ বলে মোভ্ভা থামেন ৩৭ রান করে। ৩৬ বলে ৩ চারে এই ইনিংস খেলে শেষ বলে রান আউট হন তিনি।

৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে কানাডা। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ইয়াং ও ব্যারি ম্যাকক্যার্থি।

১৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি আয়ারল্যান্ডের। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ২৬ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। পল স্টার্লিং ৯ রানে ফেরেন। তারপর একে একে মাঠ ছাড়েন আরও পাঁচ ব্যাটার। ১৩তম ওভারে ৫৯ রানেই নেই তাদের ৬ উইকেট।

জয় তখন কানাডার জন্য সময়ের ব্যাপার। কিন্তু জর্জ ডকরেল ও মার্ক অ্যাডায়ার শক্ত হাতে হাল ধরেন। দুজনে বল বুঝে বাউন্ডারি বের করেছেন, আবার সিঙ্গেল-ডাবলস নিয়ে ব্যবধান কমাতে থাকেন। ম্যাচ তখন আইরিশদের নিয়ন্ত্রণে। শেষ তিন ওভারে লাগে ৩৬ রান। কিন্তু ১৮তম ওভারে ডিলন হেইলিগার মাত্র ৮ রান দিলে ফের চাপে পড়ে আইরিশরা। শেষের আগের ওভারে কালিম সানাকে দুটি চার মেরে অ্যাডায়ার ১১ রান তুলতে অবদান রাখলেও শেষ ওভারে ১৭ রানের কঠিন লক্ষ্য দাঁড়ায়।

জেরেমি গর্ডন দারুণ বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে হতাশ করেন। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে অ্যাডায়ার আউট হন বোলারকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। ৪১ বলে ৬২ রানের জুটি ভাঙতেই আর পেরে ওঠেনি আয়ারল্যান্ড। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রান করেন অ্যাডায়ার। ২৩ বলে ২ চার ও এক ছয়ে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন ডকরেল। ৭ উইকেটে ১২৫ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।

আয়ারল্যান্ডের পক্ষে হেইলিগার ও গর্ডন দুটি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন কার্টন।

২২তম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেলো কানাডা। দুই ম্যাচে একমাত্র জয়ে টেবিলের তিনে উঠে গেলো তারা। দুই ম্যাচ জিতে ‘এ’ গ্রুপে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ভিন্ন প্রতিপক্ষের কাছে হারের রেকর্ড এতদিন ছিল বাংলাদেশের দখলে, এবার তাতে ভাগ বসালো আয়ারল্যান্ড। দুই দলই এই টুর্নামেন্টে ১১টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে এবার কানাডার ইতিহাস

আপডেট সময় : ১১:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

 

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে তিন দলের। যুক্তরাষ্ট্র ও উগান্ডা জিতে ইতিহাস গড়েছে। বাকি ছিল আরেক অভিষিক্ত দল কানাডা। তারাও ইতিহাস গড়লো আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে। শুক্রবার মাত্র ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১২ রানে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেলো তারা।

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নবম ওভারে ৫৩ রানে চার উইকেট হারায় কানাডা। যার মধ্যে দুটি উইকেট ছিল ক্রেইগ ইয়াংয়ের।

আয়ারল্যান্ড যখন ভালো অবস্থানে ছিল, তখন তাদের অস্বস্তিতে ফেললেন নিকোলাস কার্টন ও শ্রেয়াস মোভ্ভা। দুজনের ৭৫ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় কানাডা, যা দেশের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে রেকর্ড জুটি। ৩৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪৯ রান করে কার্টন ফিরে যান। ইনিংসের শেষ বলে মোভ্ভা থামেন ৩৭ রান করে। ৩৬ বলে ৩ চারে এই ইনিংস খেলে শেষ বলে রান আউট হন তিনি।

৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে কানাডা। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ইয়াং ও ব্যারি ম্যাকক্যার্থি।

১৩৮ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি আয়ারল্যান্ডের। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ২৬ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। পল স্টার্লিং ৯ রানে ফেরেন। তারপর একে একে মাঠ ছাড়েন আরও পাঁচ ব্যাটার। ১৩তম ওভারে ৫৯ রানেই নেই তাদের ৬ উইকেট।

জয় তখন কানাডার জন্য সময়ের ব্যাপার। কিন্তু জর্জ ডকরেল ও মার্ক অ্যাডায়ার শক্ত হাতে হাল ধরেন। দুজনে বল বুঝে বাউন্ডারি বের করেছেন, আবার সিঙ্গেল-ডাবলস নিয়ে ব্যবধান কমাতে থাকেন। ম্যাচ তখন আইরিশদের নিয়ন্ত্রণে। শেষ তিন ওভারে লাগে ৩৬ রান। কিন্তু ১৮তম ওভারে ডিলন হেইলিগার মাত্র ৮ রান দিলে ফের চাপে পড়ে আইরিশরা। শেষের আগের ওভারে কালিম সানাকে দুটি চার মেরে অ্যাডায়ার ১১ রান তুলতে অবদান রাখলেও শেষ ওভারে ১৭ রানের কঠিন লক্ষ্য দাঁড়ায়।

জেরেমি গর্ডন দারুণ বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে হতাশ করেন। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে অ্যাডায়ার আউট হন বোলারকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। ৪১ বলে ৬২ রানের জুটি ভাঙতেই আর পেরে ওঠেনি আয়ারল্যান্ড। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রান করেন অ্যাডায়ার। ২৩ বলে ২ চার ও এক ছয়ে ৩০ রানে অপরাজিত ছিলেন ডকরেল। ৭ উইকেটে ১২৫ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।

আয়ারল্যান্ডের পক্ষে হেইলিগার ও গর্ডন দুটি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন কার্টন।

২২তম দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেলো কানাডা। দুই ম্যাচে একমাত্র জয়ে টেবিলের তিনে উঠে গেলো তারা। দুই ম্যাচ জিতে ‘এ’ গ্রুপে সবার উপরে যুক্তরাষ্ট্র।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ভিন্ন প্রতিপক্ষের কাছে হারের রেকর্ড এতদিন ছিল বাংলাদেশের দখলে, এবার তাতে ভাগ বসালো আয়ারল্যান্ড। দুই দলই এই টুর্নামেন্টে ১১টি ভিন্ন প্রতিপক্ষের কাছে হেরেছে।