ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

 

সুপার এইটের পথে বাংলাদেশের সামনে এবার ডাচরা

স্পোর্টস রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০১:২৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • / 48
ডেইলি আর্থ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কাগজে কলমে ‘ছোট’ দল হলেও অর্জনের পাল্লা বিশাল ভারী নেদারল্যান্ডসের। প্রতি আসরেই নানা চমক নিয়ে হাজির হয় দলটা। এবার অবশ্য করতে পারেনি তেমন কিছু, তবে আজ না করলেই হয়। ডাচদের প্রতিপক্ষ যে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। বলা যায় বাংলাদেশের সুপার এইটে যাওয়ার পথে গলার কাঁটা হয়ে আছে এই ডাচরা। বৃহস্পতিবার খেলা শুরু রাত ৮টায়।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আছে গ্রুপ অব ডেথ খ্যাত ‘ডি’ গ্রুপে। যেখান থেকে টানা তিন জয়ে সবার আগে সেরা আট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তেমনি বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে শ্রীলঙ্কার। তবে মধ্যবর্তী থাকা তিন দেশ- বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল এখনো ধরে রেখেছে সম্ভাবনা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর নিউইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনও টিকে আছে বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার ডাচদের হারাতে পারলেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের সুপার এইট পর্ব।

আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর্নোস ভ্যালে গ্রাউন্ডে মাঠে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। পরের পর্বে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে জয় দরকার লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তাতে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে রয়েছে শান্ত বাহিনী। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের কারণে বাকি ম্যাচগুলো থেকে জয় তুলে নেওয়ার বিকল্প নেই।

বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে পা রাখার আগে আলোচনা-সমালোচনায় জর্জরিত হয়েছিল টাইগার বাহিনী। প্রথমত যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হার, দ্বিতীয়ত প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ভরাডুবি—এ দুই ঘটনায় বেশ চাপে পড়েছিলেন শান্তরা। তবে মূল পর্বে জয় দিয়ে শুরু করায় স্বস্তি ফিরে আসে দলের মধ্যে। এইডেন মার্করামদের বিপক্ষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট হাজির করায় আরো আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। ম্যাচটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে না হারলে শক্ত অবস্থানে থাকত বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হবে। আর শেষ ম্যাচে নেপালকে হারালে শেষ আটে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

গত কয়েক বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং টপ অর্ডার। ওপেনিং থেকে শুরু করে মিডল অর্ডারের আগে তেমন কেউ ধারাবাহিক হতে পারছেন না। নিয়মিত ব্যর্থতার চিত্র দেখতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুনভাবে আলোচনায় এসেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাট কিংবা বল, কোনো বিভাগেই সাড়া ফেলতে পারেননি। নামের প্রতি সুবিচার করা দূরের কথা, সামাজিক মাধ্যমে অনেকে তো ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন।

তবে অনেকে মনে করেন, দলের সঙ্গে এমন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রাখা দোষের নয়। ফর্ম দিয়ে না হলেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারা সহায়তা করতে পারেন। কথা শুধু সাকিব নয়, অধিনায়ক শান্তকে নিয়েও হচ্ছে। ধারাবাহিক ব্যর্থতার চিত্রায়ণ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের কাপ্তান। সবশেষ ১০ ম্যাচে তার মোট রান ১২০। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস রয়েছে। পাঁচ ম্যাচে দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি। তাতে দলের জয়ের পাশাপাশি শান্ত ও সাকিবের ব্যাটে রানের ফোয়ারা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। সবাই জানেন, এ দুই ব্যাটার জ্বলে উঠলে বিশ্বের কোনো দল বাংলাদেশকে হারাতে পারবে না।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে চিন্তা রয়েছে মাঠ নিয়েও। সেন্ট ভিনসেন্টের এই মাঠে চলতি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ গড়ায়নি। প্রথমবারের মতো খেলবে বাংলাদেশ ও ডাচ বাহিনী। তাতে উইকেটের ধরন আগে থেকে বোঝাটা কঠিন। বাংলাদেশের পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে, সেটিও গড়াবে এই মাঠে। তবে তার আগে আজকের ম্যাচ থেকে জয় তুলে নেওয়ার বিকল্প নেই। যদিও তখনো সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। কিন্তু সেক্ষেত্রে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে চেয়ে থাকতে হবে। সেটি অবশ্য চান না ভক্তরা। জয় তুলে নিয়েই বাংলাদেশ শেষ আটে উঠুক, এমনটাই প্রত্যাশা।

চলতি বিশ্বকাপে টাইগার বাহিনীর চিন্তার কারণ ছিল শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে। এ দুই ম্যাচ থেকে একটি জয় পাওয়ায় এখন সামনের রাস্তা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। ডাচদের হারাতে পারলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৪। তাতে তলানিতে থাকা লঙ্কানদের বিদায় নিশ্চিত হবে। আর হারলেও লঙ্কানদের বিদায় নিশ্চিত হবে। সেক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট ৪ হবে। তখন নেপালকে হারালেই চলবে না, শান্তদের চেয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জিতলে বাংলাদেশ আর নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট সমান হবে। তাতে রানরেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে পরের পর্বে।

তবে এত কিছু না ভেবে শান্তরা ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যেতে চান। দ. আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পরে তাওহীদ হূদয় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ পরের পর্বে খেলবে, এমনটা তারা বিশ্বাস করেন। এমনকি সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নও তারা দেখেন। সেই স্বপ্ন দেখেন দেশের কোটি কোটি ভক্ত। টাইগার বাহিনী ২২ গজের আঙিনায় মুহুর্মুহু গর্জে উঠুক, এমনটাই কামনা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

 

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

 

ট্যাগস :

 

 

সুপার এইটের পথে বাংলাদেশের সামনে এবার ডাচরা

আপডেট সময় : ০১:২৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

 

কাগজে কলমে ‘ছোট’ দল হলেও অর্জনের পাল্লা বিশাল ভারী নেদারল্যান্ডসের। প্রতি আসরেই নানা চমক নিয়ে হাজির হয় দলটা। এবার অবশ্য করতে পারেনি তেমন কিছু, তবে আজ না করলেই হয়। ডাচদের প্রতিপক্ষ যে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে টাইগাররা। বলা যায় বাংলাদেশের সুপার এইটে যাওয়ার পথে গলার কাঁটা হয়ে আছে এই ডাচরা। বৃহস্পতিবার খেলা শুরু রাত ৮টায়।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আছে গ্রুপ অব ডেথ খ্যাত ‘ডি’ গ্রুপে। যেখান থেকে টানা তিন জয়ে সবার আগে সেরা আট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তেমনি বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে শ্রীলঙ্কার। তবে মধ্যবর্তী থাকা তিন দেশ- বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল এখনো ধরে রেখেছে সম্ভাবনা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর নিউইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনও টিকে আছে বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার ডাচদের হারাতে পারলেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের সুপার এইট পর্ব।

আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর্নোস ভ্যালে গ্রাউন্ডে মাঠে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। পরের পর্বে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে জয় দরকার লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তাতে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে রয়েছে শান্ত বাহিনী। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারের কারণে বাকি ম্যাচগুলো থেকে জয় তুলে নেওয়ার বিকল্প নেই।

বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে পা রাখার আগে আলোচনা-সমালোচনায় জর্জরিত হয়েছিল টাইগার বাহিনী। প্রথমত যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হার, দ্বিতীয়ত প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ভরাডুবি—এ দুই ঘটনায় বেশ চাপে পড়েছিলেন শান্তরা। তবে মূল পর্বে জয় দিয়ে শুরু করায় স্বস্তি ফিরে আসে দলের মধ্যে। এইডেন মার্করামদের বিপক্ষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট হাজির করায় আরো আত্মবিশ্বাস ফিরেছে। ম্যাচটি দুর্ভাগ্যজনকভাবে না হারলে শক্ত অবস্থানে থাকত বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলে শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হবে। আর শেষ ম্যাচে নেপালকে হারালে শেষ আটে উঠে যাবে বাংলাদেশ।

গত কয়েক বছর ধরে আলোচনায় রয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং টপ অর্ডার। ওপেনিং থেকে শুরু করে মিডল অর্ডারের আগে তেমন কেউ ধারাবাহিক হতে পারছেন না। নিয়মিত ব্যর্থতার চিত্র দেখতে হচ্ছে। এর মধ্যে নতুনভাবে আলোচনায় এসেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ব্যাট কিংবা বল, কোনো বিভাগেই সাড়া ফেলতে পারেননি। নামের প্রতি সুবিচার করা দূরের কথা, সামাজিক মাধ্যমে অনেকে তো ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেছেন।

তবে অনেকে মনে করেন, দলের সঙ্গে এমন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রাখা দোষের নয়। ফর্ম দিয়ে না হলেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারা সহায়তা করতে পারেন। কথা শুধু সাকিব নয়, অধিনায়ক শান্তকে নিয়েও হচ্ছে। ধারাবাহিক ব্যর্থতার চিত্রায়ণ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের কাপ্তান। সবশেষ ১০ ম্যাচে তার মোট রান ১২০। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস রয়েছে। পাঁচ ম্যাচে দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি। তাতে দলের জয়ের পাশাপাশি শান্ত ও সাকিবের ব্যাটে রানের ফোয়ারা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা। সবাই জানেন, এ দুই ব্যাটার জ্বলে উঠলে বিশ্বের কোনো দল বাংলাদেশকে হারাতে পারবে না।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে চিন্তা রয়েছে মাঠ নিয়েও। সেন্ট ভিনসেন্টের এই মাঠে চলতি বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ গড়ায়নি। প্রথমবারের মতো খেলবে বাংলাদেশ ও ডাচ বাহিনী। তাতে উইকেটের ধরন আগে থেকে বোঝাটা কঠিন। বাংলাদেশের পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে, সেটিও গড়াবে এই মাঠে। তবে তার আগে আজকের ম্যাচ থেকে জয় তুলে নেওয়ার বিকল্প নেই। যদিও তখনো সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। কিন্তু সেক্ষেত্রে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে চেয়ে থাকতে হবে। সেটি অবশ্য চান না ভক্তরা। জয় তুলে নিয়েই বাংলাদেশ শেষ আটে উঠুক, এমনটাই প্রত্যাশা।

চলতি বিশ্বকাপে টাইগার বাহিনীর চিন্তার কারণ ছিল শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে। এ দুই ম্যাচ থেকে একটি জয় পাওয়ায় এখন সামনের রাস্তা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। ডাচদের হারাতে পারলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৪। তাতে তলানিতে থাকা লঙ্কানদের বিদায় নিশ্চিত হবে। আর হারলেও লঙ্কানদের বিদায় নিশ্চিত হবে। সেক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট ৪ হবে। তখন নেপালকে হারালেই চলবে না, শান্তদের চেয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের দিকে। সেই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জিতলে বাংলাদেশ আর নেদারল্যান্ডসের পয়েন্ট সমান হবে। তাতে রানরেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে পরের পর্বে।

তবে এত কিছু না ভেবে শান্তরা ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যেতে চান। দ. আফ্রিকার বিপক্ষে হারের পরে তাওহীদ হূদয় জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ পরের পর্বে খেলবে, এমনটা তারা বিশ্বাস করেন। এমনকি সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নও তারা দেখেন। সেই স্বপ্ন দেখেন দেশের কোটি কোটি ভক্ত। টাইগার বাহিনী ২২ গজের আঙিনায় মুহুর্মুহু গর্জে উঠুক, এমনটাই কামনা।